বেগমগঞ্জে চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে চাকরি-বিয়ে দেয়ার প্রলোভনে এক তরুণীকে (২৫) ধর্ষণ করেছে এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী তরুণী এ ঘটনায় বাবা-ছেলে দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলাম (৬৫) কে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরের দিকে আটক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নির্যাতিতা তরুণীর মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আমানতপুর গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে এবং অবসর প্রাপ্ত ট্রাপিক সার্জেন্ট। তবে মামলার অপর আসামি মাহবুবুর রহমান (৩৫) পলাতক রয়েছে। সে আটক সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিা ওই তরুণী উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৮-৯ মাস নোয়াখালী ও ঢাকায় বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে আসছেন বলে মামলার অভিযোগে ভিক্টিম জানান। চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সিরাজুল ইসলাম মেয়েটিকে বিয়ে করেননি এবং চাকরিও দেয়নি। ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে সিরাজুল ইসলাম নানা টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে তার ছেলে মাহবুবুর রহমান মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। ওসি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, পলাতক আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।