বাংলারজমিন
গাজীপুরে পোশাক কারখানায় গরম পানি ঢেলে শিশু হত্যার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২৬ নভেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি পোশাক কারখানার বেবি কেয়ারে গরম পানিতে এক শিশুকে দগ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। দগ্ধ শিশুটি হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছে নিহতের স্বজনরা। পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় লোকজন জানান, শিশুর মা রিয়া মনি গার্মেন্টস অপারেটর পদে আর তার বাবা আজিবুর পাশের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর থানার শালিখা দেওগ্রামে। কারখানার পাশের ঈসা মণ্ডলের বাড়িতে থেকে তারা দুজনেই পোশাক কারখানায় চাকরি করে। নগরের কাশিমপুর বারেন্ডা এলাকার মিতালী গ্রুপের বেবি কেয়ারে গতকাল সকালে গরম পানিতে দগ্ধ হয় এক বছরের শিশু আয়েশা সিদ্দিকা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মারা যায় শিশুটি। শিশুটির স্বজনদের অভিযোগ, কারখানায় কর্মরত শিশুটির মা রিয়া মনির সঙ্গে বেবি কেয়ার-এর দায়িত্বে থাকা কর্মচারী আরিফার সঙ্গে কয়েকদিন আগের বাকবিতণ্ডার জেরে গত মঙ্গলবার সকালে শিশুটির মাথায় গরম পানি ঢেলে দেয়া হয়। এ কারণে বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে এ ঘটনার বিচার চেয়েছে তারা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারখানা এলাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন জানান, শিশুটির ময়নাতদন্ত করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে। ওর সঙ্গে কারো দায় কিংবা অবহেলা থাকলে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তবে এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারখানা এলাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন জানান, শিশুটির ময়নাতদন্ত করা হবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে। ওর সঙ্গে কারো দায় কিংবা অবহেলা থাকলে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তবে এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।