অনলাইন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ তৈরির রাশিয়ান কারখানা পরিদর্শনে রাষ্ট্রদূত কামরুল
কূটনৈতিক রিপোর্টার
২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারি যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ পাওয়া রাশিয়ার কারখানাগুলো পরিদর্শন করেছেন মস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান। সেন্ট পিটার্সবার্গ, পেট্রোজাভোদস্ক এবং ভলগাদনস্ক শহরের কারাখানাগুলো ঘুরে যন্ত্রাংশ তৈরির কাজের অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান। দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত পাওয়ার মেশিন গ্রুপের চারটি কারখানায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অপরিহার্য যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। পাওয়ার মেশিন গ্রুপ অব কোম্পানি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য টারবাইন ও জেনারেটর, পরিবহন এবং সমূদ্রগামী জাহাজের যন্ত্রাংশ এবং ট্রান্সফরমারসহ বিভিন্ন বৃহৎ যন্ত্রপাতির নকশা প্রণয়ন এবং উৎপাদন করছে ১৬০ ধরে। পৃথিবীর ৫৭টি দেশে তাদের তৈরি যন্ত্রাংশ সাপ্লাইর রেকর্ড রয়েছে। মেশিন গ্রুপের পারমাণবিক শক্তি বিভাগের প্রধান ও উপ-প্রধান নির্বাহী এনটন ভিক্টরভ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তৈরি হতে যাওয়া যন্ত্রপাতির বর্ণনা দেন।
শুক্রবার প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি মতে, পাওয়ার মেশিন গ্রুপের এলএমজেড কারখানাটি রাশিয়ার বৃহত্তম টারবাইন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে এলএমজেড কারখানায় রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের টারবাইনের জন্য প্রস্তুতকৃত হাই প্রেশার রোটর এবং চারটি লো-প্রেশার রোটরের নির্মাণ প্রক্রিয়া দেখানো হয়। জানানো হয়, হাই প্রেশার রোটর তৈরির কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পাওয়ার মেশিনের টুরবা এটমগ্যাজ কারখানায় তৈরি হচ্ছে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের টারবাইনের হাই প্রেশার সিলিন্ডার, লো-প্রেশার সিলিন্ডার, কন্ডেন্সার সেট, লো-প্রেসার হিটার এবং আরও কিছু যন্ত্রপাতি। ইলেক্ট্রসিলা কারখানায় তৈরি হচ্ছে জেনারেটর এবং পাওয়ার ম্যাশিন-টোশিবা কারখানায় প্রস্তুত হচ্ছে ট্রান্সফরমার। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতির প্রস্তুতি, পরিবহন এবং রূপপুর প্রকল্পের কাজ স ম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি তৈরিতে যুক্ত পেট্রোজাভোদস্ক শহরের পেট্রোজাভোদস্কমাশ কারখানা পরিদর্শনের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পাভেল মারচেঙ্কো কারখানার অতীত এবং বর্তমান কার্যক্রম এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তৈরি হতে থাকা যন্ত্রপাতিগুলোর বিষয়ে ব্রিফ করেন। ওই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের জনগণের জন্য গৌরবজনক এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতিসহ সার্বিক কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পটি শেষ হবে বলে রাষ্ট্রদূত দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিদর্শনকালে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ব্রিফিং ও বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও রাশিয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাস মস্কোর নিউক্লিয়ার পাইয়ার উইংয়ের কাউন্সিলর এবং কারখানাগুলোতে নিয়োজিত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা ও দেশজ জ্বালানির অপ্রতুলতা বিবেচনায় পরিবেশবান্ধব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় মস্কোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঢাকা।
শুক্রবার প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি মতে, পাওয়ার মেশিন গ্রুপের এলএমজেড কারখানাটি রাশিয়ার বৃহত্তম টারবাইন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসানকে এলএমজেড কারখানায় রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের টারবাইনের জন্য প্রস্তুতকৃত হাই প্রেশার রোটর এবং চারটি লো-প্রেশার রোটরের নির্মাণ প্রক্রিয়া দেখানো হয়। জানানো হয়, হাই প্রেশার রোটর তৈরির কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পাওয়ার মেশিনের টুরবা এটমগ্যাজ কারখানায় তৈরি হচ্ছে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের টারবাইনের হাই প্রেশার সিলিন্ডার, লো-প্রেশার সিলিন্ডার, কন্ডেন্সার সেট, লো-প্রেসার হিটার এবং আরও কিছু যন্ত্রপাতি। ইলেক্ট্রসিলা কারখানায় তৈরি হচ্ছে জেনারেটর এবং পাওয়ার ম্যাশিন-টোশিবা কারখানায় প্রস্তুত হচ্ছে ট্রান্সফরমার। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতির প্রস্তুতি, পরিবহন এবং রূপপুর প্রকল্পের কাজ স ম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি তৈরিতে যুক্ত পেট্রোজাভোদস্ক শহরের পেট্রোজাভোদস্কমাশ কারখানা পরিদর্শনের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পাভেল মারচেঙ্কো কারখানার অতীত এবং বর্তমান কার্যক্রম এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তৈরি হতে থাকা যন্ত্রপাতিগুলোর বিষয়ে ব্রিফ করেন। ওই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের জনগণের জন্য গৌরবজনক এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতিসহ সার্বিক কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পটি শেষ হবে বলে রাষ্ট্রদূত দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিদর্শনকালে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ব্রিফিং ও বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও রাশিয়ার ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাস মস্কোর নিউক্লিয়ার পাইয়ার উইংয়ের কাউন্সিলর এবং কারখানাগুলোতে নিয়োজিত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের পরিদর্শকরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা ও দেশজ জ্বালানির অপ্রতুলতা বিবেচনায় পরিবেশবান্ধব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় মস্কোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ঢাকা।