বিশ্বজমিন
সিএনএনের রিপোর্ট
৩ মাস পরও রাশিয়ার টিকা নিয়ে সংশয়
মানবজমিন ডেস্ক
২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
রাশিয়া করোনা ভাইরাসের টিকা প্রথম আবিষ্কার ও অনুমোদন দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ৩ মাস। এখনও এর কার্যকর ব্যবহার, কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। এখনও ব্যাপকভাবে এই টিকার ব্যবহারের কথা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ওদিকে রাশিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ভয়াবহভাবে ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছেন কমপক্ষে ২৬ হাজার ২৬৯ জন। এর ফলে তাদের উৎপাদিত টিকা নিয়ে সন্দেহ, সংশয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইন সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টে রাশিয়া থেকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন তার মস্কোর বাসবভনের বাইরে থেকে ঘোষণা দেন বিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রথম নিবন্ধিত টিকা অনুমোদন দিয়েছেন তারা। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ায় ধ্বংসাত্মক করোনা মহামারির ইতি ঘটবে। এখানে উল্লেখ্য, এ কথা বিশ্বাস করাতে পুতিন তার পরিবারের বিষয়ে তথ্য দেন। বলেন, তার এক মেয়েকে এই টিকা দেয়া হয়েছে। সে ভাল আছে। অথচ, পুতিন তার পরিবারের বিষয়ে সব কথা রাখেন গোপন।
এখন নতুন করে করোনা ভাইরাস সেখানে আক্রমণ শুরু করেছে। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছেন। ফলে তাদের উৎপাদিত ‘প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকা স্পুটনিক ৫’-এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমনকি জনসাধারণের মাঝে তা ব্যাপকভাবে ব্যবহারও হচ্ছে না। রিপোর্টে বলা হয়, অল্প কিছু পরীক্ষা করেই এবং তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার আগেই রাশিয়া স্পুটনিক-৫ টিকার অনুমোদন দেয়। কিন্তু তাদের এই টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়ে গেছে সন্দেহ, সংশয়। তারা অভিযোগ করছেন, রাশিয়া করোনার টিকাকে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। মস্কোভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবে গত সপ্তাহে সিএনএন’কে এক ব্যতিক্রমী সাক্ষাতকার দিয়েছেন রাশিয়ায় এই টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গামালেয়া ইনস্টিটিউটের প্রধান আলেকজান্দার গিন্টসবার্গ। তিনি এতে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১৭ হাজার মানুষ। কিন্তু টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদনে দুটি ডোজই নিতে হয়। এমন মাত্র ৬ হাজার মানুষ নিয়েছেন দুটি ডোজই। এই ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, স্পুটনিক-৫ টিকা শুধু ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সসীমার মানুষের ওপর ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। কারণ, অন্য বয়সীদের ক্ষেত্রে এই টিকার পরীক্ষা করা হয়নি। তা সত্ত্বেও গিন্টসবার্গ বলেছেন, যাদের বয়স ৬০ বছরের ওপরে তারাও এই টিকা নিতে পারেন। তবে এই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাশিয়ার ভাইরাস বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্কের শীর্ষ ভাইরাস বিশেষজ্ঞ কনস্টানটিন চুমাকভ বলেছেন, এই টিকা যেসব মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে, তারা জানেন না এ থেকে তারা সুরক্ষিত থাকবেন কিনা। এটা নিশ্চিত করতে আপনার প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ২৬ শে অক্টোবর নাগাদ বায়োএনটেক-ফাইজার রিপোার্ট করেছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় ৪২ হাজার ১১৩ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ৭৭১ জন তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম হিসেবে মডার্না তাদের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার তারা বলেছে, এরই মধ্যে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ২৫ হাজার ৬৫০ জনের দেহে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। সে প্রেক্ষাপটে চুমাকভ বলেন, রাশিয়ার টিকা সম্ভবত দুই থেকে তিন মাস পিছিয়ে আছে। এরই মধ্যে মডার্না এবং ফাইজার তাদের রোগীদের ওপর মৌলিক পর্যায়ে টিকার পরীক্ষা চালিয়েছে।
এখন নতুন করে করোনা ভাইরাস সেখানে আক্রমণ শুরু করেছে। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছেন। ফলে তাদের উৎপাদিত ‘প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকা স্পুটনিক ৫’-এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমনকি জনসাধারণের মাঝে তা ব্যাপকভাবে ব্যবহারও হচ্ছে না। রিপোর্টে বলা হয়, অল্প কিছু পরীক্ষা করেই এবং তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার আগেই রাশিয়া স্পুটনিক-৫ টিকার অনুমোদন দেয়। কিন্তু তাদের এই টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে রয়ে গেছে সন্দেহ, সংশয়। তারা অভিযোগ করছেন, রাশিয়া করোনার টিকাকে রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে। মস্কোভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবে গত সপ্তাহে সিএনএন’কে এক ব্যতিক্রমী সাক্ষাতকার দিয়েছেন রাশিয়ায় এই টিকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গামালেয়া ইনস্টিটিউটের প্রধান আলেকজান্দার গিন্টসবার্গ। তিনি এতে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১৭ হাজার মানুষ। কিন্তু টিকাদান কর্মসূচি সম্পাদনে দুটি ডোজই নিতে হয়। এমন মাত্র ৬ হাজার মানুষ নিয়েছেন দুটি ডোজই। এই ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, স্পুটনিক-৫ টিকা শুধু ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সসীমার মানুষের ওপর ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। কারণ, অন্য বয়সীদের ক্ষেত্রে এই টিকার পরীক্ষা করা হয়নি। তা সত্ত্বেও গিন্টসবার্গ বলেছেন, যাদের বয়স ৬০ বছরের ওপরে তারাও এই টিকা নিতে পারেন। তবে এই টিকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাশিয়ার ভাইরাস বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। গ্লোবাল ভাইরাস নেটওয়ার্কের শীর্ষ ভাইরাস বিশেষজ্ঞ কনস্টানটিন চুমাকভ বলেছেন, এই টিকা যেসব মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে, তারা জানেন না এ থেকে তারা সুরক্ষিত থাকবেন কিনা। এটা নিশ্চিত করতে আপনার প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ মানুষ।
উল্লেখ্য, ২৬ শে অক্টোবর নাগাদ বায়োএনটেক-ফাইজার রিপোার্ট করেছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় ৪২ হাজার ১১৩ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর মধ্যে ৩৫ হাজার ৭৭১ জন তাদের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। প্রথম হিসেবে মডার্না তাদের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার তারা বলেছে, এরই মধ্যে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ২৫ হাজার ৬৫০ জনের দেহে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। সে প্রেক্ষাপটে চুমাকভ বলেন, রাশিয়ার টিকা সম্ভবত দুই থেকে তিন মাস পিছিয়ে আছে। এরই মধ্যে মডার্না এবং ফাইজার তাদের রোগীদের ওপর মৌলিক পর্যায়ে টিকার পরীক্ষা চালিয়েছে।