শিক্ষাঙ্গন
শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেনো খুলে দেয়া হলো?
পিয়াস সরকার
২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের (ভিসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাকটিক্যাল ক্লাস ও পরীক্ষার সুযোগ দেবার কথা বলা হয়। যেসব শিক্ষার্থী ফাইনাল সেমিস্টারে রয়েছেন শুধু তারাই এ সুযোগ পাবেন। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটি কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে ক্লাস ও পরীক্ষার সময় দু’জন শিক্ষার্থীর মাঝে অন্তত ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থী ল্যাব ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। একদিনে শুধু একটি ক্লাস নেয়া যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ কেন তাদের এই সুযোগ দেয়া হলো?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পাঁচটি পরীক্ষা হয়েছে, বাকি আছে চারটি বিষয়ে। মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তিনটি করে পরীক্ষা বাকি রয়েছে। সকলের সাক্ষাৎকার ও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি আছে।
সম্প্রতি বিগত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে এবং ‘অটোপাস’ চেয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধন করেন। সেইসঙ্গে করেন সড়ক অবরোধ। এছাড়াও তারা পরবর্তীতে পরীক্ষা নিয়ে হলেও দ্রুত ফলাফলের দাবি জানান।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আপনি হাফওয়েতে এসে যদি বলেন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক তবে অসম্পূর্ণ পরীক্ষা হবে। এই ফলাফল নিয়ে আপনি না পারবেন বিদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে। না পারবেন চাকরির জন্য এপ্লাই করতে। কারণ তারা জানবে আপনি সকল কোর্স সম্পন্ন করে আসেননি। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য হিতে বিপরীত হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় সেশনজট ভয়াবহ ছিল। চার বছরের অনার্স কোর্স সাত বছর লাগতো। কিন্তু এখন তা লাগছে না। করোনা না হলে ২০১৯ সালের পরীক্ষা ২০১৯ সালেই হতো। করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয় তবে এই সমস্যা সমাধানে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা তিন মাসের মধ্যে ফলাফল দেবো। শুধু সনদ দিয়ে কি হবে? যদি মানসম্মত শিক্ষা না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, কোনো অবস্থাতেই অটোপাস সম্ভব না। আমরা এখনো এ বিষয়ে ভাবছি না। শিক্ষার্থীদের উচিত যথাযথভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া।
১৩ই সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্দোলন করেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে তারা বলেন, দেশের সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিক এটা আমরা চাই না। বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে হলেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ সেসময় বলেছিলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।
জাতীয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হলো না। আর হঠাৎ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শর্ত সাপেক্ষে কেন অনুমতি দেয়া হলো?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পাঁচটি পরীক্ষা হয়েছে, বাকি আছে চারটি বিষয়ে। মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তিনটি করে পরীক্ষা বাকি রয়েছে। সকলের সাক্ষাৎকার ও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি আছে।
সম্প্রতি বিগত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের দাবিতে এবং ‘অটোপাস’ চেয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধন করেন। সেইসঙ্গে করেন সড়ক অবরোধ। এছাড়াও তারা পরবর্তীতে পরীক্ষা নিয়ে হলেও দ্রুত ফলাফলের দাবি জানান।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আপনি হাফওয়েতে এসে যদি বলেন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক তবে অসম্পূর্ণ পরীক্ষা হবে। এই ফলাফল নিয়ে আপনি না পারবেন বিদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে। না পারবেন চাকরির জন্য এপ্লাই করতে। কারণ তারা জানবে আপনি সকল কোর্স সম্পন্ন করে আসেননি। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য হিতে বিপরীত হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় সেশনজট ভয়াবহ ছিল। চার বছরের অনার্স কোর্স সাত বছর লাগতো। কিন্তু এখন তা লাগছে না। করোনা না হলে ২০১৯ সালের পরীক্ষা ২০১৯ সালেই হতো। করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক হয় তবে এই সমস্যা সমাধানে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা তিন মাসের মধ্যে ফলাফল দেবো। শুধু সনদ দিয়ে কি হবে? যদি মানসম্মত শিক্ষা না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম বলেন, কোনো অবস্থাতেই অটোপাস সম্ভব না। আমরা এখনো এ বিষয়ে ভাবছি না। শিক্ষার্থীদের উচিত যথাযথভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া।
১৩ই সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্দোলন করেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে তারা বলেন, দেশের সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিক এটা আমরা চাই না। বিকল্প কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে হলেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ সেসময় বলেছিলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।
জাতীয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হলো না। আর হঠাৎ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শর্ত সাপেক্ষে কেন অনুমতি দেয়া হলো?