শেষের পাতা
টেনিস ডিপ্লোমেসি
মিজানুর রহমান
২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
রমনাস্থ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনার টেনিস কোর্টে এক সময় নিয়মিত লন টেনিস খেলা হতো। এতে অংশ নিতেন দেশি-বিদেশি কূটনীতিকরা। খেলা ছাড়াও তাদের মধ্যে হতো আড্ডা। এর মধ্য দিয়ে পারস্পরিক যোগাযোগ ও হৃদ্যতা বাড়তো। সেই সময়ে ইনফর্মাল ডিপ্লোমেসি বা ট্র্যাক টু ডিপ্লোমেসিতে খেলাটির গুরুত্ব ছিল অনেক। সময়ের তাড়া আর প্রথাগত কূটনীতির ব্যস্ততায় এটি বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক যুুগের বেশি সময় পর ফের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনার টেনিস কোর্টে বল গড়ালো। বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতায় গতকাল সেই ভেন্যুতে আলো জ্বললো। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারশেনের সভাপতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি অনেক দিন ধরেই ভেন্যুটি সচলের তাগিদ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি। এবার তারা করতে পেরেছেন, এ জন্য আনন্দিত। মূলত প্রতিমন্ত্রীর আগ্রহই এতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে দাবি পেশাদারদের। প্রতিমন্ত্রী অবশ্য এর জন্য ক্রেডিট দিতে চেয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনকে। আগ্রহ, উদ্যোগ বা প্রেক্ষাপট যাই হোক, এখন থেকে প্রতিদিনই রমনার ওই কোর্টে খেলা হবে। হবে টুর্নামেন্টও। যাতে বিদেশি কূটনীতিকরা অংশগ্রহণের জন্য এরই মধ্যে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ-ও বলা হয়েছে, সেগুনবাগিচার চেষ্টা থাকবে ঢাকা সফরে আসা গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অতিথিদের সফরকালীন ব্যস্ত কর্মসূচির ফাঁকে অন্তত এক সন্ধ্যায় টেনিস কোর্টে নিয়ে আসতে। তাদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ পররাষ্ট্র দপ্তরের এ আয়োজনকে কেবল সমৃদ্ধ করবে না বরং এটি ডিপ্লোমেসির জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। টেনিস কোর্ট পুনরায় চালুর ওই উদ্বোধনীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মবার্ষিকীতে পররাষ্ট্র দপ্তরের এমন আয়োজনের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।