বাংলারজমিন
বসতবাড়ি রক্ষায় এসপি’র কাছে দিনমজুর শাহিনুরের আকুতি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
২৭ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:০০ পূর্বাহ্ন
পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত মাথাগোঁজার একমাত্র বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টার প্রতিকার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এতিম ছেলেমেয়েরা। থানা পুলিশের কাছে অভিযোগের প্রতিকার না পেয়ে, লিখিতভাবে জেলা পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ৮ ভাইবোনের পক্ষে মেজ বোন দিনমজুর শাহিনুর বেগম। এ ঘটনাটি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর সুবিদখালী কলেজের সামনে কামার হাওলা এলাকায়।
পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারিণীর চাচাতো ভাই মাসুদ খান (৪০), খলিল খান (২৮), মেহেদী হাসান (২৪) ও মিঠুন খান (১৯) ও ভ্রাতুষ্পুত্র সাবেক ইউপি মেম্বার নাসির হাওলাদার অভিযোগকারিণীর পিতা মো. ফটিক খানের মৃত্যুর পূর্বে চাচা মো. গোলাপ খানের সঙ্গে জমিজমার ভোগদখল নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে অত্র এলাকার চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ১১ (এগার জন) জন সালিশ বৈঠকে তার বাবা ফটিক খানকে বসতবাড়ি থেকে ০.২২ (বাইশ) শতাংশ জমি মাপিয়া ভোগ দখলে দেন। পরবর্তীতে তার (অভিযোগকারিণী) চাচা গোলাপ খান, তাদের দাদা হানিফ খানের নাল জমি জাল-জালিয়াতি করে সাব-কবলা এবং দানপত্র দলিল রেজি. করে নেয়। এ ঘটনা প্রকাশ হলে বিগত ১৫.১০.১৯৬৩ ইং তারিখ চাচা গোলাপ খান কিছু জমি তার দাদাকে ফেরত দিলেও সম্পূর্ণ জমি ফেরত দেননি। বাবা ফটিক খান তার জীবদ্দশায় উত্তর বসতবাড়িতে ঘর-দরজা নির্মাণ করে অভিযোগকারিণী তার ৮ ভাইবোনদেরকে নিয়ে বসবাস করা অবস্থায় বাবা মৃত্যুবরণ করলে বাবার রেখে যাওয়া বসতবাড়িতেই বসবাস করে আসছিল।
চাচাতো ভাইরা অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনও অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় সালিশ বিচার মানছে না বরং বাবার রেখে যাওয়া বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে প্রভাবশালী চাচাতো ভাইরা। তারা গভীর রাতে ঘরের চালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘরের দরজার ফাঁকা দিয়ে ঘরের মধ্যে রামদা, ছেন ঢুকিয়ে দিয়ে খুন জখম করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। স্বেচ্ছায় বসতবাড়ি ছেড়ে না গেলে খুন জখম করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয় চাচাতো ভাইরা। সম্প্রতি পুরাতন বসতঘরটি নির্মাণ করতে নির্মাণসামগ্রী আনা হলেও মাসুদ খান গং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় বলে জানান দিনমজুর শাহিনুর বেগম।
অভিযোগকারিণী শাহিনুর বেগম ও তার বোন কোহিনুর বেগম সাংবাদিকদের জানান, উচ্ছেদ চেষ্টার এ ঘটনার প্রতিকারের জন্য মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও থানা পুলিশ কর্তৃক কোনো ফল না পেয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। বর্তমানে অসুস্থ বৃদ্ধা মাতাকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে শাহিনুর বেগম গং। বাবার রেখে যাওয়া বসতভিটায় যাতে ঘর নির্মাণ করে নিরাপদে বসবাস করতে পারে তার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেছেন শাহিনুর বেগম ও তার সহোদর বোন কোহিনুর বেগমসহ ৮ ভাইবোন।
পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)-এর কাছে লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারিণীর চাচাতো ভাই মাসুদ খান (৪০), খলিল খান (২৮), মেহেদী হাসান (২৪) ও মিঠুন খান (১৯) ও ভ্রাতুষ্পুত্র সাবেক ইউপি মেম্বার নাসির হাওলাদার অভিযোগকারিণীর পিতা মো. ফটিক খানের মৃত্যুর পূর্বে চাচা মো. গোলাপ খানের সঙ্গে জমিজমার ভোগদখল নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে অত্র এলাকার চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ১১ (এগার জন) জন সালিশ বৈঠকে তার বাবা ফটিক খানকে বসতবাড়ি থেকে ০.২২ (বাইশ) শতাংশ জমি মাপিয়া ভোগ দখলে দেন। পরবর্তীতে তার (অভিযোগকারিণী) চাচা গোলাপ খান, তাদের দাদা হানিফ খানের নাল জমি জাল-জালিয়াতি করে সাব-কবলা এবং দানপত্র দলিল রেজি. করে নেয়। এ ঘটনা প্রকাশ হলে বিগত ১৫.১০.১৯৬৩ ইং তারিখ চাচা গোলাপ খান কিছু জমি তার দাদাকে ফেরত দিলেও সম্পূর্ণ জমি ফেরত দেননি। বাবা ফটিক খান তার জীবদ্দশায় উত্তর বসতবাড়িতে ঘর-দরজা নির্মাণ করে অভিযোগকারিণী তার ৮ ভাইবোনদেরকে নিয়ে বসবাস করা অবস্থায় বাবা মৃত্যুবরণ করলে বাবার রেখে যাওয়া বসতবাড়িতেই বসবাস করে আসছিল।
চাচাতো ভাইরা অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনও অনেক প্রভাবশালী হওয়ায় সালিশ বিচার মানছে না বরং বাবার রেখে যাওয়া বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে প্রভাবশালী চাচাতো ভাইরা। তারা গভীর রাতে ঘরের চালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঘরের দরজার ফাঁকা দিয়ে ঘরের মধ্যে রামদা, ছেন ঢুকিয়ে দিয়ে খুন জখম করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। স্বেচ্ছায় বসতবাড়ি ছেড়ে না গেলে খুন জখম করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয় চাচাতো ভাইরা। সম্প্রতি পুরাতন বসতঘরটি নির্মাণ করতে নির্মাণসামগ্রী আনা হলেও মাসুদ খান গং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় বলে জানান দিনমজুর শাহিনুর বেগম।
অভিযোগকারিণী শাহিনুর বেগম ও তার বোন কোহিনুর বেগম সাংবাদিকদের জানান, উচ্ছেদ চেষ্টার এ ঘটনার প্রতিকারের জন্য মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও থানা পুলিশ কর্তৃক কোনো ফল না পেয়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। বর্তমানে অসুস্থ বৃদ্ধা মাতাকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে শাহিনুর বেগম গং। বাবার রেখে যাওয়া বসতভিটায় যাতে ঘর নির্মাণ করে নিরাপদে বসবাস করতে পারে তার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেছেন শাহিনুর বেগম ও তার সহোদর বোন কোহিনুর বেগমসহ ৮ ভাইবোন।