বাংলারজমিন
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাস্তা দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৪ অক্টোবর ২০২০, শনিবার, ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ২০ পরিবারের হাঁটার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শত বছরের পুরনো রাস্তাটির কিছু অংশে পাকা ঘর নির্মাণ আর বাকি অংশ টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে ওই শিক্ষকের বাড়ির আশেপাশের প্রায় ২০টি পরিবারের মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। এ নিয়ে আইন আদালত করায় প্রতিবেশীদের মারধরের হুমকি দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বড়ইচারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। রামচন্দ্রের বাড়ি লাগোয়া পূর্ব পাশের বাড়িটি স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক বাদল দাসের। তিনি জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে জনৈক নয়নতারা দাসীর কাছ থেকে ২১৯৭ দাগের আট শতক জায়গা কিনেন। এরপর সেখানে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। ১৯৬৬ সালে নয়নতারা দাসীর পূর্বসূরী উমাকান্ত দাস বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তার জন্য পশ্চিম পাশের বাড়ির তৎকালীন মালিক রামধন দাস ওরফে রায়ধন দাসের (রাম চন্দ্র দাসের কাকা) সঙ্গে আদালতে একটি সুলেহনামা করেন। ওই সুলেহনামার শর্ত অনুযায়ী, রামধন দাসের ৫ ফুট প্রস্থ ও ১২০ ফুট দৈর্ঘ্যের জায়গা রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করার বিনিময়ে তাদেরকে এক শতক জায়গা দিয়ে দেন। এরপর থেকে এটি পুরো মহল্লার মানুষের পায়ে হাঁটার রাস্তা হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি রাম চন্দ্র দাস ইটের দেয়াল ও টিনের বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। এদিকে একাধিক সালিশ-দেনদরবারের পর বিষয়টি মামলা-মোকদ্দমায় গড়িয়েছে। গত ১৪ই অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা করেন বাদল দাস। শিক্ষক রামচন্দ্র দাস এদিক দিয়ে কোনো রাস্তা নেই বলে দাবি করে বলেন, আমার বাড়ি ২১৯৮ ও ২১৯৯ দাগে মোট ১৩ শতক। আমার বাড়ির চারদিকে বড়ই, নারকেলসহ বিভিন্ন গাছ আছে। মারধরের হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাদল দাস ও তার লোকজনই আমাকে গত বছরের জুনে মারধর করেছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে বেড়া নির্মাণ করার বিষয়ে তার বক্তব্য, পুলিশ আমাকে ১৪৪ ধারা মামলার আদেশের কাগজ দেখাতে পারেনি। তবে অরুয়াইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাপন চক্রবর্তী বলেন, রামচন্দ্র দাস মিথ্যা বলছেন। কারণ, তার স্বাক্ষরিত আদেশের রিসিভ কপি আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।