খেলা
বন্ধুর প্রয়াণের দিনটিকে বেছে নিলেন ম্যারাডোনা
স্পোর্টস ডেস্ক
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
কিউবায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানকার বামপন্থি নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে দিয়েগো ম্যারাডোনার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ম্যারাডোনার পায়ে কাস্ত্রোর প্রতিকৃতির ট্যাটুও ছিল। নিজের আত্মজীবনী দিয়েগো উৎসর্গ করেছিলেন যে কয়েকজন মানুষের প্রতি, তাদের মধ্যে ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো অন্যতম। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর দিনটিকেই নিজের বিদায়ের জন্য বেছে নিলেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার!
২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর, ৯০ বছর বয়সে কিউবার রাজধানী হাভানায় মৃত্যুবরণ করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। চার বছর পর ঠিক একই দিন নিজের বাড়ি বুয়েন্স আয়ার্সের তিগ্রেতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ফুটবল সম্রাট দিয়েগো ম্যারাডোনা।
১৯৮৬ সালে প্রথমবার কিউবা গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। সেখানে ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে পরিচয় হয়। তার পর অনেক বারই কিউবা গিয়েছেন তিনি। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ক্যাস্ত্রোকে ১০ নম্বর জার্সি উপহারও দিয়েছেন।
অবসরের পর এক সময় মাদক সেবনের জন্য মারাত্মক সমস্যায় পড়েন ম্যারাডোনা। তখন রীতিমতো বিপর্যস্ত অবস্থা তার। পাশে নেই কেউ। সেই সময় তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন ক্যাস্ত্রো। ‘লা পেড্রেরা’ ক্লিনিকে ব্যবস্থা করে দেন ম্যারাডোনার রিহ্যাবের। কিউবার স্বাস্থ্য পরিষেবার সুনাম ছিলই। ক্রমশ সুস্থও হতে থাকেন কিংবদন্তি ফুটবলার। ম্যারাডোনার ঘনিষ্ঠদের মতে, ক্যাস্ত্রো এগিয়ে না এলে প্রাণ বাচানোই মুশকিল হয়ে যেত আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। শরীর এতটাই খারাপ ছিল তার।২০১৬ সালে প্রয়াত হন কাস্ত্রো। ম্যারাডোনা তখন কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘আমার কাছে উনি ছিলেন দ্বিতীয় বাবার মতো। আর্জেন্টিনায় যখন আমার সামনে দরজাগুলো বন্ধ হচ্ছিল, তখন উনি কিউবার দরজা খুলে দিয়েছিলেন।’ ক্যাস্ত্রোর মৃত্যুর পর জাতীয় শোকে যোগ দিতে ম্যারাডোনা কিউবা গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি এই সময় কিউবার মানুষের পাশে থাকতে চাই। আর বিদায় জানাতে চাই আমার বন্ধু ফিদেলকে।’
ভেনেজুয়েলার মার্কিন বিদ্বেষী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজেরও সমর্থক ছিলেন ম্যারাডোনা। ২০০৫ সালে চাভেজের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি ভেনেজুয়েলায় গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘ফিদেল, চাভেজ যা করে, আমার কাছে সেগুলোই ঠিক।’
২০০৫ সালে নিজ দেশের মার দেল প্লাটায় সামিট অফ দ্য আমেরিকাস-এ তিনি আর্জেন্টিনায় জর্জ ডব্লিউ বুশের উপস্থিতির বিরোধিতা করে একটি টি-শার্ট পরেছিলেন, যাতে লেখা ছিল ‘ঝঞঙচ ইটঝঐ’। বুশকে তিনি ‘আবর্জনা্থর’ সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন।
২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর, ৯০ বছর বয়সে কিউবার রাজধানী হাভানায় মৃত্যুবরণ করেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। চার বছর পর ঠিক একই দিন নিজের বাড়ি বুয়েন্স আয়ার্সের তিগ্রেতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ফুটবল সম্রাট দিয়েগো ম্যারাডোনা।
১৯৮৬ সালে প্রথমবার কিউবা গিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। সেখানে ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে পরিচয় হয়। তার পর অনেক বারই কিউবা গিয়েছেন তিনি। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ক্যাস্ত্রোকে ১০ নম্বর জার্সি উপহারও দিয়েছেন।
অবসরের পর এক সময় মাদক সেবনের জন্য মারাত্মক সমস্যায় পড়েন ম্যারাডোনা। তখন রীতিমতো বিপর্যস্ত অবস্থা তার। পাশে নেই কেউ। সেই সময় তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন ক্যাস্ত্রো। ‘লা পেড্রেরা’ ক্লিনিকে ব্যবস্থা করে দেন ম্যারাডোনার রিহ্যাবের। কিউবার স্বাস্থ্য পরিষেবার সুনাম ছিলই। ক্রমশ সুস্থও হতে থাকেন কিংবদন্তি ফুটবলার। ম্যারাডোনার ঘনিষ্ঠদের মতে, ক্যাস্ত্রো এগিয়ে না এলে প্রাণ বাচানোই মুশকিল হয়ে যেত আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের। শরীর এতটাই খারাপ ছিল তার।২০১৬ সালে প্রয়াত হন কাস্ত্রো। ম্যারাডোনা তখন কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘আমার কাছে উনি ছিলেন দ্বিতীয় বাবার মতো। আর্জেন্টিনায় যখন আমার সামনে দরজাগুলো বন্ধ হচ্ছিল, তখন উনি কিউবার দরজা খুলে দিয়েছিলেন।’ ক্যাস্ত্রোর মৃত্যুর পর জাতীয় শোকে যোগ দিতে ম্যারাডোনা কিউবা গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি এই সময় কিউবার মানুষের পাশে থাকতে চাই। আর বিদায় জানাতে চাই আমার বন্ধু ফিদেলকে।’
ভেনেজুয়েলার মার্কিন বিদ্বেষী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজেরও সমর্থক ছিলেন ম্যারাডোনা। ২০০৫ সালে চাভেজের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি ভেনেজুয়েলায় গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘ফিদেল, চাভেজ যা করে, আমার কাছে সেগুলোই ঠিক।’
২০০৫ সালে নিজ দেশের মার দেল প্লাটায় সামিট অফ দ্য আমেরিকাস-এ তিনি আর্জেন্টিনায় জর্জ ডব্লিউ বুশের উপস্থিতির বিরোধিতা করে একটি টি-শার্ট পরেছিলেন, যাতে লেখা ছিল ‘ঝঞঙচ ইটঝঐ’। বুশকে তিনি ‘আবর্জনা্থর’ সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন।