প্রথম পাতা

এমপি ছাড়া এক জনপদ

মোহাম্মদ ওমর ফারুক

৩০ নভেম্বর ২০২০, সোমবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুর-২ আসন। জেলার রায়পুর উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যেখানে গত সাত মাস ধরে সংসদ সদস্য থেকেও নেই। কোনো উন্নয়নমূলক কাজের মনিটরিং নেই। ডিও লেটারের অভাবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের কাজ হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, একজন সংসদ সদস্যের স্থানীয় কোনো উন্নয়ন কাজে প্রত্যক্ষ অবদান না থাকলেও ডিও লেটারের অভাবে অনেক কাজ স্থবির রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। সবমিলিয়ে ৩ লাখ ৭২ হাজার ২৭৩ জন ভোটারের এই আসনটি অভিভাবকবিহীন হয়ে পড়েছে। ফলে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে বাসিন্দাদের মাঝে। চলতি বছরের ৬ই জুন মানব পাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে এই আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে কুয়েতে গ্রেপ্তার করে সেই দেশের পুলিশ। এদিকে কুয়েতে আটক এই সংসদ সদস্যের মামলার রায় আগামী ২৮শে জানুয়ারি ধার্য করেছেন দেশটির একটি আদালত। ওই সংসদ সদস্যকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারা ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে সহায়তা করেছে।

এদিকে গত সাত মাস ধরে এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কুয়েতের কারাগারে থাকার কারণে ওই এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে এক ধরনের ক্ষোভ ও হতাশা কাজ করছে। রায় কি হবে এবং এই আসনটির ভবিষ্যৎ কি হবে এই নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র। একজন সংসদ সদস্য কোনো উন্নয়নমূলক কাজে সরাসরি কোনো ভূমিকা না থাকলেও নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নয়নের ফুলঝুরি দিয়ে থাকে সংসদ সদস্যরা। তিনিও ব্যতিক্রম ছিলেন না। তারপরেও এলাকায় উন্নয়নের কাজে মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকেন একজন সংসদ সদস্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংসদ সদস্য না থাকলে এসব কাজে স্বেচ্ছাচারিতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে শুধু মাত্র মনিটরিংয়ের অভাবে।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের ২ আসনের রায়পুরা উপজেলার পীর ফজলুল্লাহ্‌ ইসলামী মিশন দাখিল মাদ্রাসায় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারের অভাবে ভবন ও সংস্কার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মাদ্রাসাটি। মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সদস্য মাসুদ হোসাইন বলেন, এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর হতে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পায়নি। স্থানীয়দের দান অনুদানে এ পর্যন্ত চলে আসছে। এমপি সাহেব দেশে না থাকায় আমরা মাদ্রাসাটির সার্বিক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। তিনি আমাদের কথা দিয়েছিলেন, মাদ্রাসাটির উন্নয়নে তিনি কাজ করবেন। লামচরী আর.এন. বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েরও একই দশা। ডিও লেটারের অভাবে ভবন ও সংস্কার বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্কুলের শিক্ষক রিপন বলেন, আমাদের বিদ্যালয়টি অত্র এলাকার ফলাফলের দিক থেকে সুনাম কুড়িয়েছে। তবে সরকারি সুযোগ- সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এমপি সাহেব না থাকার কারণে তার কাছে আমরা যেতে পারছি না। এরকম প্রায় এই আসনে প্রায়  ৩০-৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানরে একই দশা।

শুধু স্কুল কলেজই নয়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় উন্নয়নের নানান স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। তেমনি একটি  রায়পুর পানপাড়া সড়ক। এই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী। এলাকাবাসীকে সড়কটি সংস্কারের আশার আলো দেখিয়েছিলেন তিনি। ওই সংসদ সদস্যের পাশের বাড়ির বাসিন্দা তছলিম উদ্দিন বলেন, এমপি নিজেই এ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। অথচ সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত। নির্বাচনের আগে বলেছিলেন এই রাস্তাটি তিনি সংস্কার কাজ করে দিবেন। জানা গেছে, এই আসনটির দুটি উপজেলায় প্রায় শতাধিক সড়ক তিনি সংস্কার করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন সাধারণ জনগণকে। কিন্তু এখন কোনো দৃশ্যেই নেই তিনি। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে রায়পুরের মেঘনা নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ২ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফসলি জমিসহ সহায় সম্পত্তি হারিয়ে পথে বসেছে অসংখ্য কৃষক। স্থানীয় কৃষক আব্দুস সোবহান, সেলিম, মন্নান, রোকেয়া বেগম, পারুল বেগমসহ আরো বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর থেকে তাদের ঘরবাড়ি মেঘনার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। গরু-ছাগল নদীতে ভেসে গেছে। ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। কিন্তু তারা বলার মতো কাউকে পায়নি। ওই সংসদ সদস্য নির্বাচনের আগে ও পরে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু আজ তিনি নেই। তাই তাদের সমস্যাগুলো আরো দীর্ঘতর হচ্ছে। নানান সমস্যায় জর্জরিত এই আসনটি অভিভাবক ছাড়া রয়েছে।

জানা গেছে, একজন সংসদ সদস্য আইন প্রণয়নের বাইরেও নিজের এলাকায় কিছু কাজ করতে পারেন তারা। জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী দুটি স্থানীয় সরকার প্রশাসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা কমিটিসহ মাঠ প্রশাসনের আরো কয়েকটি কমিটির উপদেষ্টা থাকেন তারা। টিআর,কাবিখা/কাবিটাসহ বিভিন্ন সামাজিক বেষ্টনীমূলক কর্মসূচিতেও তাদের পরামর্শ দেয়ার সুযোগ রয়েছে। এসব খাতে তারা বরাদ্দ পেতে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দিয়ে থাকেন। তবে, এসব খাতের ব্যয় নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংসদ সদস্যদের অনুকূলে এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নে থোক বরাদ্দ দেয়ার বিধান করলেও তা হয় স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে কোন্‌  কোন্‌  রাস্তা  মেরামত বা সংস্কার করতে চান তা উল্লেখ করে সংসদ সদস্যরা তার তালিকা দেন। পরে স্থানীয় প্রশাসন তা যাচাই-বাছাই করে বরাদ্দ দেন। সংসদ সদস্যদের এসব কার্যক্রমের মধ্যে জেলা ও উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আইনের ভিত্তিতেই হয়ে থাকে। কিন্তু ওই সংসদ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে আসনটির বাইরে থাকায় এসবের কোনো কিছুর সঙ্গেই তার সংশ্লিষ্টতা নেই। ফলে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।

এদিকে ওই সংসদ সদস্য অনুপস্থিত থাকার কারণে গত জুলাইয়ে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা থেকে ফেরত গেছে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা)  প্রকল্পের ১৬০ মেট্রিক টন গম। ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কাবিখা দ্বিতীয় পর্যায়ের এ বরাদ্দ এসেছিল। অভিযোগ ছিল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরীন চৌধুরী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) দেলোয়ার হোসেনের মধ্যকার দ্বন্দ্ব ও কাজের সমন্বয়হীনতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কাবিখা প্রকল্পের অধীনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বরাদ্দে ১২টি প্রকল্পের বিপরীতে ৯৬ মেট্রিক টন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের একটি প্রকল্পের ৯ মেট্রিক টন ও উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১২টি প্রকল্পের বিপরীতে ৫৫ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ হয়। রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এসব বরাদ্দ হয়। বিষয়টি নিয়ে সাবরীন চৌধুরীকে গত চারদিন ধরে ফোন ও টেক্সট করলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে তৎকালীন প্রকল্প অফিসার দেলোয়ার হোসেন বদলি হয়ে যাওয়ার ফলে তার বক্তব্যও নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলছেন, যদিও এখানে সংসদ সদস্যের কোনো হাত নেই। তবে তিনি থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পেতো না। রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি ও বামনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফাজ্জাল  হোসেন বলেন, আমরা নানান সমস্যার মধ্যে আছি। এমপি’র ডিও লেটার পাচ্ছি না। কোনো কাজ হচ্ছে না। শুনছি জেলা প্রশাসক এই কাজগুলো করছে। কিন্তু কোথায় কীভাবে করছে, কারা পাচ্ছে কিছুই জানি না আমরা।  প্রকল্প ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা খুব দুঃখজনক। তাদের অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে। যদি এমপি মহোদয় থাকতো তাহলে এ ধরনের কোনো ঝামেলা হতো না।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমার উপজেলার প্রায় ৯টি ইউনিয়ন দুই আসনের মধ্যে পড়েছে। সংসদ সদস্য না থাকার কারণে এই অর্থবছরের যে অর্থ তিনি পেয়েছেন সেটি নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের কাছে চলে গেছেন। এটা এক ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়েছি আমরা। কারণ কোন্‌ জায়গায় কোন্‌ উন্নয়ন হবে সেটা ভালো বলতে পারেন একমাত্র সংসদ সদস্যরাই। এখন সে কাজটা করতে হচ্ছে জেলা প্রশাসনকে। লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ওই ইউনিয়নগুলো চেয়ারম্যানদের কাছ উন্নয়ন কাজের লিস্ট চেয়ে নিচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে একটি আসনের অভিভাবক না থাকলে নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রায়পুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলিপ দে বলেন, দেখেন কাজ তো স্থবির হবেই। যেখানে এমপি নেই, অনেক কিছু ওনার ওপর নির্ভর করে। তারপরেও পরিপত্র অনুযায়ী ডিসি স্যারের নির্দেশে ইউএনও স্যার কাজ করে যাচ্ছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, একজন সংসদ সদস্য একটি এলাকার অভিভাবক। তিনিই আসলে উন্নয়নের রূপরেখা করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হয়ে ডিও লেটার দিয়ে থাকেন। স্কুল ও মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রলায়ের সচিব ও মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই জায়গায় কিছুই হচ্ছে না এই আসনটিতে। যার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। তার ব্যক্তিগত অপরাধের দায়ভার তো সাধারণ জনগণ নিতে পারে না। কিন্তু সেটাই তো নিচ্ছে ২ আসনের জনগণ।

রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ বলেন, একজন এমপি না থাকলে নানান সমস্যা হয়। আমরা কোথাও গিয়ে কাজ করতে পারছি না। সব জায়গায় এমপি’র ডিও লেটার চাচ্ছে। এটা তো আমরা দিতে পারছি না। উন্নয়ন যে হচ্ছে না, এমন না। কিন্তু যেমনটা হওয়ার কথা তেমনটা হচ্ছে না। তবে একজন এমপি’র যে উন্নয়ন কোটা থাকে সেটা তো হচ্ছে না। প্রতি অর্থবছরে প্রত্যেক সংসদ সদস্য যে অর্থ বরাদ্দ পায় সেটাও কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। আমরা পাচ্ছি না মানে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।

রায়পুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট এ.বি.এম বারাকাত বিন জাকারিয়া (মারুফ) বলেন, একজন এমপি শুধু আইন প্রণয়নই নয়, তিনি একটি এলাকার অভিভাবক। তার ডিও লেটার ছাড়া অনেক কাজই হয় না। তার ডিও লেটার মন্ত্রণালয় গুরুত্বসহকারে দেখে। আজ ৭-৮ মাস ধরে এমপি নেই। আমরা নানান উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। শুধু তাই নয়, গত অর্থ বছরের এমপি’র বরাদ্দের কাজও ফিরে গেছে তিনি না থাকার কারণে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একজন সংসদ সদস্য সরাসরি উন্নয়ন কাজ করতে পারে না। তারপরও তার সংসদীয় এলাকায় অনেক ধরনের কাজ থাকে, কিছু উন্নয়ন করেন তারা সেটা থেকে তো ওই এলাকার মানুষজন বঞ্চিত হচ্ছে। দ্বিতীয় এই বিষয়ে জাতীয় সংসদ ও  নির্বাচন কমিশনের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এদিকে জাতীয় সংসদ সূত্রে জানা গেছে, এই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সংসদ অধিবেশনে ২৮ কার্যদিবস অনুপস্থিত। করোনার কারণে সংসদ অধিবেশন স্থগিত না থাকলে অনুপস্থিতির সংখ্যা আরো বাড়তো। তবে তার বিষয়ে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি বা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানে না জাতীয় সংসদ। কোনো সংসদ সদস্য গ্রেপ্তার, আটক বা কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী তা সংসদ বা স্পিকারকে জানাতে হয়। তবে পাপুলের বিষয়ে সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ স্পিকারকে এখনো কিছুই জানায়নি বলে জানা গেছে।

পাপুল কুয়েতের আদালতে দণ্ডিত হলে সেটি বাংলাদেশের সংবিধানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধানে বলা আছে, দুই বছর বা এর  বেশি কারাদণ্ড হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা  প্রমাণিত হলে সে দেশের আইনে তার ৫  থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status