বিশ্বজমিন

আল জাজিরার প্রতিবেদন

কুর্দিদের না সরালে সিরিয়ায় সামরিক হামলার হুমকি তুরস্কের

মানবজমিন ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ২:১৬ পূর্বাহ্ন

সীমান্তের কাছ থেকে যদি কুর্দি সশস্ত্র গ্রুপকে প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নতুন করে সামরিক হামলা শুরুর হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, সীমান্ত এলাকায় কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক হস্তক্ষেপের বৈধতা আছে তার দেশের। বুধবার দেশের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের উদ্দেশে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। এদিন তিনি ওই অঞ্চলে টেকসই শান্তি স্থাপন চাইছে না বলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে তুর্কি সমর্থিত সিরিয়ান বিদ্রোহীদের টার্গেট করে বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। এ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এরদোগান বলেন, যদি সব সন্ত্রাসীকে প্রত্যাহার করে নেয়া না হয়, তাহলে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবারও বলছি, যেকোনো সময় সেখানে হস্তক্ষেপ করার বৈধ অধিকার আছে আমাদের এবং এমন হামলা চালানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয় আমরা অনুধাবন করতে পারছি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

কয়েকদিন আগে সীমান্তবর্তী প্রদেশ হাতাইয়ের একটি শহরে পুলিশ ধাওয়া করলে সন্দেহভাজন এক কুর্দি যোদ্ধা নিজেকে বোমায় উড়িয়ে দেন। এ সময় দ্বিতীয় একজনকে হত্যা করে পুলিশ। সরকারি ভাষ্যে বলা হয়েছে, এরা সিরিয়া থেকে তুরস্কে প্রবেশ করেছিল। এর আগে সোমবার প্রথম বিমান হামলায় হত্যা করা হয় কয়েক ডজন যোদ্ধাকে। এ বিষয়ে এরদোগান বলেন, সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ফোর্সের প্রশিক্ষণ সেন্টারকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে এমন এক ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে যে, এই অঞ্চলে টেকসই শান্তি ও স্বস্তি প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, জাবালে দেইলা এলাকায় তুরস্কের মদতপুষ্ঠ সশস্ত্র গ্রুপের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পে ওই হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হন। ইদলিবে একেই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্চে সেখানেই তুরস্ক-রাশিয়ার মধ্যস্থতায় একটি চুক্তি হয়েছিল। তারপর সেই এলাকায় এত বড় হামলায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন এরদোগান।
সিরিয়া, ককেসাস ও লিবিয়ায় আঙ্কারার সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কে ক্রমাগত টান ধরেছে। কারণ, ওইসব অঞ্চলে মস্কোরও স্বার্থ আছে। সিরিয়ার দিক দিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক হলো রাশিয়া। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় কিছু অংশকে সমর্থন করে তুরস্ক। তুরস্ক সমর্থিত ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট নামের জোটে রয়েছে ১১ ফ্রি সিরিয়ান আর্মির অংশ। তাদেরকে সমর্থন দেয় আঙ্গারা। তবে তারা তাদের নেটওয়ার্কের বাইরে রাখে হায়াত তাহরির আল শাম’কে। আল কায়েদার সঙ্গে তাদের আগে সম্পর্ক ছিল। তারাই উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় সিরিয়ান প্রদেশের সবচেয়ে বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এখন।
২০১৬ সাল থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিরিয়ায় বড় তিনটি অভিযান চালিয়েছে তুরস্ক। এর মধ্য দিয়ে তারা সীমান্ত এলাকা থেকে আইসিসপন্থি কুর্দি যোদ্ধাকে সরিয়ে দিয়েছে। গত বছর তারা একটি নিরাপদ জোন সৃষ্টির জন্য সিরিয়ান কুদি যোদ্ধাদের সরিয়ে দিতে সেখানে যোদ্ধা পাঠায়।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে তারা আলাদাভাবে এই হামলা স্থগিত রাখার চুক্তি করে। এসব চুক্তিতে কুর্দি মিলিশিয়াদের প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status