বাংলারজমিন
জাল দলিল চক্রের সঙ্গে যোগসাজশ আওয়ামী লীগ সেক্রেটারির
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমির জাল দলিল বানানোর হোতাদের খোঁজ মিলেছে। ভুয়া দাতা সেজে জায়গা দলিল করে দিতে এসে ধরা খেয়েছে এই চক্রের দু-সদস্য। তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ। জাল দলিলটির লেখক সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাজী সাহারুল। তিনি দলিল লেখক সমিতিরও সাধারণ সম্পাদক। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর সাব রেজিস্টারের এজলাসে বিজয়নগর উপজেলার চর-পাচগাও মৌজার বিএস চূড়ান্ত ৭২৭ খতিয়ানভুক্ত বিএস ৪৪৫৭ দাগের ৩৫ শতক জমি নিবন্ধনের জন্য দাখিল করা হয়। খতিয়ানে জমির মূল মালিক হিসেবে মৃত চন্দ্র কিশোর শর্মার ছেলে হরেন্দ্র কান্ত শর্মার নাম উল্লেখ থাকলেও নিবন্ধনের জন্য দলিল দাখিল করেন সাধন শর্মা। সে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতা অবচরণ সরকারের পরিবর্তে হরেন্দ্র কান্ত শর্মা লিপিবদ্ধ করে। আর দলিলটির গ্রহীতা হিসেবে নাম রয়েছে চর ইসলামপুরের মৃত মন্ডল হোসেনের ছেলে মো: ইয়াছিন মিয়ার। দলিলে জমির মূল্য দেখানো হয় ১ লাখ ৮ হাজার টাকা।
সদর সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী আখাউড়ার সাব রেজিস্ট্রার মো: ইয়াছিন আরাফাত জানান, দলিলটি নিবন্ধনের জন্যে জমা পড়ার পর তিনি জানতে পারেন দলিলটির লেখক দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাহারুল। এরপর দলিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার এক পর্যায়ে আমি দেখি ওই খাতিয়ানে একটাই দাগ এবং এতে জমি আছে ৩৫ শতক। এরপর আমি চিন্তা করলাম পুরো জমিটি দিয়ে দিচ্ছে, তার আর কোন ভাই আছে কিনা জানতে চাই। তখন সে বারবারই আমাকে জানায় তার কোন ভাই নেই। এরপর আমি দলিলটি টিপসহির জন্যে পাঠিয়ে দেই। তারপরও আমার সন্দেহ হলে আমি এ্যাপসের সাহায্যে এনআইডি পরীক্ষা করি। দেখি সেটি জাল। এরপরই আমি টিপসহি নিতে নিষেধ করি। নিবন্ধন মহাপরিদর্শকের সাথে কথা বলে মূল দলিলটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। দলিল লেখক কাজী সাহারুল বলেন, রুস্তম দলিল করবে বলে আমার কাছে আসে। এরপর তার কাছে আমি মূল কাগজপত্র ও এনআইডি চাই। সে এগুলো নিয়ে আসার পর আমরা দলিল লিখি। এনআইডি যাচাই করার মেশিন না থাকায় তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। দলিলটি লেখার পর স্বাক্ষী করার জন্যে রুস্তম বাইরে নিয়ে যান। দাতার টিপসহি দেয়ার সময় আমি যখন বলি তার পরিচয়কারী লাগবে। তখন রুস্তম বলে আমি নিজেই পরিচয়কারী এবং শনাক্তকারী হব। এরপর আমি নিশ্চিন্ত হয়ে দলিলটি নিবন্ধনের জন্যে জমা করি। এরপর স্যার এনআইডি সার্চ করে সেটি ভুয়া ধরতে পেরেছেন এই খবর পেয়ে আমি স্যারের কাছে আসি। এনআইডি সঠিক না পাওয়া পর্যন্ত দলিল বন্ধ রাখতে বলি। এরপর দাতাকে এনে জিজ্ঞেস করি তাকে এই পর্যন্ত কে এনেছে। এজন্যে সে ২ হাজার টাকা পেয়েছে বলে আমাদেরকে জানায়। দলিল দাতা সাধন জানান- ২ হাজার টাকার বিনিময়ে জমির দাতা হয়েছে সে। জমির মালিক সে নিজে, তা বলার জন্যে শিখিয়ে দেয়া হয় তাকে। রুস্তম জানায়- তার বাড়ি শহরের কান্দিপাড়া। সে এরআগেও সাহারুলের মাধ্যমে দলিল করেছে। এদিকে ঘটনার পর নিজের দায় এড়াতে তৎপর হন দলিল লেখক কাজী সাহারুল। সাধন ও রুস্তমের বিরুদ্ধে নিজে উদ্যোগী হয়ে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নেন। যদিও দলিলের শেষাংশে তার স্বাক্ষরের আগে অঙ্গীকার রয়েছে-‘হস্তান্তরিত সম্পত্তির সঠিক পরিচয় এবং বাজার মুল্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত হইয়া আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী অত্র দলিলের মুসাবিধা/লিখিয়া দিয়াছি এবং পক্ষগনকে পাঠ করিয়া শুনাইয়াছি।’
ঘটনার খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সদর মডেল থানার ওসি আবদুর রহিম জানান, এব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। দলিল সম্পাদনে যারা জড়িত তারা সবাই এতে আসামি হবে।
সদর সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী আখাউড়ার সাব রেজিস্ট্রার মো: ইয়াছিন আরাফাত জানান, দলিলটি নিবন্ধনের জন্যে জমা পড়ার পর তিনি জানতে পারেন দলিলটির লেখক দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাহারুল। এরপর দলিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার এক পর্যায়ে আমি দেখি ওই খাতিয়ানে একটাই দাগ এবং এতে জমি আছে ৩৫ শতক। এরপর আমি চিন্তা করলাম পুরো জমিটি দিয়ে দিচ্ছে, তার আর কোন ভাই আছে কিনা জানতে চাই। তখন সে বারবারই আমাকে জানায় তার কোন ভাই নেই। এরপর আমি দলিলটি টিপসহির জন্যে পাঠিয়ে দেই। তারপরও আমার সন্দেহ হলে আমি এ্যাপসের সাহায্যে এনআইডি পরীক্ষা করি। দেখি সেটি জাল। এরপরই আমি টিপসহি নিতে নিষেধ করি। নিবন্ধন মহাপরিদর্শকের সাথে কথা বলে মূল দলিলটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। দলিল লেখক কাজী সাহারুল বলেন, রুস্তম দলিল করবে বলে আমার কাছে আসে। এরপর তার কাছে আমি মূল কাগজপত্র ও এনআইডি চাই। সে এগুলো নিয়ে আসার পর আমরা দলিল লিখি। এনআইডি যাচাই করার মেশিন না থাকায় তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। দলিলটি লেখার পর স্বাক্ষী করার জন্যে রুস্তম বাইরে নিয়ে যান। দাতার টিপসহি দেয়ার সময় আমি যখন বলি তার পরিচয়কারী লাগবে। তখন রুস্তম বলে আমি নিজেই পরিচয়কারী এবং শনাক্তকারী হব। এরপর আমি নিশ্চিন্ত হয়ে দলিলটি নিবন্ধনের জন্যে জমা করি। এরপর স্যার এনআইডি সার্চ করে সেটি ভুয়া ধরতে পেরেছেন এই খবর পেয়ে আমি স্যারের কাছে আসি। এনআইডি সঠিক না পাওয়া পর্যন্ত দলিল বন্ধ রাখতে বলি। এরপর দাতাকে এনে জিজ্ঞেস করি তাকে এই পর্যন্ত কে এনেছে। এজন্যে সে ২ হাজার টাকা পেয়েছে বলে আমাদেরকে জানায়। দলিল দাতা সাধন জানান- ২ হাজার টাকার বিনিময়ে জমির দাতা হয়েছে সে। জমির মালিক সে নিজে, তা বলার জন্যে শিখিয়ে দেয়া হয় তাকে। রুস্তম জানায়- তার বাড়ি শহরের কান্দিপাড়া। সে এরআগেও সাহারুলের মাধ্যমে দলিল করেছে। এদিকে ঘটনার পর নিজের দায় এড়াতে তৎপর হন দলিল লেখক কাজী সাহারুল। সাধন ও রুস্তমের বিরুদ্ধে নিজে উদ্যোগী হয়ে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নেন। যদিও দলিলের শেষাংশে তার স্বাক্ষরের আগে অঙ্গীকার রয়েছে-‘হস্তান্তরিত সম্পত্তির সঠিক পরিচয় এবং বাজার মুল্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত হইয়া আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী অত্র দলিলের মুসাবিধা/লিখিয়া দিয়াছি এবং পক্ষগনকে পাঠ করিয়া শুনাইয়াছি।’
ঘটনার খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সদর মডেল থানার ওসি আবদুর রহিম জানান, এব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। দলিল সম্পাদনে যারা জড়িত তারা সবাই এতে আসামি হবে।