কোম্পানীগঞ্জে অসম প্রেমের খেসারত

একই পুরুষের সঙ্গে মা-মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কারণে তৈরি হওয়া পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে মা ও মেয়ের বিষপানের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ে বেঁচে গেলেও মারা গেছেন মা হোসনে আরা (৪৫)। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের লামাডিস্কিবাড়ি গ্রামে গত শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে। হোসনে আরা ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা সদস্য। স্বামী মছদ্দর আলী সৌদি প্রবাসী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়- সোহেল নামে দুই সন্তানের এক জনকের সঙ্গে হোসনে আরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ সুবাদে সোহেল প্রায়ই তাদের বাড়িতে যেতো। এমনকি রাত্রিযাপনও করতো। একপর্যায়ে সোহেল হোসনে আরার ১৭ বছরের মেয়ে পারভীনের সঙ্গে গড়ে তোলে প্রেমের সম্পর্ক। এর জেরে মা হোসনে আরার সঙ্গে পারভীনের মনোমালিন্য হয়। এই দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার বিকালে হোসনে আরা নিজে ও মেয়েকে জোর করে কীটনাশক পান করায়। বিষপানের পর দু’জন ছটফট করতে থাকেন। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে  কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকে মা হোসনে আরাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়- উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিনের ছোট ভাই সোহেল প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরার বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত করতো। একপর্যায়ে সে মা-মেয়ে দু’জনের সঙ্গেই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে কিছুদিন ধরে মা-মেয়ের দ্বন্দ্ব চলছিল। অন্যদিকে, প্রবাসী স্বামী মছদ্দর আলীও বিষয়টি জানতে পেরে মা-মেয়েকে গালাগাল করেন। এ ঘটনায় মানসিকভাবে মুষড়ে পড়েন। একপর্যায়ে মা মেয়ে বিষপান করলে মা মারা গেলেও বেঁচে যায় মেয়ে পারভীন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কে এম নজরুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।