বাংলারজমিন
করোনা ভ্যাকসিনের অর্ধেক যাবে ধনী দেশগুলোর হাতে
স্টাফ রিপোর্টার
২২ নভেম্বর ২০২০, রবিবার, ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে ইউরোপ-আমেরিকার মতো ধনী দেশগুলোর জন্য প্রতিষেধক ভ্যাকসিন জরুরি হয়ে পড়েছে। ওষুধ কোম্পানিগুলোও প্রতিযোগিতা করছে একটি কার্যকরী প্রতিষেধক বাজারে আনতে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের চেষ্টা আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। ফাইজার ও বায়ো-এনটেক নামক দু’টি প্রতিষ্ঠান তাদের ভ্যাকসিন মানবদেহে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর মর্মে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে পুরো বিশ্বকে। দি ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব উন্নত দেশই চাইবে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের মাধ্যমে নিজেদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। এমন পরিস্থিতিতে অগ্রিম বাজার প্রতিশ্রুতি বা এএমসি’র মাধ্যমে ধনী রাষ্ট্রগুলো চুক্তি সম্পন্ন করে থাকে। ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইনোভেশনের একটি গবেষণা বলছে, উচ্চ আয়ের দেশগুলো এই প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রে অর্ধেক বাজার দখলে নিচ্ছে। আমেরিকা স্বয়ং ছয়ভাগের একভাগ অগ্রিম ক্রয় সম্পন্ন করছে। যা সংখ্যায় এক বিলিয়ন ডোজেরও বেশি এবং ছয়টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহের অর্ধেক। কানাডা তাদের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য দশ ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয় করছে। ধনী দেশগুলোর একটি গ্রুপ ফাইজার ও বায়ো-এনটেকের প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে যা ২০২১ সালে সম্ভাব্য উৎপাদিত ভ্যাকসিনের প্রায় অর্ধেক। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া ও বৃটেন জনপ্রতি ৫ ডোজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনপ্রতি ৩ ডোজের মতো ভ্যাকসিন অর্ডার করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপান জনপ্রতি দুই ডোজের বেশি; ভারত, ব্রাজিল, ল্যাটিন আমেরিকা ও উজবেকিস্তান জনপ্রতি এক ডোজ এবং ইন্দোনেশিয়া, কোস্টারিকা, মিশর, মেক্সিকো জনপ্রতি এক ডোজের কম ভ্যাকসিন অর্ডার করেছে। যেখানে বাংলাদেশের জনপ্রতি অর্ডার প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।