খেলা

মেহেদির রোমাঞ্চে মুশফিকদের হার

স্পোর্টস রিপোর্টার

২৫ নভেম্বর ২০২০, বুধবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

মুশফিকুর রহীমের দল বেক্সিমকো ঢাকার জয়ের জন্য ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। টি-টোয়েন্টিতে অসম্ভব নয় এমন লক্ষ্য। অলরাউন্ডার মুক্তার আলী ব্যাট হাতে তা প্রায় সম্ভব করেই ফেলেছিলেন। ফরহাদ রেজার এক ওভারেই তুলে নেন ২১ রান। অন্যদিকে এই আসরে ব্যাট হাতে প্রথম ফিফটি হাঁকানো মেহেদি হাসান বল হাতে আসেন শেষ ওভারে। তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ৬ বলে ৯ রান। দুই অলরাউন্ডারের নৈপুণ্যে রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে বল হাতে নায়ক হয়ে উঠেন তরুণ মেহেদি হাসান। তার অসাধারণ বোলিংয়ে ২ রানের জয় পায় রাজশাহী। এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহী। সেখান থেকে ব্যাট হাতে উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেন মেহেদি। দুজনের ৮৯ রানের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ১৬৯ রানের লড়াকু লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ঢাকাকে। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেট হাতে রেখেও থামতে হয় ১৬৭ রানে। অধিনায়ক মুশফিক করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান। তিন ছয় ও এক চারে মুক্তার আলী ১৬ বলে করেন ২৭ রান। অন্যদিকে করোনা মহামারির সময়ে দর্শক বিহীন গ্যালারিতে চার-ছক্কার জমজমটা লড়াইয়ে ম্যাচ সেরা হন মেহেদি হাসান।
টসে জিতে ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। শুরুতে বোলাররা  অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করেন দারুণভাবে। পেসার মুক্তার আলী ভিত নাড়িয়ে দেন রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনে। শুরুতে অধিনায়ক শান্ত (১৭) নাসুম আহমেদের বলে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে ক্যাচ দেন। সুবিধা করতে পারেননি রনি তালুকদার। এর দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আশরাফুলের সুযোগ আসে। মাত্র ৫ রান করে মুক্তার আলীর দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। দলের এই আসা যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওপেনার আনিসুর ইসলাম ইমন।
২৩ বছর বয়সী নারায়ণগঞ্জের এই ক্রিকেটার ২৩ বলে ৫ চার ও এক ছয়ে করেন ৩৫ রান। ধাক্কা সামলে উঠার আগেই  শুণ্য হাতে রান আউট হন ফজলে রাব্বি।  এরপরেই তান্ডব চালান মেহেদি হাসান। তরুন এই অলরাউন্ডার মাত্র ৩২ বলে ৫০ রান করেন চারটি ছয় ও ৩ টি চারের সাহায্যে। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ২০ বলে ৩৯ রান করা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নূরুল হাসান সোহান। এদের কল্যানে ১৬৯ রানের পুজি পায় রাজশাহী মিনিস্টার।
জবাব দিতে নেমে শুরুটাও ভালো হয়নি ঢাকার। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিম ১৭ রানে আউট হয়ে ফিরেন। এরপর আরেক ওপেনার ইয়াসির মেহেদির অফস্পিনে এলবিডাব্লিউর শিকারহন। তবে জাতীয় দলের তরুণ ওপেনার নাঈম শেখকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিক। নাঈম দূর্দান্ত খেলতে থাকেন। ২ চার ও ২ ছয়ে ১৭ বলে ২৬ রান করেন। কিন্তু  সেখানেই তাকে থামিয়ে দেন অভিজ্ঞ স্পিনার আরাফাত সানি। এরপর মুশফিক ও বিশ্বকাপ অধিনায়ক আকবর আলী লড়াই করেন। কিন্তু দলীয় ১২৬ রানের সময় ২৯ বলে ৩৪ রান করে ফিরেন আকবর। এরপর হাল ছাড়েন মুশফিকও। ৩ চার ১ ছয়ে ৪১ রান করে থামেন তিনি। শেষ দিকে লড়াই জমিয়ে দেয়া মুক্তারের সঙ্গে ছিলেন টি-টোয়েন্টি তারকা সাব্বির। কিন্তু তিনি মাত্র ৫ রানে অপরাজিত থাকেন ৭ বল খেলে। ঝড় তুলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকলে মুক্তার শেষ ওভারে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status