দেশ বিদেশ

চট্টগ্রামে বিদেশি টাকা বিক্রির নামে প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে

২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৮:২২ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে বিদেশি টাকা বিক্রির নামে দেশীয় টাকা হাতিয়ে নেয়া একটি প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দু’জনের মধ্যে একজন অটোরিকশাচালক। যাকে প্রতারক চক্রের হোতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের একজনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বরগুনার মো. আবু হানিফের ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন (৩৪) ও কুমিল্লার মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. জাহান হোসেন প্রকাশ সুমন (২৮)। এ ঘটনায় জড়িত রানা ও হালিম নামে দু’জন পলাতক আছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. মহসিন।
তিনি জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর এনায়েত বাজারে এবি ব্যাংক থেকে ৭০ হাজার টাকা তুলে জনৈক মোহাম্মদ হোসাইন কাজীর দেউড়ি খোয়াজা হোটেলের সামনে যান। সেখানে অটোরিকশা চালক সুমন তাকে প্রথমে কোথায় যাবেন ও অটোরিকশা লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করেন। এরপরই সুমন তাকে কয়েকটি বিদেশি নোট দেখিয়ে সেগুলো কোথায় গেলে বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করা যাবে জানতে চান। তবে মোহাম্মদ হোসাইন জবাব দেয়ার আগেই সেখানে তিনজন লোক এসে হাজির হন। তাদের একজন নোটগুলো দেখে প্রতিটির দাম ২২ হাজার টাকা হবে বলে চালক সুমনকে জানান। সুমন প্রতিটি ১৫ হাজার টাকা করে ২টি নোট ওই তিনজনের কাছে বিক্রি করেন।
ওসি মহসীন বলেন, দু’টি নোট কেনাবেচাটা ছিল পুরোটাই নাটক। এভাবে মোহাম্মদ হোসাইনের কাছে বিশ্বাস স্থাপন করে চালক সুমন তার কাছে ৬০ হাজার টাকায় আরো চারটি নোট বিক্রি করেন। কিন্তু বাসায় যাওয়ার পর তার ছেলে যাচাই বাছাই করে দেখেন সেগুলো প্রতিটি ওমানের এক টাকার মুদ্রা, যার মান বাংলাদেশি টাকায় বরং ২২ টাকা। তিনি আবার কাজীর দেউড়ির মোড়ে আসেন এবং কর্তব্যরত এস আই ধর্মেন্দু দাশকে বিষয়টি জানান।
ওসি মহসিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করি। সেই ফুটেজ থেকে অটোরিকশা ও চালককে শনাক্ত করি। তাকে স্টেশন রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে হালিশহর থেকে জয়নালকে গ্রেপ্তার করি। তার ঘরে পুরনো একটি চায়ের ফ্লাস্কের ভেতর থেকে ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানান।
সহকারী পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, গ্রেপ্তারের পর চালক সুমন তাদের চক্রের আরো তিনজনের কথা জানান। এদের মধ্যে জয়নালকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। রানা ও হালিম নামে আরো দুই জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে চালক সুমন হচ্ছে মূল হোতা। এরা নিরীহ লোকজনকে বিদেশি মুদ্রা দেখিয়ে প্রতারণার জাল পাতে। লোভের বশবর্তী হয়ে কেউ যদি সেই নোট কিনে ফেলে, এরপর দ্রুত তারা সেই স্থান ত্যাগ করে। আমরা প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিও জব্দ করেছি।
প্রতারণার শিকার মোহাম্মদ হোসাইন বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের আদালতে উপস্থাপন করে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরবর্তী কার্যদিবসে শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status