বিশ্বজমিন
সিএনএনের রিপোর্ট
করোনা টিকার পরীক্ষায় সর্বকনিষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক
মানবজমিন ডেস্ক
২৬ অক্টোবর ২০২০, সোমবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে একশত শিশুর ওপর ফাইজার আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের টিকার পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। গত সপ্তাহে তাদের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন তাদেরকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে। পরীক্ষা করা হচ্ছে কোনো রকম অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কিনা। এসব শিশুকে বলা হচ্ছে এ পরীক্ষায় কনিষ্ঠতম স্বেচ্ছাসেবক। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাতি চিলড্রেনস হাসপাতালের ডাক্তার রবার্ট ফ্রেনেঙ্ক বলেছেন, গত সপ্তাহে ১২ বছর পর্যন্ত বয়সী ওই একশত শিশুকে টিকা দেয়া হয়েছে। ফাইজারের উদ্ভাবিত টিকা দেয়ার পর এখন কি প্রতিক্রিয়া হয় তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ডাক্তার ফ্রেনেঙ্ক বলেছেন, এই টিকা কতটা নিরাপদ তারা এখন সে বিষয়টিই যাচাই করে দেখছেন। এ সময়ে তাদের শরীরে কোনো গোটা দেখা দেয় কিনা, ত্বকে লালচে দাগ হয় কিনা, ইঞ্জেকশনের স্থানে কোনো ব্যথা হয় কিনা, জ্বর বা শরীর ব্যথা হয় কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসকরা। এসব শিশু স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ১২ বছর বয়সী অভিনব অন্যতম। সে সপ্তম গ্রেডের শিক্ষার্থী। তবে রিপোর্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে তার পিতামাতা তার নামের শুধু প্রথম অংশ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। অভিনব প্রত্যাশা করে, তার একটু ত্যাগ স্বীকারের ফলে তার দাদাদাদু, নানা নানুরা নিরাপদ হবেন। তারা ভারত থেকে তাকে দেখতে যান। এ ছাড়া সে নিজেও নিরাপদে স্কুলে ফিরতে পারবে। সিএনএন’কে অভিনব বলেছে, আমি চাই আবার আগের মতো স্কুলে ফিরতে। আশা করি, একটি টিকা যদি এই করোনা ভাইরাসের বিস্তার থামিয়ে দিতো!
অভিনব’র পিতা শরত। তিনি তার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবেন। কেন অভিনবকে এই পরীক্ষায় যুক্ত করেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি তো প্রথমেই আমার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে চাই। এরপর এ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞান অন্যদেরও সাহায্য করবে। তাই মনে হয়েছে এটা একটা উত্তম উদ্যোগ। ওই হাসপাতালে নিজেও একজন চিকিৎসক শরত। তিনি এই টিকার যখন প্রথম পরীক্ষা করা হয় এ বছরের শুরুতে তখন ফেস-১ এ তিনি তাতে স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন।
অভিনব’র পিতা শরত। তিনি তার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবেন। কেন অভিনবকে এই পরীক্ষায় যুক্ত করেছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি তো প্রথমেই আমার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে চাই। এরপর এ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞান অন্যদেরও সাহায্য করবে। তাই মনে হয়েছে এটা একটা উত্তম উদ্যোগ। ওই হাসপাতালে নিজেও একজন চিকিৎসক শরত। তিনি এই টিকার যখন প্রথম পরীক্ষা করা হয় এ বছরের শুরুতে তখন ফেস-১ এ তিনি তাতে স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন।