খেলা
ফিলিস্তিনকে ভালোবেসেছিলেন ম্যারাডোনা
স্পোর্টস ডেস্ক
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ডিয়োগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে কাঁদছে আর্জেন্টিনা, গোটা ফুটবল বিশ্ব। শোকে মুহ্যমান ফিলিস্তিনের মানুষ। দেশটিকে যে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। সারাজীবন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। ম্যারাডোনা ছিলেন ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থক।
ফিলিস্তিনিদের কাছে ম্যারাডোনা শুধুমাত্র একজন ফুটবল তারকাই নন, ছিলেন যেন একজন মুক্তিদূত। সারাবিশ্বেই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপোষহীন। ইসরায়েলের সন্ত্রাস এবং নির্বিচার অত্যাচার-নির্যাতনের তুমুল প্রতিবাদ করতেন। কখনো কখনো ম্যারাডোনাকে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনের পতাকা দুহাতে উঁচিয়ে তুলে ধরতে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ দেখতে এসে মস্কোয় এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন ম্যারাডোনা। আব্বাসকে বুকে ঝাপটে ধরে তিনি বিখ্যাত উক্তিটি বলেন, ‘হৃদয় দিয়েই অনুভব করি, আমি একজন ফিলিস্তিনি।’
ফিলিস্তিনের সমর্থক হিসেবে ম্যারাডোনা প্রথম কথা বলেন ২০১২ সালে। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তাদের সম্মান করি এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কোনো ভয় ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাই।’ এর দু’বছর পর ২০১৪ সালে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় দুই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তখন এই নৃশংসতার প্রতিবাদ করেন ম্যারাডোনা। এ ঘটনাকে তিনি ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২০১৫ এশিয়ান কাপ ফুটবলে ফিলিস্তিন ফুটবল দলের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আর ফিলিস্তিনের কোচ হিসেবে ডাগ আউটে দাঁড়ানো হয়নি ম্যারাডোনার। ফিলিস্তিনিদের কাছে ম্যারাডোনা কেমন ছিলেন সেটার একটা বর্ণনা দিয়েছেন দেশটির সাংবাদিক রামজি বারাউদি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনে আপনি কখনোই ম্যারাডোনাকে ঘৃণা করতে দেখবেন না। একমাত্র অপশন হচ্ছে, তাকে ভালোবাসতে হবে। আপনি কখনোই তার বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক কথাও বলতে পারবেন না সেখানে।’
জীবদ্দশায় ম্যারাডোনা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক হিসাবে প্রশংসিত হন। তিনি ছিলেন প্রগতিশীল আন্দোলনের সমর্থক। তিনি যাদেরকে বন্ধু হিসেবে ভাবতেন, তাদের মধ্যে ছিল ভেনেজুয়েলার প্রয়াত নেতা হুগো শ্যাভেজ, কিউবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রো ও বলিভিয়ার ইভো মোরেলেসের নাম। শ্যাভেজের সঙ্গে একাধিক অনুষ্ঠানে জর্জ বুশবিরোধী জামা পরিহিত অবস্থায় ম্যারাডোনাকে দেখা গেছে। যে বাঁ পায়ের জাদুতে তিনি বিশ্বজুড়ে তুলেছিলেন আলোড়ন, সেই পায়ে খোদাই করেছিলেন ফিদেলের ট্যাটু। আর তার হাতে ছিল বিপ্লবী আর্নেস্তো চে গুয়েভারার ট্যাটু।
ফিলিস্তিনিদের কাছে ম্যারাডোনা শুধুমাত্র একজন ফুটবল তারকাই নন, ছিলেন যেন একজন মুক্তিদূত। সারাবিশ্বেই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপোষহীন। ইসরায়েলের সন্ত্রাস এবং নির্বিচার অত্যাচার-নির্যাতনের তুমুল প্রতিবাদ করতেন। কখনো কখনো ম্যারাডোনাকে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনের পতাকা দুহাতে উঁচিয়ে তুলে ধরতে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ দেখতে এসে মস্কোয় এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন ম্যারাডোনা। আব্বাসকে বুকে ঝাপটে ধরে তিনি বিখ্যাত উক্তিটি বলেন, ‘হৃদয় দিয়েই অনুভব করি, আমি একজন ফিলিস্তিনি।’
ফিলিস্তিনের সমর্থক হিসেবে ম্যারাডোনা প্রথম কথা বলেন ২০১২ সালে। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তাদের সম্মান করি এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কোনো ভয় ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাই।’ এর দু’বছর পর ২০১৪ সালে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় দুই হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তখন এই নৃশংসতার প্রতিবাদ করেন ম্যারাডোনা। এ ঘটনাকে তিনি ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২০১৫ এশিয়ান কাপ ফুটবলে ফিলিস্তিন ফুটবল দলের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আর ফিলিস্তিনের কোচ হিসেবে ডাগ আউটে দাঁড়ানো হয়নি ম্যারাডোনার। ফিলিস্তিনিদের কাছে ম্যারাডোনা কেমন ছিলেন সেটার একটা বর্ণনা দিয়েছেন দেশটির সাংবাদিক রামজি বারাউদি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনে আপনি কখনোই ম্যারাডোনাকে ঘৃণা করতে দেখবেন না। একমাত্র অপশন হচ্ছে, তাকে ভালোবাসতে হবে। আপনি কখনোই তার বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক কথাও বলতে পারবেন না সেখানে।’
জীবদ্দশায় ম্যারাডোনা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক হিসাবে প্রশংসিত হন। তিনি ছিলেন প্রগতিশীল আন্দোলনের সমর্থক। তিনি যাদেরকে বন্ধু হিসেবে ভাবতেন, তাদের মধ্যে ছিল ভেনেজুয়েলার প্রয়াত নেতা হুগো শ্যাভেজ, কিউবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রো ও বলিভিয়ার ইভো মোরেলেসের নাম। শ্যাভেজের সঙ্গে একাধিক অনুষ্ঠানে জর্জ বুশবিরোধী জামা পরিহিত অবস্থায় ম্যারাডোনাকে দেখা গেছে। যে বাঁ পায়ের জাদুতে তিনি বিশ্বজুড়ে তুলেছিলেন আলোড়ন, সেই পায়ে খোদাই করেছিলেন ফিদেলের ট্যাটু। আর তার হাতে ছিল বিপ্লবী আর্নেস্তো চে গুয়েভারার ট্যাটু।