ঠাকুরগাঁওয়ে মায়ের কবরের ওপর ছেলের লাশ, গ্রেপ্তার ২

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের মোলানী মাদ্রাসা পাড়া গ্রামে পারিবারিক গোরস্তানে মায়ের কবরের ওপরে ছেলের লাশ উদ্ধার মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য জানায়। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, গত ২১শে অক্টোবর বুধবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে মৃত নূর ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, প্রায় একমাস যাবৎ তারা নূর ইসলামের কাছে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ই অক্টোবর নূর ইসলাম দোকান বন্ধ করে টাকাসহ বাড়ি ফেরার পথে তার বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে কবরস্থানের রাস্তায় পৌঁছালে আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে সে মৃত্যুবরণ করে। আসামিরা তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং মৃত দেহটি তার মায়ের কবরের ওপর ফেলে রাখে মর্মে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের কাছে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ জানায়, মামলার তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান।  
পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে, গত ১১ই অক্টোবর রোববার মৃত নূর ইসলামের বড় ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করলে মামলাটি রুজু করা হয়। লিখিত এজাহার সূত্রে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আবু তাহের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ.কে.এম আতিকুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জিয়ারুল ইসলাম ও তদন্তকারী অফিসার এসআই রনি কুমার পাল নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করেন। বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ করে জড়িত আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের নিমিত্তে ঘটনার পর হতে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নূর ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সদর উপজেলার দেবীপুর ওস্তাদপাড়া গ্রামের মৃত আ. আলিমের ছেলে সেলিম রেজা (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত আ. কাদেরের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪০) কে গ্রেপ্তার করেন। উল্লেখ্য, নূর ইসলাম গত ১০ই অক্টোবর শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। রাত থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের ওপরে তার লাশ দেখতে পায়। পরে সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।