বাংলারজমিন
প্রায় ৫০ ভাগ ইলিশ ডিম ছেড়েছে
চাঁদপুর প্রতিনিধি
২০২০-১১-১৯
ক্রমাগত বাড়ছেই প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশের ডিম ছাড়ার হার। এ বছর দেড় থেকে দুই ভাগ বেশি মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পাওয়ার হার অন্তত ৫০ ভাগ ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ইলিশ গবেষকরা। মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে পূর্বের ইলিশের সঙ্গে এ বছর প্রায় সাড়ে ৮শ’ কোটি ইলিশের পোনা যুক্ত হবে। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষায় গত ১৪ই অক্টোবর থেকে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ অঞ্চলের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার জলসীমায় ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। গবেষণায় প্রাথমিকভাবে লক্ষ্য করা গেছে গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে দেড় থেকে দুই ভাগ বেশি মা ইলিশ প্রজনন কার্যক্রম সম্পন্ন করার সুযোগ পেরেছে। যা গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ছিল ৪৮.৯২ ভাগ, ২০১৮ সালে ৪৭.৭৫ভাগ, ২০১৭ সালে ৪৬.৪৭ ভাগ, ২০১৬ সালে ৪৩.৪৫ ভাগ, ২০১৫ সালে প্রায় ৩৭ ভাগ, ২০১৪ সালে ৩৮ দশমিক ৭৮ ভাগ। এটি অবশ্যই ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের জন্যে ইতিবাচক দিক। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান জানান, অভয়াশ্রম কার্যক্রমে সরকারি তদারকি বৃদ্ধির কারণে সাগর থেকে মা ইলিশ নদীতে এসে ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। যে কারণে ক্রমাগত বাড়ছে মা ইলিশের প্রজননের হার, এতে বাড়বে ইলিশের উৎপাদন। বিগত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কথা জানালেন এ ইলিশ গবেষক।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকতা মৎস্য কর্মকতা আসাদুল বাকী জানান, মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের সময় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাঁচটি টিম ভোলার মনপুরা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও চাঁদপুরের নদীতে অবস্থান করে। কারণ এ সময়ে ইলিশের এ প্রজনন মৌসুমে ৮০ ভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে মিঠা পানিতে আসে। অল্পসংখ্যক অসাধু জেলে ছাড়া বেশির ভাগ জেলেই এবার মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল করতে সহযোগিতা করেছে। তাই ক্রমাগত ইলিশ উৎপাদন অব্যাহত উল্লেখ্য, ২২ দিনে ২৮৫টি অভিযানে ৬৫টি ভ্রামামাণ আদালত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় মোট ৩১১ জনকে দণ্ড দেন। এর মধ্যে ২৪৮ জনকে কারাদণ্ড বাকিদের অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এসব ঘটনায় মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে ৭৪টি মামলা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৯২ কেজি ইলিশ ও ৭ কোটি ৪ লাখ ৪৬ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও অন্যান্য জাল।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকতা মৎস্য কর্মকতা আসাদুল বাকী জানান, মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের সময় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাঁচটি টিম ভোলার মনপুরা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও চাঁদপুরের নদীতে অবস্থান করে। কারণ এ সময়ে ইলিশের এ প্রজনন মৌসুমে ৮০ ভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে মিঠা পানিতে আসে। অল্পসংখ্যক অসাধু জেলে ছাড়া বেশির ভাগ জেলেই এবার মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল করতে সহযোগিতা করেছে। তাই ক্রমাগত ইলিশ উৎপাদন অব্যাহত উল্লেখ্য, ২২ দিনে ২৮৫টি অভিযানে ৬৫টি ভ্রামামাণ আদালত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় মোট ৩১১ জনকে দণ্ড দেন। এর মধ্যে ২৪৮ জনকে কারাদণ্ড বাকিদের অর্থদণ্ড দেয়া হয়। এসব ঘটনায় মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে ৭৪টি মামলা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৯২ কেজি ইলিশ ও ৭ কোটি ৪ লাখ ৪৬ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও অন্যান্য জাল।