খেলা

বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ

কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ কমানোর আবেদন বাফুফে’র

স্পোর্টস রিপোর্টার

২৬ অক্টোবর ২০২০, সোমবার, ৯:০৫ পূর্বাহ্ন

নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়েই ফুটবল ফিরছে বাংলাদেশে। আগামী ১৩ ও ১৭ই নভেম্বর  নেপালের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবে জামাল-জীবনরা। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ম্যাচ দুটি আয়োজন করতে নানা পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)। নেপাল ও বাংলাদেশের বিদেশি কোচিং স্টাফদের কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ কমিয়ে আনতে চাইছে বাফুফে। মাঠে দর্শক রাখারও ইঙ্গিত দিয়েছে দেশের ফুটবলের শীর্ষ সংস্থাটি।
আগামী ৫ই নভেম্বর চার্টার বিমানে ঢাকায় আসবে নেপাল। সাধারণত দেশের বাইরে থেকে কেউ এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নিয়ম। কিন্তু নেপালের বেলায় এর মেয়াদ কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে লিখিত আবেদন (আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার পর) করেছে বাফুফে। তারা চাইছে কোয়ারেন্টিন পর্বটা যেন ৪ থেকে ৫ দিনের হয়। তবে এই সময় দল যেন অনুশীলনও করতে পারে তারও অনুমতি চাওয়া হয়েছে আবেদন পত্রে। ২৯শে অক্টোবর ঢাকায় আসবেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ জেমি ডে। ওইদিনই আসার কথা গোলরক্ষক কোচ লেস ক্লিভলি, ফিটনেস কোচ ইভান রাজলক ও ফুটবলারদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষক ক্রেইগ ডানকানের। প্রবাসী দুই ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া ও তারিক কাজীও ঢাকা আসবেন একই দিনে। এদের কোয়ারেন্টিনও কমাতে চাইছে বাফুফে। গতকাল বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ নিয়ে ভার্চ্যুয়ালি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের বিদেশি কোচ ও নেপাল দলের ঢাকায় আসার পর কোয়ারেন্টিন পর্বটা যেন কমিয়ে আনা হয়, সেই ব্যাপারে সভায় আলোচনা হয়েছে। এই সময়ে তারা শুধু হোটেল টু স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যাবে, আবার ফিরে আসবে। এ ছাড়া আমরা সবাইকে জৈব সুরক্ষার মধ্যেও আনতে চাই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে এ নিয়ে আবারো আলোচনা হবে। আশা করছি, সব ঠিকঠাক মতো চলবে।’ বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ দুটি সন্ধ্যা ৬টায় আয়োজন করার ইচ্ছা বাফুফের। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফ্লাড লাইটের তীব্রতা কম থাকায় বিষয়টি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। তাই এ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আবারো সভায় বসতে হবে তাদের। এ ছাড়া মাঠে দর্শক প্রবেশ নিয়েও আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় আলোচনা হয়েছে। বাফুফে চাইছে ভেন্যুর ধারণক্ষমতার এক-তৃতীয়াংশ দর্শক যেন মাঠে উপস্থিত থাকতে পারে। সেজন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে সবাই যেন মাঠে প্রবেশ করতে পারে, সেই পদক্ষেপও নেবে তারা।
এদিকে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দুই ঘণ্টার অনুশীলনে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার মিশনে ছিলেন ইয়াসিন-নাজমুলরা। ম্যাচ দুটি ঘিরে ফুটবলারদের অনুশীলন চলেছে দ্বিতীয় দিনের মতো। দলের হেড কোচ জেমি ডে ঢাকায় আসছেন আগামী ২৯শে অক্টোবর। তার আসার আগ পর্যন্ত সহকারী কোচরাই খেলোয়াড়দের ফিটনেস ক্লাস নিচ্ছেন। এখন শুরুর কয়দিন ফিটনেস নিয়েই বেশি কাজ করতে হবে। করোনা পরবর্তী সময়ে খেলোয়াড়দের ফিটনেস আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনাটা যে চ্যালেঞ্জিং, সেটি মানতে বাধ্য হচ্ছেন সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি আসলে চ্যালেঞ্জিং। আমরা বলে আসছি, হেড কোচও বলেছে। কারণ একেকজনের ফিটনেস লেভেল একেক অবস্থায় আছে। বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা ট্রেনিংয়ে আছে। তাদের ফিটনেস লেভেল এক রকমের। এর বাইরে যারা আছে, তাদের আবার অন্যরকম।’ তবে ক্যাম্পে সবারই ফিটনেস পরীক্ষা হচ্ছে। কার কী অবস্থা, তা দেখে নিচ্ছেন কোচিং স্টাফরা।’ কায়সার বলেন, ‘বসুন্ধরার বাইরে যারা আছে, তারা ব্যক্তিগত ট্রেনিং করেছে। কিন্তু টিম ট্রেনিং ও ব্যক্তিগত ট্রেনিংয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা যতটুকু সময় পাই, চেষ্টা করবো ফিটনেসটা একটা পর্যায়ে আনার জন্য। যারা পরে যোগ দেবে, তাদেরও ফিটনেস পরীক্ষা হবে। সেটি দেখার পরেই অনুশীলন।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status