অনলাইন

মঙ্গলবার থেকে বিকাশ-নগদ-রকেট-ইউক্যাশে আন্ত:লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ৪:৫০ পূর্বাহ্ন

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আন্ত:লেনদেন সুবিধা চালু হচ্ছে। এখন থেকে বিকাশ, রকেট, এম ক্যাশ ও ইউক্যাশের মতো এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে লেনদেন করতে পারবে। পাশাপাশি ব্যাংক ও এমএফএসের মধ্যেও করা যাবে লেনদেন।

আগামী মঙ্গলবার থেকে আন্ত:লেনদেন এ সুবিধা চালু হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

বর্তমানে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়। কিন্তু এক এমএফএস থেকে অন্য এমএফএসে টাকা পাঠানো যায় না। অর্থাৎ বিকাশ গ্রাহকরা নগদে কিংবা রকেটে, নগদ গ্রাহকরা বিকাশ কিংবা রকেটে, রকেট গ্রাহকরা বিকাশ কিংবা নগদে টাকা পাঠাতে পারতেন না।

এ দুটি সেবা চালু হলে গ্রাহকেরা সহজেই ব্যাংক থেকে এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে এবং এমএফএস প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করতে পারবেন। তবে এই সেবার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো মাশুল নেয়া যাবে না। টাকা উত্তোলনের খরচ থাকছে আগের মতোই।

আপাতত ৪টি ব্যাংক ও ৪টি এমএফএস প্রতিষ্ঠান এই সেবায় যুক্ত হয়েছে। অন্যদের আগামী বছরের ৩১শে মার্চের মধ্যে আন্ত:লেনদেন ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশে নগদ অর্থের লেনদেন কমাতে সব ব্যাংক ও এমএফএস প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্ত:লেনদেন সেবা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সফলভাবে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পন্নকারী ব্যাংক ও এমএফএস প্রতিষ্ঠান আগামী মঙ্গলবার থেকে লেনদেন শুরু করবে। যারা প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি, তাদের আগামী বছরের ৩১শে মার্চের মধ্যে এ সেবা চালু করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, যে এমএফএস প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে অর্থ এমএফএস প্রতিষ্ঠানের হিসাবে যাবে, সেই প্রতিষ্ঠান অর্থ প্রেরণকারী এমএফএস প্রতিষ্ঠানকে লেনদেন হওয়া অর্থের ০.৮০ শতাংশ হারে মাশুল দেবে। একইভাবে ব্যাংক হিসাব হতে এমএফএস হিসাবে এবং এমএফএস হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের উভয়ক্ষেত্রেই এমএফএস প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে লেনদেন করা অর্থের ০.৪৫ শতাংশ মাশুল প্রদান করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট শেষে এমএফএসের গ্রাহক ৯ কোটি ২৯ লাখে উঠেছে, আর এজেন্ট ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। আগস্টে লেনদেন হয়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা।

আগস্টে এমএফএসের মাধ্যমে ১০৪ কোটি টাকা প্রবাসী আয় বিতরণ হয়েছে, বেতন-ভাতা পরিশোধ হয়েছে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। কেনাকাটা হয়েছে ১ হাজার ৬০ কোটি টাকা। গ্যাস-বিদ্যুতের মতো পরিষেবা বিল পরিশোধ হয়েছে ৯০৮ কোটি টাকা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status