শেষের পাতা
করোনা
নতুন বাজারেও তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০২০, শনিবার, ৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
করোনা মহামারির মধ্যে বড় কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়লেও নতুন বাজারে কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) নতুন বাজারে রপ্তানি হয়েছে ১৬৩ কোটি ১১ লাখ ডলারের পোশাক। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০.০৮ শতাংশ কম। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ৪৫ কোটি ডলারের পোশাক। এরমধ্যে নতুন বাজারে গেছে ১৫ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে মোট পোশাক রপ্তানিতে নতুন বাজারে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭ শতাংশ।
উদ্যোক্তারা জানান, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে বিপর্যয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে নতুন বাজার হিসেবে খ্যাত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চিলিতেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে সব দেশেই পোশাক রপ্তানিতে নতুন করে সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন বাজারে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বাজারটিতে রপ্তানি বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ। আর কানাডায় গত জুলাই থেকে অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৯ কোটি ডলারের পোশাক, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.২৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ইইউতে রপ্তানি হয়েছে ৬৫০ কোটি ডলারের পোশাক। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.২২ শতাংশ কম। যদিও জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে বাজারটিতে রপ্তানি কমেছিল ১৮.৮৭ শতাংশ। সেই হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে ইইউতে পোশাক রপ্তানি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অর্থাৎ করোনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। বড় এই ৩ বাজার বাদে জাপান, ব্রাজিল, চিলি, চীন, ভারত ও মেক্সিকোতে রপ্তানি কমেছে।
সূত্রমতে, করোনার প্রভাবে ক্রয়াদেশ বাতিল ও কারখানা বন্ধ থাকায় গত এপ্রিলে পণ্য রপ্তানিতে ধস নামে। ওই মাসে মাত্র ৫২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। পরের মাসে সেটি বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ডলার। জুনে রপ্তানি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায়। সেই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২২৪ কোটি ডলারের পোশাক। তাতে গত অর্থবছরে ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়, যা আগের বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ কম।
নতুন বাজারে গত অর্থবছর ৪৭৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। তখন রপ্তানি কমেছিল ১৫.৯৫ শতাংশ। এরমধ্যে ব্রাজিলে ৩৩, চীনে ৩৪, দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৬, মেক্সিকোতে ১৮ ও ভারতে পোশাক রপ্তানি ১৫ শতাংশ কমেছিল। দেশগুলোর মধ্যে জাপানে ৯৬ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ৬০ কোটি, রাশিয়ায় ৪৪ কোটি ও ভারতে ৪২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে জাপানে ৩০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম। আগের বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরে জাপানে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬ কোটি ডলারের পোশাক। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে চীনে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের পোশাক। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয় ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের পণ্য। সেই হিসেবে গত জুলাই থেকে অক্টোবরে চীনে রপ্তানি কমেছে ৩১.৭৩ শতাংশ।
শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুবিধায় ভারতে কয়েক বছর ধরে পোশাক রপ্তানি বাড়ছিল। কিন্তু সেখানেও ২৭ শতাংশের মতো রপ্তানি কমেছে। দেশটিতে গত জুলাই থেকে অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি ডলারের পোশাক। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ২১ কোটি ডলারের। ব্রাজিলে রপ্তানি কমেছে ২৮.৬৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পোশাক।
বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চেয়ে নতুন বাজারের অধিকাংশ দেশে করোনার সংক্রমণ কম ছিল। ব্যতিক্রম হচ্ছে ব্রাজিল, চীন ও ভারত। তারপরও চলতি অর্থবছরের ৪ মাসে সামগ্রিকভাবে নতুন বাজারের পোশাক রপ্তানি কেন ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না, সেটি আমাদের কাছেও বোধগম্য নয়।
উদ্যোক্তারা জানান, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে বিপর্যয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে নতুন বাজার হিসেবে খ্যাত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চিলিতেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে সব দেশেই পোশাক রপ্তানিতে নতুন করে সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন বাজারে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বাজারটিতে রপ্তানি বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ। আর কানাডায় গত জুলাই থেকে অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৯ কোটি ডলারের পোশাক, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.২৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ইইউতে রপ্তানি হয়েছে ৬৫০ কোটি ডলারের পোশাক। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ০.২২ শতাংশ কম। যদিও জুনে শেষ হওয়া অর্থবছরে বাজারটিতে রপ্তানি কমেছিল ১৮.৮৭ শতাংশ। সেই হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে ইইউতে পোশাক রপ্তানি পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অর্থাৎ করোনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। বড় এই ৩ বাজার বাদে জাপান, ব্রাজিল, চিলি, চীন, ভারত ও মেক্সিকোতে রপ্তানি কমেছে।
সূত্রমতে, করোনার প্রভাবে ক্রয়াদেশ বাতিল ও কারখানা বন্ধ থাকায় গত এপ্রিলে পণ্য রপ্তানিতে ধস নামে। ওই মাসে মাত্র ৫২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। পরের মাসে সেটি বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ডলার। জুনে রপ্তানি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায়। সেই মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২২৪ কোটি ডলারের পোশাক। তাতে গত অর্থবছরে ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়, যা আগের বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ কম।
নতুন বাজারে গত অর্থবছর ৪৭৮ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছিল। তখন রপ্তানি কমেছিল ১৫.৯৫ শতাংশ। এরমধ্যে ব্রাজিলে ৩৩, চীনে ৩৪, দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৬, মেক্সিকোতে ১৮ ও ভারতে পোশাক রপ্তানি ১৫ শতাংশ কমেছিল। দেশগুলোর মধ্যে জাপানে ৯৬ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ৬০ কোটি, রাশিয়ায় ৪৪ কোটি ও ভারতে ৪২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে জাপানে ৩০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম। আগের বছরের জুলাই থেকে অক্টোবরে জাপানে রপ্তানি হয়েছিল ৩৬ কোটি ডলারের পোশাক। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে চীনে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের পোশাক। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয় ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের পণ্য। সেই হিসেবে গত জুলাই থেকে অক্টোবরে চীনে রপ্তানি কমেছে ৩১.৭৩ শতাংশ।
শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির সুবিধায় ভারতে কয়েক বছর ধরে পোশাক রপ্তানি বাড়ছিল। কিন্তু সেখানেও ২৭ শতাংশের মতো রপ্তানি কমেছে। দেশটিতে গত জুলাই থেকে অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি ডলারের পোশাক। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ২১ কোটি ডলারের। ব্রাজিলে রপ্তানি কমেছে ২৮.৬৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পোশাক।
বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চেয়ে নতুন বাজারের অধিকাংশ দেশে করোনার সংক্রমণ কম ছিল। ব্যতিক্রম হচ্ছে ব্রাজিল, চীন ও ভারত। তারপরও চলতি অর্থবছরের ৪ মাসে সামগ্রিকভাবে নতুন বাজারের পোশাক রপ্তানি কেন ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না, সেটি আমাদের কাছেও বোধগম্য নয়।