দেশ বিদেশ
মারা গেল সেই শিশুটি
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর কবরস্থানে বেঁচে ওঠা ৬ দিন বয়সী সেই নবজাতক মারিয়াম মারা গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। নবজাতকের বাবা ইয়াসিন মোল্লা মানবজমিনকে বলেন, আমাদের মারিয়ামকে আর বাঁচানো গেল না। মারিয়ামের মা এখনো জানে না যে সে বেঁচে নেই। তার মাকে কী করে বুঝাবো। তিনি বলেন, মারিয়াম জন্মের পর তাকে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মৃত ভেবে নিচে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ সময়টাতে হয়তো মারিয়াম শারীরিকভাবে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা আইনি পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মারিয়ামের মায়ের শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। তার পরেও আমরা ধীরে ধীরে মেয়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি তাকে জানানোর চেষ্টা করছি। সে গতকালও জানতে চেয়েছে মারিয়াম কেমন আছে? তবে এটাও ঠিক যে, মারিয়াম বেঁচে ফেরার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে যে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছিল তাতে আমরা সন্তুষ্ট। গত শুক্রবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে শাহিনুর বেগম একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। তার স্বামী ইয়াসিন মোল্লা পেশায় বিআরটিসি পরিবহন চালক। জন্মের পর মৃত ভেবে হাসপাতালের আয়া শিশুটিকে প্যাকেটে করে বেডের নিচে রেখে দেন। এবং কোথাও নিয়ে দাফন করার জন্য বলেন। সকাল ৮টার দিকে নবজাতকের বাবা ইয়াসিন তাকে দাফন করার জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান।
সেখানে এক হাজার ৫০০ টাকা সরকারি ফি দিতে না পারায় তাদের পরামর্শে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে ৫০০ টাকা ফি ও বকশিশ দেয়ার পর মৃত নবজাতকের জন্য কবর খোঁড়া শুরু হয়। কবর খোঁড়ার শেষপর্যায়ে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তিনি আশপাশে কোথাও কিছু না পেয়ে পাশে রাখা নবজাতকের দিকে খেয়াল করেন। এরপর প্যাকেট খুলে দেখেন শিশুটি নড়াচড়া ও কান্না করছে। পরবর্তীতে নবজাতককে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাকে দ্বিতীয় তলায় গাইনি বিভাগের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের এনআইসিইউতে উন্নত চিকিৎসা দেন।
সেখানে এক হাজার ৫০০ টাকা সরকারি ফি দিতে না পারায় তাদের পরামর্শে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে ৫০০ টাকা ফি ও বকশিশ দেয়ার পর মৃত নবজাতকের জন্য কবর খোঁড়া শুরু হয়। কবর খোঁড়ার শেষপর্যায়ে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। তিনি আশপাশে কোথাও কিছু না পেয়ে পাশে রাখা নবজাতকের দিকে খেয়াল করেন। এরপর প্যাকেট খুলে দেখেন শিশুটি নড়াচড়া ও কান্না করছে। পরবর্তীতে নবজাতককে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাকে দ্বিতীয় তলায় গাইনি বিভাগের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের এনআইসিইউতে উন্নত চিকিৎসা দেন।