বাংলারজমিন
পুরুষ শূন্য ইস্টার্ণ মিল শ্রমিক কলোনি
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৩ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
পাটকল শ্রমিক ও বাম জোটের ১৪ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে ইস্টার্ণ জুট মিল শ্রমিক কলোনি ও তার আশেপাশর এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ মামলায় ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের জামিন শুনানি না হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ২৮শে অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরজমিন দেখা যায়, ইস্টার্ণ জুট মিলের শ্রমিক কলোনির অনেক ঘর তালাবদ্ধ। চারিদিকে সুনসান নীরবতা। ইস্টার্ণ মিলের শ্রমিক কামাল হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বলেন, মিল বন্ধ করেছে, আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। মিল বন্ধের সময় এক সঙ্গে শ্রমিকের টাকা দেয়া হবে বলা হলেও সেব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সংঘর্ষের পর গ্রেপ্তারের ভয়ে কলোনি ছেড়েছে অনেক পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। অথচ সংঘর্ষের আগে এ কলোনি শ্রমিকদের পদচারণায় ছিল মুখরিত।
অপর শ্রমিক মিরাজুলের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালিয়েছে আবার মামলাও দিয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষরা শ্রমিক কলোনি এলাকা ত্যাগ করেছে। এ ছাড়া ইস্টার্ণ গেট বাজারের দোকানপাটও কম খোলা ছিল। খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার জানান, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং এ মামলায় নতুন কোনো আসামি আটক নেই।
এদিকে খুলনার আটরা শিল্প এলাকায় পাটকল শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষে পাটকল শ্রমিক ও বাম জোটের ২৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়। ১৯শে অক্টোবর এসআই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০। এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ও পরে আটক ১৩ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, বাসদ খুলনার সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত, যশোরের জেজেআই এর সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন খান, গণসংহতি আন্দোলনের ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এসএ রশিদ, মহানগর সিপিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, শ্রমিক রবিউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, শামসের আলম, ছাত্র ফেডারেশনের খুলনা মহানগরের আহ্বায়ক আল আমিন শেখ, শ্রমিক নওশের আলী, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর সরদার, শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। এদের মধ্যে ইস্টার্ণ জুট মিল মজদুর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন খান পলাতক রয়েছে এবং পুলিশের লাটিচার্জে গুরুতর আহত নওশের আলি খুমেক হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বাবুল হাওলাদার বলেন, বুধবার সিএমএম কোর্টে আসামিদের হাজির করা হয়। জামিনের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে শিগগিরই তাদের জামিনের আবেদন আবার করা হবে বলে তিনি জানান। আসামিপক্ষে ছিলেন নাগরিক নেতা এডভোকেট কুদরৎ ই খুদা।
পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক এডভোকেট কুদরৎ-ই-খুদা বলেন, মঙ্গলবার জামিন শুনানি না হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে গ্রেপ্তারদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ২৮শে অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বন্ধ করে দেয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু ও পাটকলের আধুনিকায়নসহ ১৬দফা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমর্থনে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ সোমবার ওই স্থানে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল।
সরজমিন দেখা যায়, ইস্টার্ণ জুট মিলের শ্রমিক কলোনির অনেক ঘর তালাবদ্ধ। চারিদিকে সুনসান নীরবতা। ইস্টার্ণ মিলের শ্রমিক কামাল হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার বলেন, মিল বন্ধ করেছে, আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। মিল বন্ধের সময় এক সঙ্গে শ্রমিকের টাকা দেয়া হবে বলা হলেও সেব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সংঘর্ষের পর গ্রেপ্তারের ভয়ে কলোনি ছেড়েছে অনেক পরিবারের পুরুষ সদস্যরা। অথচ সংঘর্ষের আগে এ কলোনি শ্রমিকদের পদচারণায় ছিল মুখরিত।
অপর শ্রমিক মিরাজুলের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালিয়েছে আবার মামলাও দিয়েছে। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষরা শ্রমিক কলোনি এলাকা ত্যাগ করেছে। এ ছাড়া ইস্টার্ণ গেট বাজারের দোকানপাটও কম খোলা ছিল। খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার জানান, এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং এ মামলায় নতুন কোনো আসামি আটক নেই।
এদিকে খুলনার আটরা শিল্প এলাকায় পাটকল শ্রমিক ও পুলিশের সংঘর্ষে পাটকল শ্রমিক ও বাম জোটের ২৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়। ১৯শে অক্টোবর এসআই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০। এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ও পরে আটক ১৩ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, বাসদ খুলনার সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত, যশোরের জেজেআই এর সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন খান, গণসংহতি আন্দোলনের ফুলতলা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এসএ রশিদ, মহানগর সিপিবি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু, শ্রমিক রবিউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, শামসের আলম, ছাত্র ফেডারেশনের খুলনা মহানগরের আহ্বায়ক আল আমিন শেখ, শ্রমিক নওশের আলী, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর সরদার, শহিদুল ইসলাম ও আবুল হোসেন। এদের মধ্যে ইস্টার্ণ জুট মিল মজদুর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন খান পলাতক রয়েছে এবং পুলিশের লাটিচার্জে গুরুতর আহত নওশের আলি খুমেক হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বাবুল হাওলাদার বলেন, বুধবার সিএমএম কোর্টে আসামিদের হাজির করা হয়। জামিনের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে শিগগিরই তাদের জামিনের আবেদন আবার করা হবে বলে তিনি জানান। আসামিপক্ষে ছিলেন নাগরিক নেতা এডভোকেট কুদরৎ ই খুদা।
পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক এডভোকেট কুদরৎ-ই-খুদা বলেন, মঙ্গলবার জামিন শুনানি না হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে গ্রেপ্তারদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ২৮শে অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বন্ধ করে দেয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল চালু ও পাটকলের আধুনিকায়নসহ ১৬দফা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমর্থনে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ সোমবার ওই স্থানে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল।