এক্সক্লুসিভ
ওই চিঠি ছিল আমার জন্য সর্বনাশের
কাজল ঘোষ
২১ নভেম্বর ২০২০, শনিবার, ৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
আমি জানি, সমানুপাতিক ন্যায়বিচার আমার আকাঙ্ক্ষা। আইন প্রয়োগ ছিল অসমান, কখনও বা এটি শুধুই নকশা। কিন্তু আমি এও জানতাম নিয়মের গলদ কোথায় আছে, যা অপরিবর্তনীয় সত্য। আমি সেই পরিবর্তনের অংশ হতে চেয়েছিলাম।
আমার মায়ের একটি প্রিয় উক্তি ছিল, কাউকে বলার সুযোগ দেবে না তুমি কে? তুমি নিজে তাদের বলবে, তুমি কে? এবং আমি তাই করতাম। আমি আমার জীবনে সবসময় নতুন কিছুর উদ্ভাবন হতে দেখেছি। বাইরে থেকে ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিবাদ ও মিছিল পরিবেষ্টিত অবস্থায় নিজেকে দেখেছি। কিন্তু আমি এও জানতাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যারা ভেতরে আছেন তাদের। যে টেবিল থেকে এই সিদ্ধান্তগুলো প্রণীত হয়ে আসছিল। যখন কর্মীরা প্রতিবাদ করতে করতে দরোজায় কড়া নাড়ে আমি তখন অপর দিকে থাকতে চাই তাদের সহায়তার জন্য।
আমি আমার নিজের ভাবমূর্তি নিয়েই একজন বিচারকের আসনে বসতে চেয়েছি। আমি এই চাকরিতে যেতে চাচ্ছিলাম আমার অভিজ্ঞতা ও দেখার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আমার মায়ের কাছ থেকে যে জ্ঞান অর্জন করেছিলাম, রেইনবো সাইন হল এবং হাওয়ার্ড ইয়ার্ড থেকে যে জ্ঞান অর্জন করেছিলাম।
অপরাধ মূলক ন্যায্যতা সম্পর্কে আমার জ্ঞানের একটি প্রয়োজনীয় অংশ আমাকে বলছিল, একটি মিথ্যা পছন্দ মেনে নিতে। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আমাদের বলা হয়েছিল, এর দু’টি উপায় নিয়ে। অপরাধ দমনে হয় কঠোর হতে হবে নয় নরম হতে হবে। অত্যাধিক সরলীকরণ করায় মানুষের নিরাপত্তার বাস্তব পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করছিল।
তুমি তোমার পাড়া প্রতিবেশীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে অপরাধ দমন করতে বলতে চাইতে পারো আবার অত্যাধিক বলপ্রয়োগের নিন্দাও জানাতে পারো। তুমি তোমার রাস্তায় একজন খুনিকে দমন করতে বলতে পারো আবার এক্ষেত্রে তারা যেন জাতিগত প্রোপাইলিং ব্যবহার না করে তাও চাইতে পারে। তুমি বিশ্বাস করতে পারো দায়িত্ব ও পরিণীতির আবশ্যকতা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীর ক্ষেত্রে এবং বিরোধিতা করতে পারো অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠাতে। আমি বিশ্বাস করতাম এটা অপরিহার্য ছিল, এ বিষয়গুলো এক সুতোয় গাঁথা।
আমার গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ শেষে ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি হিসেবে আমার অবস্থান গ্রহণের জন্য আমি রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমার শুধু দরকার ছিল ’ল স্কুলের সবকিছু শেষে বার পরীক্ষায় অংশ নেয়া এবং তারপর আদালত কক্ষে আমার পেশা করতে আমি সক্ষম হতাম।
১৯৮৯ সালের বসন্তে ল’ স্কুলে পড়া শেষ করে এ বছরের জুলাই মাসে আমি বার পরীক্ষায় অংশ নিই। গ্রীষ্মের শেষদিকে আমার মনে হলো আমার ভবিষ্যৎ পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল। আমি যেমনটি চেয়েছিলাম সেই ক্ষণ গণনা শুরু হলো।
এক ধাক্কায় আমার পথ আটকে গেল। নভেম্বরে স্টেট বার থেকে আমার কাছে চিঠি এল যা ছিল আমার জন্য সর্বনাশের। আমি বার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছি। আমার মাথায় এ নিয়ে কিছু আসছিল না। এটা বহন করা আমার জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টের। আমার মা সবসময় বলতেন, আধাআধি কিছু করবে না। আমার মনের মধ্যে সবসময় তা ঘুরতো। আমি ছিলাম কঠোর পরশ্রিমী। আমি ছিলাম পরিপূর্ণ মানুষ। আমি কোনো কিছুই নিশ্চিন্তভাবে ধরে নিতাম না। কিন্তু আমি চিঠি হাতে নিয়ে উপলব্ধি করেছি আমি বার পড়ার সময় সঠিক ভাবে কাজটি করিনি।
কমালা হ্যারিসের অটোবায়োগ্রাফি ‘দ্য ট্রুথ উই হোল্ড’ বই থেকে
আমার মায়ের একটি প্রিয় উক্তি ছিল, কাউকে বলার সুযোগ দেবে না তুমি কে? তুমি নিজে তাদের বলবে, তুমি কে? এবং আমি তাই করতাম। আমি আমার জীবনে সবসময় নতুন কিছুর উদ্ভাবন হতে দেখেছি। বাইরে থেকে ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিবাদ ও মিছিল পরিবেষ্টিত অবস্থায় নিজেকে দেখেছি। কিন্তু আমি এও জানতাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যারা ভেতরে আছেন তাদের। যে টেবিল থেকে এই সিদ্ধান্তগুলো প্রণীত হয়ে আসছিল। যখন কর্মীরা প্রতিবাদ করতে করতে দরোজায় কড়া নাড়ে আমি তখন অপর দিকে থাকতে চাই তাদের সহায়তার জন্য।
আমি আমার নিজের ভাবমূর্তি নিয়েই একজন বিচারকের আসনে বসতে চেয়েছি। আমি এই চাকরিতে যেতে চাচ্ছিলাম আমার অভিজ্ঞতা ও দেখার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আমার মায়ের কাছ থেকে যে জ্ঞান অর্জন করেছিলাম, রেইনবো সাইন হল এবং হাওয়ার্ড ইয়ার্ড থেকে যে জ্ঞান অর্জন করেছিলাম।
অপরাধ মূলক ন্যায্যতা সম্পর্কে আমার জ্ঞানের একটি প্রয়োজনীয় অংশ আমাকে বলছিল, একটি মিথ্যা পছন্দ মেনে নিতে। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আমাদের বলা হয়েছিল, এর দু’টি উপায় নিয়ে। অপরাধ দমনে হয় কঠোর হতে হবে নয় নরম হতে হবে। অত্যাধিক সরলীকরণ করায় মানুষের নিরাপত্তার বাস্তব পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করছিল।
তুমি তোমার পাড়া প্রতিবেশীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে অপরাধ দমন করতে বলতে চাইতে পারো আবার অত্যাধিক বলপ্রয়োগের নিন্দাও জানাতে পারো। তুমি তোমার রাস্তায় একজন খুনিকে দমন করতে বলতে পারো আবার এক্ষেত্রে তারা যেন জাতিগত প্রোপাইলিং ব্যবহার না করে তাও চাইতে পারে। তুমি বিশ্বাস করতে পারো দায়িত্ব ও পরিণীতির আবশ্যকতা বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীর ক্ষেত্রে এবং বিরোধিতা করতে পারো অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠাতে। আমি বিশ্বাস করতাম এটা অপরিহার্য ছিল, এ বিষয়গুলো এক সুতোয় গাঁথা।
আমার গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ শেষে ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি হিসেবে আমার অবস্থান গ্রহণের জন্য আমি রোমাঞ্চিত ছিলাম। আমার শুধু দরকার ছিল ’ল স্কুলের সবকিছু শেষে বার পরীক্ষায় অংশ নেয়া এবং তারপর আদালত কক্ষে আমার পেশা করতে আমি সক্ষম হতাম।
১৯৮৯ সালের বসন্তে ল’ স্কুলে পড়া শেষ করে এ বছরের জুলাই মাসে আমি বার পরীক্ষায় অংশ নিই। গ্রীষ্মের শেষদিকে আমার মনে হলো আমার ভবিষ্যৎ পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল। আমি যেমনটি চেয়েছিলাম সেই ক্ষণ গণনা শুরু হলো।
এক ধাক্কায় আমার পথ আটকে গেল। নভেম্বরে স্টেট বার থেকে আমার কাছে চিঠি এল যা ছিল আমার জন্য সর্বনাশের। আমি বার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছি। আমার মাথায় এ নিয়ে কিছু আসছিল না। এটা বহন করা আমার জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টের। আমার মা সবসময় বলতেন, আধাআধি কিছু করবে না। আমার মনের মধ্যে সবসময় তা ঘুরতো। আমি ছিলাম কঠোর পরশ্রিমী। আমি ছিলাম পরিপূর্ণ মানুষ। আমি কোনো কিছুই নিশ্চিন্তভাবে ধরে নিতাম না। কিন্তু আমি চিঠি হাতে নিয়ে উপলব্ধি করেছি আমি বার পড়ার সময় সঠিক ভাবে কাজটি করিনি।
কমালা হ্যারিসের অটোবায়োগ্রাফি ‘দ্য ট্রুথ উই হোল্ড’ বই থেকে