খেলা
শান্তর জয় ম্যারাডোনার জন্য
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪ রান। মোহাম্মদ আশরাফুল ব্যাট চালালেন, বল ছুঁয়ে ফেললো বাউন্ডারি। ব্যাস, শক্তিশালী জেমকন খুলনার বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহী পেলো ৬ উইকেটের জয়। প্রথম ম্যাচে রাজশাহী হারায় মুশফিকুর রহীমের বেক্সিমকো ঢাকাকে। দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল খুলনা। এই দলে আছেন আরেক মহাতারকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল খুলনা। শুরু থেকেই চলতে থাকে আসা যাওয়ার মিছিল। ১০০ রানে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। সেখান থেকে দলটির প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক আরিফুল হক জ্বলে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত তার ৩১ বলে করা ৪১ রানে স্কোর বোর্ডে খুলনা ১৪৬ রান জমা করে ৬ উইকেট হারিয়ে। জবাবে শান্ত ব্যাটে ঝড় তোলেন। ৩৪ বলে করেন ৫৫ রান। শেষ পর্যন্ত ১৭.২ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তার দল। প্রথম ম্যাচে ৫ রানে আউট হওয়া অভিজ্ঞ আশরাফুল এ দিন ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শান্তই। ম্যাচ শেষে শান্ত জয় উৎসর্গ করেন ফুটবলের এই যাদুকরকে। দৈনিক মানবজমিনকে শান্ত বলেন, ‘ভালো লাগছে টানা দুই ম্যাচে জিতে আমাদের দল শীর্ষে। তবে এমন নয় যে পরের ম্যাচে আমরা হালকা হয়ে মাঠে নামবো। অবশ্য জয়ই একমাত্র লক্ষ্য থাকবে। তবে এমন জয়ের দিনে ম্যারাডোনার জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে। তার অভাব কোন দিনও কেউ পূরণ করতে পারবে না। আমি জয়টি ব্যক্তিগতভাবে সুপার লিজেন্ডকে উৎসর্গ করতে চাই।’ টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ০ রানেই ফিরে যান জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। ধাক্কা সামলে উঠতে লড়াই করছিলেন আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে এসে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। দেশের এই তারকা অলরাউন্ডারের কাছে ভক্তদের যে আশা তার ছিটে ফোটাও পূরণ করতে পারেননি তিনি। প্রথম ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছেন দ্বিতীয়টাতে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি। পুল করতে গিয়ে ব্যাক্তগত ১২ রানে তরুণ পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধের বলে ক্যাচ দেন ফরহাদ রেজার হাতে। তার পর ১৬ রান করা বিজয় হন রান আউটের শিকার। মাহমুদুল্লাহ ৭ আর ১ রান করে আউট হন জহিরুল ইসলাম। সেখান থেকে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ব্যাটে ঝড় তুলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন তরুণ শামীম হোসেন পাটোয়ারি। আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে করেন ৩৫ রান। ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন শহিদুল ইসলাম।