বাংলারজমিন
তারাগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
২৫ অক্টোবর ২০২০, রবিবার, ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘদিন ধরে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ভীমপুর শাইলবাড়ি মাদ্রাসা সংলগ্ন দর্জিপাড়া থেকে দশটি গ্রামের সাধারণ মানুষ চিকলী নদীর ওপর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। এই গ্রামগুলোর ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশু ও শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চালক সাঁকো থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাই স্থানীয় জনগণ দ্রুত একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান। সরজমিনে জানা যায়। বাঁশের সাঁকো দিয়ে তৈরি সেতুটি ২০১৬ সালে ভয়াবহ বন্যার কারণে ভেঙে পড়েছিল। ফলস্বরূপ বন্যার পানি ওই গ্রামে প্রবেশ করে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ এবারের বন্যায় সাঁকোটি আবারো ভেঙে গেলে স্থানীয় জনসাধারণ নিজ অর্থায়নে সাঁকোটি নির্মাণ করে। বন্যার জলাবদ্ধতা হ্রাস পেলে স্থানীয় লোকেরা স্বেচ্ছাসেবী শ্রমের ভিত্তিতে অর্থ ও বাঁশ সংগ্রহ করে সেখানে একটি নতুন সাঁকো তৈরি করেন। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন। এই সাঁকো দিয়ে ভীমপুর বাজার, তেঁতুলতলা, চিকলীর হাট এবং তারাগঞ্জের বাজারে হাজার হাজার কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সহজে বিক্রি করতে পারছেন না।
অতিরিক্ত দামে এই পণ্যগুলো বিক্রি করতে তাদের দীর্ঘ ৮ (আট) কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। ফলস্বরূপ তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে অতিরিক্ত খরচ পড়ে। ওই এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ সরকার, আব্দুস সাত্তার, আবু সাবেদ, আবু আইয়ুব জানান- আমাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করার জন্য গেলে অতিরিক্ত খরচ পড়ে। ফলে জনসাধারণ আমদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে চান না। বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করি। এখানে যদি একটি সেতু হয় তাহলে যাতায়াত খরচ কম পড়বে এবং খুব সহজে তা বিক্রি করতে পারবো। সেতু না থাকার কারণে ভীমপুর দর্জিপাড়ার মসজিদ কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমাদের মসজিদটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এবং গ্রামটি নদীতে তলিয়ে যাবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। এসব বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, উপজেলার যে সামর্থ্য তাতে দিয়ে এই সমস্ত ব্রিজ করা সম্ভব নয়। বিষয়টি এমপি-কে জানানো হয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) এর মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অতিরিক্ত দামে এই পণ্যগুলো বিক্রি করতে তাদের দীর্ঘ ৮ (আট) কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। ফলস্বরূপ তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে অতিরিক্ত খরচ পড়ে। ওই এলাকার কৃষক আব্দুল হামিদ সরকার, আব্দুস সাত্তার, আবু সাবেদ, আবু আইয়ুব জানান- আমাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করার জন্য গেলে অতিরিক্ত খরচ পড়ে। ফলে জনসাধারণ আমদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে চান না। বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করি। এখানে যদি একটি সেতু হয় তাহলে যাতায়াত খরচ কম পড়বে এবং খুব সহজে তা বিক্রি করতে পারবো। সেতু না থাকার কারণে ভীমপুর দর্জিপাড়ার মসজিদ কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমাদের মসজিদটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এবং গ্রামটি নদীতে তলিয়ে যাবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। এসব বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, উপজেলার যে সামর্থ্য তাতে দিয়ে এই সমস্ত ব্রিজ করা সম্ভব নয়। বিষয়টি এমপি-কে জানানো হয়েছে। জাতীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) এর মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।