বিশ্বজমিন
ট্রাম্পের ঘোষণা
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে সুদান
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ অক্টোবর ২০২০, শনিবার, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে সুদান। তিনি আরো জানিয়েছেন, আরব অঞ্চলের আরো কমপক্ষে ৫টি দেশ এই সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে। এর আগে সন্ত্রাসে মদত দেয়ার জন্য সুদানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এখন সেই তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে সুদানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও বিনিয়োগ বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সম্পর্ক স্বাভাবিক করে আনার ঘোষণা দেয়। এর মধ্য দিয়ে ২৬ বছরের মধ্যে প্রথম ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে উপসাগরীয় প্রথম ওই দুটি দেশ। সেই একই পথে যাচ্ছে এবার আফ্রিকার দেশ সুদান। এর অধীনে আগামী কয়েক সপ্তাহে প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক হবে। এ সময়ে কৃষিভিত্তিক ইস্যু, বেসামরিক বিমান চলাচল ও অভিবাসন ইস্যুতে আলোচনার কথা রয়েছে। তবে কবে এই আলোচনা হবে তা নির্দিষ্ট হয়নি। সুদান, ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সুদান ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একমত হয়েছেন নেতারা। উল্লেখ্য, ইসরাইলের সঙ্গে জর্ডান শান্তিচুক্তি করেছে ১৯৯৪ সালে। মিশর করেছে ১৯৭৯ সালে। ২০০৯ সালে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছে আরব লীগের সদস্য দেশ মৌরিতানিয়া। কিন্তু পরে তাদের সম্পর্ক ১০ বছর পরেই ছিন্ন হয়ে যায়। ওদিকে ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় নিন্দা প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিন। তারা একে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখছে।
ওদিকে সন্ত্রাসে মদত দেয়ার তালিকা থেকে সুদানকে বাদ দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেয়ার পর পরই ওয়াশিংটনের সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয় ওভাল অফিসে। সেখানে সুদান ও ইসরাইলি নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ট্রাম্প। এ সময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সুদানের এই সম্মতিকে শান্তির পক্ষে নাটকীয় এক অগ্রগতি বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এর ফলে নতুন এক যুগের শুরু হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের তালিকা থেকে সুদানকে বাদ রাখায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদোক। তিনি বলেন, সুদানের জনগণের উত্তম সেবার জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার। অন্যদিকে সুদানের রাষ্ট্রীয় টিভি থেকে বলা হয়, আগ্রাসনের ইতি ঘটছে।
সুদান ও ইসরাইলি নেতারা যখন ফোনে কথা বলছিলেন, তখন ট্রাম্প নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে জানতে চান, আপনারা কি মনে করেন এই শান্তিচুক্তি ‘স্লিপি জো’ করতে পারতো? আমার তো মনে হয় না। তার এ প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট! আমি আপনাকে একটি কথা বলতে পারি। তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের যেকারো পক্ষ থেকে আসা শান্তি সহায়তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
ওদিকে সন্ত্রাসে মদত দেয়ার তালিকা থেকে সুদানকে বাদ দেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেয়ার পর পরই ওয়াশিংটনের সাংবাদিকদের নিয়ে যাওয়া হয় ওভাল অফিসে। সেখানে সুদান ও ইসরাইলি নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন ট্রাম্প। এ সময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সুদানের এই সম্মতিকে শান্তির পক্ষে নাটকীয় এক অগ্রগতি বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এর ফলে নতুন এক যুগের শুরু হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের তালিকা থেকে সুদানকে বাদ রাখায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদোক। তিনি বলেন, সুদানের জনগণের উত্তম সেবার জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে তার সরকার। অন্যদিকে সুদানের রাষ্ট্রীয় টিভি থেকে বলা হয়, আগ্রাসনের ইতি ঘটছে।
সুদান ও ইসরাইলি নেতারা যখন ফোনে কথা বলছিলেন, তখন ট্রাম্প নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে জানতে চান, আপনারা কি মনে করেন এই শান্তিচুক্তি ‘স্লিপি জো’ করতে পারতো? আমার তো মনে হয় না। তার এ প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট! আমি আপনাকে একটি কথা বলতে পারি। তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের যেকারো পক্ষ থেকে আসা শান্তি সহায়তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই।