বিশ্বজমিন
রাশিয়া কানেকশনের দলিল প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা
মানবজমিন ডেস্ক
২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে তোলপাড় সেখানকার রাজনীতি। অভিযোগ আছে, ওই নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে জিতিয়ে আনতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করেছে রাশিয়া। এ নিয়ে পরবর্তীতে অনেক গোয়েন্দা তদন্ত হয়েছে। তবে তার পুরোটা প্রকাশ পায় নি। এবার ৩রা নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে সেইসব দলিল প্রকাশ করে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা এক প্রধান চাপ দিচ্ছিলেন বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ বিষয়ে জানেন মার্কিন সরকারের এমন তিনজন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যে কর্মকর্তা বা কর্মকর্তারা ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করে দিতে চান তারা গোয়েন্দা সংস্থার ভিতর থেকেই বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এই বাধার কারণ হলো আগামী ৩রা নভেম্বরের নির্বাচন। এখন ওই তথ্য প্রকাশ করা হলে বলা হবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এসব প্রকাশ করা হয়েছে।
১৫ই অক্টোবর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আইজি বরাবরে একটি চিঠি লিখেছেন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জন র্যাটক্লিফ। ওই চিঠি পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স। তাতে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির সিনিয়র রিপাবলিকান ডেভিন নানিসের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তিনি ওই গোয়েন্দা ডকুমেন্ট প্রকাশ করে দিতে চান। কারণ, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রিপাবলিকানরা। তখন কমিটি প্রথম অনুরোধ জানিয়েছিল তারা ওই দলিল প্রকাশ করে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা, যিনি এ বিষয়টিতে জানেন, তিনি বলেছেন, সিআইএ এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি চেষ্টা করে যাচ্ছিল র্যাটক্লিফকে থামাতে। যাতে তিনি ওই দলিল প্রকাশ না করেন। কারণ, এই দলিল প্রকাশ হলে জাতীয় নিরাপত্তামূলক সম্পদের ক্ষতি হতে পারে। সূত্র বিপদে পড়তে পারে।
সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা ওইসব কর্মকর্তারা বলেছেন, র্যাটক্লিফ ও অন্যরা ওই গোয়েন্দা দলিল বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রকাশ করে দিতে চাইছিলেন। যদি তারা এক্ষেত্রে সক্ষম হতেন তাহলে তা হতো এমন এক সময়ে যখন ট্রাম্প ও জো বাইডেন এবার নির্বাচনের শেষ বিতর্ক করছিলেন। চতুর্থ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বৃহস্পতিবারটা এ দলিল প্রকাশ করার উপযুক্ত সময় ছিল না। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ, আইন মন্ত্রণালয় বা সিআইএ কোন পক্ষই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিও কোনো মন্তব্য করেনি।
১৫ই অক্টোবর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আইজি বরাবরে একটি চিঠি লিখেছেন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জন র্যাটক্লিফ। ওই চিঠি পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স। তাতে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির সিনিয়র রিপাবলিকান ডেভিন নানিসের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তিনি ওই গোয়েন্দা ডকুমেন্ট প্রকাশ করে দিতে চান। কারণ, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রিপাবলিকানরা। তখন কমিটি প্রথম অনুরোধ জানিয়েছিল তারা ওই দলিল প্রকাশ করে দেবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা, যিনি এ বিষয়টিতে জানেন, তিনি বলেছেন, সিআইএ এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি চেষ্টা করে যাচ্ছিল র্যাটক্লিফকে থামাতে। যাতে তিনি ওই দলিল প্রকাশ না করেন। কারণ, এই দলিল প্রকাশ হলে জাতীয় নিরাপত্তামূলক সম্পদের ক্ষতি হতে পারে। সূত্র বিপদে পড়তে পারে।
সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা ওইসব কর্মকর্তারা বলেছেন, র্যাটক্লিফ ও অন্যরা ওই গোয়েন্দা দলিল বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে প্রকাশ করে দিতে চাইছিলেন। যদি তারা এক্ষেত্রে সক্ষম হতেন তাহলে তা হতো এমন এক সময়ে যখন ট্রাম্প ও জো বাইডেন এবার নির্বাচনের শেষ বিতর্ক করছিলেন। চতুর্থ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বৃহস্পতিবারটা এ দলিল প্রকাশ করার উপযুক্ত সময় ছিল না। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ, আইন মন্ত্রণালয় বা সিআইএ কোন পক্ষই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিও কোনো মন্তব্য করেনি।