শেষের পাতা
৮ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান
শাহজাদপুরে বিস্ফোরকসহ ৪ জঙ্গি আটক
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
২১ নভেম্বর ২০২০, শনিবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুরে শ্বাসরুদ্ধকর ৮ ঘণ্টার অভিযানে বিস্ফোরকসহ ৪ জঙ্গিকে আটক করেছে র্যাব। পৌর সদরের শেরখালী উকিলপাড়া এলাকার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামছুল হক রাজার বাড়িতে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ অভিযান চালায় র্যাব-১২-এর একটি দল। এ অভিযানে জেএমবি’র পাবনা-সিরাজগঞ্জ জেলার আঞ্চলিক কমান্ডার সহ ৪ জঙ্গীকে আটক করা হয়। এরা হলেন, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কিরণ ওরফে হামীম শামীম (২২), সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার আমিনুল ইসলাম শান্ত (২৫), সাঁথিয়া উপজেলার নাঈমুল ইসলাম (২১) ও দিনাজপুর জেলার আতিউর রহমান (২২)। এরা সবাই পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার আল-হেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র।
অভিযান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্র্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর শাহ্ মখদুম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবি’র রাজশাহী বিভাগীয় কমান্ডার জুয়েল আলী ওরফে মাহমুদ সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুরে তাদের আরো কয়েকজন জঙ্গি অবস্থান করছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে শাহ্জাদপুরের ওই বাড়িতে র্যাব’র একটি দল অভিযান শুরু করে। সেখানে অবস্থানরত জঙ্গিরা র্যাব’র উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। হতাহতের ঘটনা এড়াতে র্যাব’র দলটি কৌশল পরিবর্তন করে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। এতে সাড়া না দিয়ে তারা র্যাবকে বোমা মেরে এলাকা উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ফলে র্যাব কৌশল পরিবর্তন করে। হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ র্যাব’র একটি শক্তিশালী টিম ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। এ ছাড়া এলাকাবাসীকে সতর্ক অবস্থানে রাখে। ওই বাড়ির আশাপাশের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ ডিবি, সিআইডি সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করেন। এরপর র্যাব’র টিমটি সকাল ১০টার দিকে নতুন করে অভিযান শুরু করে জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশ করে। এ সময় জঙ্গিরা আত্মসমর্পণে রাজি হয়। পরে র্যাব’র ওই দলটি তাদের আটক করে বাড়ির বাইরে আনতে সক্ষম হয়। তাদের আটকের পর বাড়িটি তল্লাশি করে জঙ্গিদের বেশ কিছু সাংগঠনিক বই, দুইটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গান পাউডার, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, রাসায়নিক বিস্ফোরকদ্রব্য ও দলের একটি পতাকা উদ্ধার করে। এছাড়া ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬টি শক্তিশালী তাজা বোমা নিষ্ক্রিয় করে বাড়িটি সিলগালা করে দেয়। তিনি আরো বলেন, ২৫ দিন আগে শাহ্জাদপুরের শেরখালী এলাকার শামছুল হক রাজার বাড়িটি তারা ভাড়া নেয়। তারা এ এলাকার নিরীহ ও সরল ছাত্রদের দলে ভিড়িয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়ার চেষ্টা করছিল। তিনি বলেন, এ দিন রাতে তাদের সাংগঠনিক মিটিং ছিল। সেই খবর জানতে পেরেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে হেলিকপ্টার যোগে আটক জঙ্গিদের ঢাকায় নেয়া হয়।
এদিকে জঙ্গি আস্তানার খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তা-ঘাটে লোক সমাগম কমে যায়। অপরদিকে শত শত উৎসুক মানুষ জঙ্গিদের একনজর দেখতে সেখানে ভিড় জমায়। তাদের এ ভিড় সামলাতে শাহজাদপুর থানা পুলিশকে বেশ হিমশিম খেতে হয়।
এলাকাবাসী জানায়, বেড়ার আল-হেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে আগে থেকেই নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও শাহজাদপুরে জঙ্গি তৎপরতা ছিল না। হঠাৎ করে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ায় তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের বাড়িওয়ালার এক নিকট আত্মীয় জানান, ২৫ দিন আগে দুই ছাত্র এসে এ বাড়িটি ভাড়া নেয়। ওই দুই ছাত্রের অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র নিশ্চিত হয়েই তাদের ভাড়া দেয়া হয়।
অভিযান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্র্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহীর শাহ্ মখদুম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবি’র রাজশাহী বিভাগীয় কমান্ডার জুয়েল আলী ওরফে মাহমুদ সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুরে তাদের আরো কয়েকজন জঙ্গি অবস্থান করছে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে শাহ্জাদপুরের ওই বাড়িতে র্যাব’র একটি দল অভিযান শুরু করে। সেখানে অবস্থানরত জঙ্গিরা র্যাব’র উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। হতাহতের ঘটনা এড়াতে র্যাব’র দলটি কৌশল পরিবর্তন করে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এরপর হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। এতে সাড়া না দিয়ে তারা র্যাবকে বোমা মেরে এলাকা উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ফলে র্যাব কৌশল পরিবর্তন করে। হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ র্যাব’র একটি শক্তিশালী টিম ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। এ ছাড়া এলাকাবাসীকে সতর্ক অবস্থানে রাখে। ওই বাড়ির আশাপাশের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ ডিবি, সিআইডি সহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করেন। এরপর র্যাব’র টিমটি সকাল ১০টার দিকে নতুন করে অভিযান শুরু করে জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশ করে। এ সময় জঙ্গিরা আত্মসমর্পণে রাজি হয়। পরে র্যাব’র ওই দলটি তাদের আটক করে বাড়ির বাইরে আনতে সক্ষম হয়। তাদের আটকের পর বাড়িটি তল্লাশি করে জঙ্গিদের বেশ কিছু সাংগঠনিক বই, দুইটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গান পাউডার, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, রাসায়নিক বিস্ফোরকদ্রব্য ও দলের একটি পতাকা উদ্ধার করে। এছাড়া ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬টি শক্তিশালী তাজা বোমা নিষ্ক্রিয় করে বাড়িটি সিলগালা করে দেয়। তিনি আরো বলেন, ২৫ দিন আগে শাহ্জাদপুরের শেরখালী এলাকার শামছুল হক রাজার বাড়িটি তারা ভাড়া নেয়। তারা এ এলাকার নিরীহ ও সরল ছাত্রদের দলে ভিড়িয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়ার চেষ্টা করছিল। তিনি বলেন, এ দিন রাতে তাদের সাংগঠনিক মিটিং ছিল। সেই খবর জানতে পেরেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে হেলিকপ্টার যোগে আটক জঙ্গিদের ঢাকায় নেয়া হয়।
এদিকে জঙ্গি আস্তানার খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তা-ঘাটে লোক সমাগম কমে যায়। অপরদিকে শত শত উৎসুক মানুষ জঙ্গিদের একনজর দেখতে সেখানে ভিড় জমায়। তাদের এ ভিড় সামলাতে শাহজাদপুর থানা পুলিশকে বেশ হিমশিম খেতে হয়।
এলাকাবাসী জানায়, বেড়ার আল-হেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিষয়ে আগে থেকেই নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও শাহজাদপুরে জঙ্গি তৎপরতা ছিল না। হঠাৎ করে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ায় তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের বাড়িওয়ালার এক নিকট আত্মীয় জানান, ২৫ দিন আগে দুই ছাত্র এসে এ বাড়িটি ভাড়া নেয়। ওই দুই ছাত্রের অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র নিশ্চিত হয়েই তাদের ভাড়া দেয়া হয়।