বিশ্বজমিন

বাইডেন-এরদোগান দোস্তি নাকি শত্রুতা!

মানবজমিন ডেস্ক

২৬ নভেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৪:১৪ পূর্বাহ্ন

রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে ন্যাটোর মিত্র তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টানা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ইরানকে কাউন্টার দেয়ার জন্যও তুরস্ককে মিত্র হিসেবে কাছে পাওয়া প্রয়োজন। শুধু এখানেই শেষ নয় মধ্যপ্রাচ্যে আরো সব জটিল সঙ্কট আছে তার সমাধানে তুরস্ককে পাশে পাওয়া প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন বাইডেন প্রশাসন যেসব পররাষ্ট্রনীতিকে অগ্রাধিকার দেবে এবং তাদের যে বিশ্বদর্শন হবে তার সঙ্গে তুরস্ক সরকারের অনেক ইস্যুতেই সংঘাত দেখা দিতে পারে। এ খবর দিয়ে অনলাইন এক্সিওজ লিখেছে, এসব ইস্যুতে বাইডেন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানের মধ্যে দেখা দিতে পারে উত্তেজনা। কারণ, ইরানের ওপর অবরোধ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই অবরোধ সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে তুরস্ক তার ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছিল। তারা রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা এস-৪০০ কিনেছিল। এ জন্য এফ-৩৫ কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বহিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তুরস্কের বিরুদ্ধে অবরোধ বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। এ ছাড়া এরদোগানকে সিরিয়ায় অবাধে সামরিক অপারেশন চালানোর অনুমোদন দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্প যখন একবার হোয়াইট হাউজ ছাড়বেন, তখন এসব সুবিধা হয়তো তুরস্ক আর পাবে না। যদি হোয়াইট হাউজ তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে তাহলে তাতে শুধু তুরস্কের অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন নয়। একই সঙ্গে ন্যাটোর আন্তর্জাতিক মিত্র হিসেবে তুরস্কের আভিজাত্য খর্ব হবে। এখানে আরো যা উল্লেখ করার কথা তাহলো, ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে সব শেষে জো বাইডেনকে তার বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন এরদোগান। অন্যদিকে তুরস্কের ধর্মনিরপেক্ষ প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি), কুর্দিপন্থি কুর্দিশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে।

জো বাইডেন ও এরদোগানের মধ্যে উত্তেজনাকর সম্পর্কের কাহিনী পুরনো। ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসে এক সাক্ষাৎকারে যেন বোমা ছোড়েন জো বাইডেন। তিনি এরদোগানকে একজন একনায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেন। একই সঙ্গে তিনি এরদোগানকে পরাজিত করতে বিরোধীদের সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দেন। বাইডেন বলেন, সীমান্ত দিয়ে বিদেশি জঙ্গিদের সিরিয়া যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে তুরস্ক। এ জন্য তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এরদোগানকে ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু এরদোগান তা করেন নি। সেই থেকে তাদের দু’জনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে তীব্র এক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়।  জো বাইডেনের ২০১৪ সালের সেইসব কথা সম্প্রতি নতুন করে তুরস্কে ভাইরাল হয়েছে। ফলে আবারও জো বাইডেনের সমালোচনা করতে বাধ্য হয়েছেন এরদোগান। এ অবস্থায় কেমন হবে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক সম্পর্ক তা সময়ই বলে দেবে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে কিছুটা সময়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status