দেশ বিদেশ
বিবিসি’র প্রতিবেদন
আপত্তিকরভাবে নারীদেহ তল্লাশির জন্য কাতারের ক্ষমা প্রার্থনা, হবে তদন্ত
মানবজমিন ডেস্ক
২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
কাতারের দোহা’য় ১০টি ফ্লাইটের নারীদের দেহ আপত্তিকরভাবে তল্লাশির অভিযোগ তদন্ত করবে কাতার। এরই মধ্যে এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে কাতার ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাতার সরকার ক্ষমা চেয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২রা অক্টোবর হামাদ বিমানবন্দরের একটি বাথরুমে পাওয়া যায় একটি সদ্যপ্রসূত নবজাতককে। কোন নারী ওই সন্তান প্রসব করেছেন তা যাচাই করার উদ্যোগ গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। ফলে ১০টি ফ্লাইটের নারীদের শরীর চেক করা হয়। এর মধ্যে কমপক্ষে ১৮ জন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান। বাকিরা অন্য দেশের। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, ওই নারীদেরকে বিমান থেকে নামিয়ে অন্য স্থানে নিয়ে স্পর্শকাতর ‘জেনিটাল’ পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান নারীরা অভিযোগ করার পর অস্ট্রেলিয়া সরকারি পর্যায়ে এর ব্যাখ্যা চায় কাতারের কাছে। জবাবে কাতার ক্ষমা প্রার্থনা করে। তবে দোহা’র ওই বিমানবন্দরে যে নবজাতককে কে বা কারা ফেলে এসেছিলেন, সে এখন মেডিকেল কেয়ারে সুস্থ ও নিরাপদ আছে।
খবরে বলা হয়, একটি বাথরুমে প্লাস্টিকের ব্যাগে পাওয়া যায় ওই নবজাতককে। তাকে ময়লা আবর্জনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। কে বা কারা তাকে দেখতে পেয়ে তার মা কেÑ তা নির্ধারণ করতে তাৎক্ষণিক তল্লাশি অভিযান চালায় সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যে বাথরুমে ওই নবজাতককে পাওয়া গিয়েছিল তার কাছাকাছি যেসব ফ্লাইট ছিল, তার নারী যাত্রীদের শরীর তল্লাশি করা হয়। কাতার কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাথরুমে সন্তান ফেলে যাওয়ার মতো ভয়াবহতা প্রতিরোধ করার জন্য জরুরিভিত্তিতে নারীদের শরীর তল্লাশি চালানোর ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সফরকারীদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন ও তাদের হতাশার জন্য কাতার দুঃখ প্রকাশ করছে। এর প্রেক্ষিতে সরকার বৃহত্তর পরিসরে, স্বচ্ছ অনুসন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তের রিপোর্ট অন্য দেশগুলোর সঙ্গে শেয়ার করা হবে।
খবরে বলা হয়, একটি বাথরুমে প্লাস্টিকের ব্যাগে পাওয়া যায় ওই নবজাতককে। তাকে ময়লা আবর্জনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। কে বা কারা তাকে দেখতে পেয়ে তার মা কেÑ তা নির্ধারণ করতে তাৎক্ষণিক তল্লাশি অভিযান চালায় সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যে বাথরুমে ওই নবজাতককে পাওয়া গিয়েছিল তার কাছাকাছি যেসব ফ্লাইট ছিল, তার নারী যাত্রীদের শরীর তল্লাশি করা হয়। কাতার কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাথরুমে সন্তান ফেলে যাওয়ার মতো ভয়াবহতা প্রতিরোধ করার জন্য জরুরিভিত্তিতে নারীদের শরীর তল্লাশি চালানোর ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সফরকারীদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন ও তাদের হতাশার জন্য কাতার দুঃখ প্রকাশ করছে। এর প্রেক্ষিতে সরকার বৃহত্তর পরিসরে, স্বচ্ছ অনুসন্ধানের নির্দেশনা দিয়েছে। একই সঙ্গে তদন্তের রিপোর্ট অন্য দেশগুলোর সঙ্গে শেয়ার করা হবে।