শরীর ও মন
করোনা, সৌমিত্রের মৃত্যু, শীতে সতর্কতা; যেসব ঔষধ সেবন উচিত এবং অনুচিত
ডাঃ রুমি আহমেদ
১৬ নভেম্বর ২০২০, সোমবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
আজ স্যোশাল মিডিয়াতে সারাদিন সৌমিত্র, ফেলুদা, অপু ,উদয় পন্ডিত কথাগুলো বার বার - হাজার বার ভেসে এসেছে।
কিন্তু যেই সম্পূরক কথাগুলো আসে নাই - তা হলো অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কোভিড নিউমোনিয়া ও এর জটিলতয়ায় মারা গিয়েছেন। আমার ফেইসবুকের পাঁচহাজার বন্ধু যতবার বলছেন রিপ (RIP) ফেলুদা - অন্তত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর সম্মানে আজ সবাই যদি একবার করে বলতেন -'কোভিড প্রাণঘাতী, মাস্ক পড়লে আর ইনডোর সমাগম পরিহার করলে কোভিড প্রতিরোধ করা যায়' - সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর অজুহাতে অনেক জীবন বাঁচতো কোভিড নিউমোনিয়া এর হাত থেকে!
শীতকাল আসছে - আবার আসছে কোভিড নিউমোনিয়ার নুতন সুনামি! তার উপর শীতকাল বাংলাদেশের বিয়েশাদি ইত্যাদির মৌসুম। দেশের একটা বড় অংশ মানুষের মধ্যে মাস্ক পড়া বা জনসমাগম বা জনসমাবেশ পরিহার করার কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না! মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে গণহারে - মারা যাচ্ছে নীরবে নিভৃতে৷ কিন্তু আমরা একটা মৌসুম বা একটা বছর আমোদ ফুর্তি ত্যাগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছি না!
কোভিড সংক্রমণ রোধে পিপিই / মাস্ক এর সাপ্লাই চাহিদার ব্যবধ্যান ধীরে ধীরে ঘুচছে। N-95 নিয়ে দিওয়ানা হবার দরকার নেই - বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া সংক্রমণ রোধে লেভেল থ্রি মাস্ক আর আই প্রটেকশন ই যথেষ্ট। আর ডিসপোজেবল পেপার গাউন হলেই চলবে!
পজিটিভ হলেই চিকিৎসা নেবার দরকার নেই! নিউমোনিয়ার লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট বা লো অক্সিজেন হলে চিকিৎসা নিতে হবে। একমাত্র কার্যকর ঔষধ যা মৃত্যুহার কমায় তা হলো ডেক্সামিথাসন/ ওরাডেক্সন / প্রেডনিসোলোন/ হাইড্রোকর্টিসোন|
রেমিডেসিভির অসুখের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োগ করলে হয়তো রোগের প্রকোপ কমতে পারে - কিন্তু যত দিন যাচ্ছে/ যত গবেষণার ফল হাতে আসছে রেমেডিসিভির এর কার্যকারিতা ততই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমি এখন আর রোগী রেমেডিসিভির পেলো কিনা তা নিয়ে মাথা ঘামাই না!
একইভাবে টোসিলিজুম্যাব (এনকিনরা) ও এখন আর ব্যবহার করা হয় না- এটার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয় নাই।
ফ্যাবিপারীভির কখনোই কার্যকরী ছিল না / এখনও কার্যকরী না। জানি না বাংলাদেশের মানুষজন মুড়ি মুড়কির মতো ফ্যাবিপারীভির কেন খাচ্ছেন।
ক্লেকসেন বা রিভারক্স টাইপের রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধক ঔষুধ প্রতিরোধক ডোজ এ প্রয়োগ শুধু হাসপাতালে ভর্তি সিরিয়াস অসুস্থ রোগীদের জন্য! শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার কোন প্রমাণ বা লক্ষণ ছাড়া পুরো হাই ডোজের ঔষধ বা বাড়িতে এই ঔষধ সেবন করা অপ্রয়োজনীয় ও খুব ঝুকিপূর্ণ !
আবারো বলি মাস্ক পড়ুন আর এই শীতকালে বিয়ে শাদীর ইনডোর অনুষ্ঠান পরিহার করুন! জীবন বাঁচান! বিশেষ করে আপনার বাবা মা বা মুরুব্বিদের জীবন!
লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অংগরাজ্যের অরল্যান্ডো রিজিওনাল হেলথ সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ট্রেনিং পরিচালক
কিন্তু যেই সম্পূরক কথাগুলো আসে নাই - তা হলো অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কোভিড নিউমোনিয়া ও এর জটিলতয়ায় মারা গিয়েছেন। আমার ফেইসবুকের পাঁচহাজার বন্ধু যতবার বলছেন রিপ (RIP) ফেলুদা - অন্তত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর সম্মানে আজ সবাই যদি একবার করে বলতেন -'কোভিড প্রাণঘাতী, মাস্ক পড়লে আর ইনডোর সমাগম পরিহার করলে কোভিড প্রতিরোধ করা যায়' - সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর অজুহাতে অনেক জীবন বাঁচতো কোভিড নিউমোনিয়া এর হাত থেকে!
শীতকাল আসছে - আবার আসছে কোভিড নিউমোনিয়ার নুতন সুনামি! তার উপর শীতকাল বাংলাদেশের বিয়েশাদি ইত্যাদির মৌসুম। দেশের একটা বড় অংশ মানুষের মধ্যে মাস্ক পড়া বা জনসমাগম বা জনসমাবেশ পরিহার করার কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না! মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে গণহারে - মারা যাচ্ছে নীরবে নিভৃতে৷ কিন্তু আমরা একটা মৌসুম বা একটা বছর আমোদ ফুর্তি ত্যাগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছি না!
কোভিড সংক্রমণ রোধে পিপিই / মাস্ক এর সাপ্লাই চাহিদার ব্যবধ্যান ধীরে ধীরে ঘুচছে। N-95 নিয়ে দিওয়ানা হবার দরকার নেই - বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া সংক্রমণ রোধে লেভেল থ্রি মাস্ক আর আই প্রটেকশন ই যথেষ্ট। আর ডিসপোজেবল পেপার গাউন হলেই চলবে!
পজিটিভ হলেই চিকিৎসা নেবার দরকার নেই! নিউমোনিয়ার লক্ষণ যেমন শ্বাসকষ্ট বা লো অক্সিজেন হলে চিকিৎসা নিতে হবে। একমাত্র কার্যকর ঔষধ যা মৃত্যুহার কমায় তা হলো ডেক্সামিথাসন/ ওরাডেক্সন / প্রেডনিসোলোন/ হাইড্রোকর্টিসোন|
রেমিডেসিভির অসুখের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োগ করলে হয়তো রোগের প্রকোপ কমতে পারে - কিন্তু যত দিন যাচ্ছে/ যত গবেষণার ফল হাতে আসছে রেমেডিসিভির এর কার্যকারিতা ততই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমি এখন আর রোগী রেমেডিসিভির পেলো কিনা তা নিয়ে মাথা ঘামাই না!
একইভাবে টোসিলিজুম্যাব (এনকিনরা) ও এখন আর ব্যবহার করা হয় না- এটার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয় নাই।
ফ্যাবিপারীভির কখনোই কার্যকরী ছিল না / এখনও কার্যকরী না। জানি না বাংলাদেশের মানুষজন মুড়ি মুড়কির মতো ফ্যাবিপারীভির কেন খাচ্ছেন।
ক্লেকসেন বা রিভারক্স টাইপের রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধক ঔষুধ প্রতিরোধক ডোজ এ প্রয়োগ শুধু হাসপাতালে ভর্তি সিরিয়াস অসুস্থ রোগীদের জন্য! শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার কোন প্রমাণ বা লক্ষণ ছাড়া পুরো হাই ডোজের ঔষধ বা বাড়িতে এই ঔষধ সেবন করা অপ্রয়োজনীয় ও খুব ঝুকিপূর্ণ !
আবারো বলি মাস্ক পড়ুন আর এই শীতকালে বিয়ে শাদীর ইনডোর অনুষ্ঠান পরিহার করুন! জীবন বাঁচান! বিশেষ করে আপনার বাবা মা বা মুরুব্বিদের জীবন!
লেখকঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অংগরাজ্যের অরল্যান্ডো রিজিওনাল হেলথ সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ট্রেনিং পরিচালক