বাংলারজমিন
মাওলানা গোলাম সারোয়ার সাঈদীর জানাজায় লাখো মুসল্লির ঢল
কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
২২ নভেম্বর ২০২০, রবিবার, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
লাখো মুসল্লির শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চিরনিদ্রায় সমাহিত হলেন কসবা পৌর শহরের আড়াইবাড়ি দরবার শরীফের পীর সাহেব ও আড়াইবাড়ি ইসলামীয়া সাঈদীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (৫৩)। গতকাল শনিবার বাদ আছ দরবার শরীফের মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নেন। এরপর দরবার শরীফের কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এরআগে শনিবার ভোর ৪টা ২০ মিনিটে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে (সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতাল) ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)। হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) দীর্ঘ ১৬ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ও ডায়াবেটিসে ভোগছিলেন। এরই মধ্যে আবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এদিকে উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ আলেমে দ্বীনের জানাজায় অংশ গ্রহণ করতে ছাত্র, মুরিদ, ভক্ত আশেকানসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন শনিবার দুপুর থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন। জানাজায় দরবার শরীফের মাঠ, মাদ্রাসা মাঠ, কসবা-সৈয়দাবাদ সড়ক, কসবা-কুটি চৌমহনী সড়ক, কসবা-নয়নপুর সড়ক, কসবা নতুন বাজার, কদমতলী, বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ছাদে মুসল্লিরা অংশ নেন। প্রখ্যাত এ আলেমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানাজায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতায় এ আলেমের পরিবারের প্রতি শোক ও গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। প্রিয় এ মানুষটির মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা গেছে, গোলাম সারোয়ার সাঈদী ছিলেন একজন পীরজাদা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আড়াইবাড়ি দরবার শরিফের প্রয়াত পীর সাহেব আল্লামা হজরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ গোলাম হাক্কানীর (রহ.) সুযোগ্য সন্তান তিনি। এছাড়া আড়াইবাড়ী দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা হজরত মাওলানা আবু সাঈদ আসগর আহমাদ আল-কাদেরীর (র.) নাতি তিনি। গোলাম সারোয়ার সাঈদীর প্রপিতামহ ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নারুই গ্রামের হযরত মাওলানা মুকসুদ আলী (র.)। তিনি দেশবরেণ্য আলেম ছিলেন। গোলাম সারোয়ার সাঈদীর দাদা মাওলানা আবু সাঈদ আসগর আহমাদ ১৯৩৭ সালে কসবা উপজেলার পৌর সদরের আড়াইবাড়ি আলিয়া মাদরাসা ও একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তার ছেলে মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম হাক্কানী এর হাল ধরেন। তারপর মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার সাঈদী ২০০৪ সালে মাদরাসাকে কামিল মানে উন্নীত করেন। পাশাপাশি গড়ে তোলেন আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া ছায়েদীয়া এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং, আড়াইবাড়ি হাক্কানীয়া হাফেজি মাদরাসা, আড়াইবাড়ি সাইয়েদা সুরাইয়া নূরানী মাদরাসা, ইসলামী বুক ক্লাব। বর্তমানে ইবতেদায়ী, জুনিয়র, দাখিল, আলিম ও ফাজিল কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে সেখানে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মাদরাসাটি এলাকায় শিক্ষা বিস্তার, অনৈসলামিক কার্যকলাপ রোধসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে। দায়িত্ব নিয়ে মাদরাসার পাঠাগারকে মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইয়ে সমৃদ্ধ করেন মাওলানা মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার সাঈদী। তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দেন। মাওলানা শাহ মুহাম্মদ গোলাম হাক্কানীর তৃতীয় ছেলে মাওলানা মো. গোলাম সারোয়ার সাঈদী। তার পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সাঈদীই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। অন্যরা ব্যবসা ও চাকরিতে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুললেও মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার সাঈদী পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা মাওলানা মো. গোলাম সারোয়ার সাঈদী বিগত কয়েক বছরে ইউটিউব চ্যানেলে ইসলাম বিষয়ক নানা বিষয়ে বয়ান করতেন। এসব বয়ান তাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে।
এদিকে উপমহাদেশের প্রখ্যাত এ আলেমে দ্বীনের জানাজায় অংশ গ্রহণ করতে ছাত্র, মুরিদ, ভক্ত আশেকানসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন শনিবার দুপুর থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন। জানাজায় দরবার শরীফের মাঠ, মাদ্রাসা মাঠ, কসবা-সৈয়দাবাদ সড়ক, কসবা-কুটি চৌমহনী সড়ক, কসবা-নয়নপুর সড়ক, কসবা নতুন বাজার, কদমতলী, বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ছাদে মুসল্লিরা অংশ নেন। প্রখ্যাত এ আলেমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানাজায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতায় এ আলেমের পরিবারের প্রতি শোক ও গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। প্রিয় এ মানুষটির মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা গেছে, গোলাম সারোয়ার সাঈদী ছিলেন একজন পীরজাদা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আড়াইবাড়ি দরবার শরিফের প্রয়াত পীর সাহেব আল্লামা হজরত মাওলানা শাহ মুহাম্মদ গোলাম হাক্কানীর (রহ.) সুযোগ্য সন্তান তিনি। এছাড়া আড়াইবাড়ী দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা হজরত মাওলানা আবু সাঈদ আসগর আহমাদ আল-কাদেরীর (র.) নাতি তিনি। গোলাম সারোয়ার সাঈদীর প্রপিতামহ ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নারুই গ্রামের হযরত মাওলানা মুকসুদ আলী (র.)। তিনি দেশবরেণ্য আলেম ছিলেন। গোলাম সারোয়ার সাঈদীর দাদা মাওলানা আবু সাঈদ আসগর আহমাদ ১৯৩৭ সালে কসবা উপজেলার পৌর সদরের আড়াইবাড়ি আলিয়া মাদরাসা ও একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তার ছেলে মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম হাক্কানী এর হাল ধরেন। তারপর মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার সাঈদী ২০০৪ সালে মাদরাসাকে কামিল মানে উন্নীত করেন। পাশাপাশি গড়ে তোলেন আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া ছায়েদীয়া এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং, আড়াইবাড়ি হাক্কানীয়া হাফেজি মাদরাসা, আড়াইবাড়ি সাইয়েদা সুরাইয়া নূরানী মাদরাসা, ইসলামী বুক ক্লাব। বর্তমানে ইবতেদায়ী, জুনিয়র, দাখিল, আলিম ও ফাজিল কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে সেখানে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মাদরাসাটি এলাকায় শিক্ষা বিস্তার, অনৈসলামিক কার্যকলাপ রোধসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছে। দায়িত্ব নিয়ে মাদরাসার পাঠাগারকে মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইয়ে সমৃদ্ধ করেন মাওলানা মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার সাঈদী। তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দেন। মাওলানা শাহ মুহাম্মদ গোলাম হাক্কানীর তৃতীয় ছেলে মাওলানা মো. গোলাম সারোয়ার সাঈদী। তার পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সাঈদীই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। অন্যরা ব্যবসা ও চাকরিতে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুললেও মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার সাঈদী পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা মাওলানা মো. গোলাম সারোয়ার সাঈদী বিগত কয়েক বছরে ইউটিউব চ্যানেলে ইসলাম বিষয়ক নানা বিষয়ে বয়ান করতেন। এসব বয়ান তাকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে।