অনলাইন

নবীনগরে যুবদলের সভায় পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১৫

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নবীনগর প্রতিন

২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের বাধাঁয় পন্ড হয়ে গেছে উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সভা। এরপরই যুবদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওা-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দলটির ১৫ জনের বেশী নেতাকর্মী আহত হন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আলীয়াবাদ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি সহ-সভাপতি, সাংগঠনিক টিম প্রধান জাকির হোসেন সিদ্দিকী ও জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সহ-সভাপতি রাশেদুল হক রাশেদ, তাজুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদসহ অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা যুবদল। পুলিশের হামলায় সাংগঠনিক সভাটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। নবীনগর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড চাঙ্গা করতে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এবং উপজেলা যুবদলের এক নম্বর যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ হোসেন রাজুর নেতৃত্বাধীন অপর গ্রুপ নবীনগর মহিলা কলেজে পৃথক দুটি সাংগঠনিক সভা আহবান করে। এনিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে বৃহষ্পতিবার রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় দু-গ্রুপকে একত্র করে সভা করার বিষয়ে আলোচনা করেন। শুক্রবার সকালে উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে বৃহস্পতিবার রাতে যুবদলের কুমিল্লা অঞ্চলের সাংগঠনিক টিমের দায়িত্বে থাকা যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ঢাকা থেকে একটি টিম নবীনগর পৌছায়। কিন্তু অনুমতি না নেয়ার অজুহাতে নবীনগর থানা পুলিশ শুক্রবার সভা করতে বাধা দেয়। পুলিশের বাধার পর যুবদলের বিভক্ত নেতাকর্মীরা দিনভর ঘরোয়া বৈঠক শেষে বিকেলে পৌর এলাকার আলীয়াবাদ গ্রামে সাবেক বিএনপি নেতা মরহুম মদন মিয়া মেম্বারের বাড়িতে দুই গ্রুপ একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সাংগঠনিক সভায় মিলিত হয়। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে সভায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় সেখানকার সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলাকালে যুবদল নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ ঘটনায় যুবদলের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান মুকুল বলেন, আমরা কোন সভা করিনি। তারপরও পুলিশ আমাদের কর্মীদেরকে বেধড়ক পেটায়। এতে কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন সিদ্দীকিসহ জেলা ও উপজেলার আমাদের কমপক্ষে ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের হামলায় সাবেক বিএনপি নেতা মরহুম মদন মিয়া মেম্বারের বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত যুবদল কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সাংগঠনিক সভা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের বাধায় করতে পারিনি। বিকেলে আমাদের এক নেতার বাসায় বসে কারা কারা প্রার্থী- তাদের তালিক তৈরি করার সময় পুলিশ এসে অতর্কিতভাবে হামলা করে। নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমীন বলেন, সভা করার কোন অনুমতি না থাকার পরও এই করোনা কালে যুবদলের নেতারা বিকেলে একটি বাড়িতে সাংগঠনিক সভা করায় পুলিশ বাধা দিয়েছে। তবে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন বলেন গোপনে এক বাড়িতে তারা (যুবদল নেতাকর্মী) বসছিল। পুলিশ নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে যায়। পুলিশ দেখেই তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status