বাংলারজমিন
কিশোরীর ইজ্জতের মূল্য লাখ টাকা
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২০ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ৭:৪০ পূর্বাহ্ন
বন্দরে ১ লাখ টাকায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা রফাদফার পর ধর্ষিতার পরিবারকে ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে গ্রাম্য মাতবরদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতে মদনপুর ফুলহর গ্রামের শফরউদ্দিনের বাড়িতে এ সালিশ বৈঠক হয়। ধর্ষক আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) ২৭নং ওয়ার্ড বন্দরের ফুলহর গ্রামের মৃত মুল্লুক চাঁন মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক শফরউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাছ ব্যবসায়ীর কিশোরী কন্যা (১৩) কে গত ২রা নভেম্বর রাতে ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ৮ই নভেম্বর মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বাড়ির মালিক শফরউদ্দিন, তার ভাই সালাম, গ্রাম্য মাতবর রফিজউদ্দিন, কাইয়ূম ও হানিফ এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় আব্দুর রাজ্জাককে। বৈঠকে রায়ের টাকা ভুক্তভোগীর পরিবারের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে রাতেই ওই বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ী জানান, ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক শফরউদ্দিনের ভাই সালাম, মাতবর রফিজউদ্দিন, কাইয়ূম ও হানিফ আমার মেয়ের ইজ্জতের মূল্য হিসাবে আমাকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। নিরুপায় হয়ে মেয়ে ও পরিবার নিয়ে আমি গ্রামের বাড়ি চলে এসেছি। মাতবর রফিজউদ্দিন বলেন, সালিশ বৈঠক বাড়ির মালিকের ভাই ও মেয়ে করেছেন। আমরা কয়েকজন সঙ্গে ছিলাম। মাতবর হানিফা বলেন, আমি এখন জামাতে আছি। তাই কিছু বলতে পারবো না। মানবাধিকার কর্মী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এ ঘটনা আমরা শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম বিষয়টি আমলে না নিয়ে বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক শফরউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাছ ব্যবসায়ীর কিশোরী কন্যা (১৩) কে গত ২রা নভেম্বর রাতে ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে ৮ই নভেম্বর মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বাড়ির মালিক শফরউদ্দিন, তার ভাই সালাম, গ্রাম্য মাতবর রফিজউদ্দিন, কাইয়ূম ও হানিফ এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় আব্দুর রাজ্জাককে। বৈঠকে রায়ের টাকা ভুক্তভোগীর পরিবারের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে রাতেই ওই বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ী জানান, ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক শফরউদ্দিনের ভাই সালাম, মাতবর রফিজউদ্দিন, কাইয়ূম ও হানিফ আমার মেয়ের ইজ্জতের মূল্য হিসাবে আমাকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতে দিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। নিরুপায় হয়ে মেয়ে ও পরিবার নিয়ে আমি গ্রামের বাড়ি চলে এসেছি। মাতবর রফিজউদ্দিন বলেন, সালিশ বৈঠক বাড়ির মালিকের ভাই ও মেয়ে করেছেন। আমরা কয়েকজন সঙ্গে ছিলাম। মাতবর হানিফা বলেন, আমি এখন জামাতে আছি। তাই কিছু বলতে পারবো না। মানবাধিকার কর্মী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এ ঘটনা আমরা শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম বিষয়টি আমলে না নিয়ে বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।