বাংলারজমিন
আঁধার কেটেছে চরআলগীবাসীর
সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) থেক
২২ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:৪১ পূর্বাহ্ন
চারপাশে পানি, মাঝখানে ঘরবাড়ি। প্রায় চারশ’ পরিবারের হাজারো লোকের বসবাস এখানে। কৃষিনির্ভর কাজ করেই চলে এখানকার লোকজনের সংসার। প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও দেড় কিলোমিটার প্রস্থের এ গ্রামটি দিনের আলোয় সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা হলেই নামতো ঘোর অন্ধকার। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের চরআলগী গ্রাম এটি। ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝখানে এ গ্রামটির অবস্থান। সম্প্রতি বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে এ গ্রামের দুইশ’ পরিবার। এর ফলে দীর্ঘদিনের আঁধার কেটেছে চরআলগীবাসীর।
যেখানে ক’দিন আগেও সন্ধ্যা হলে আঁধার নামতো সেখানে এখন আলোয় ঝলমল করছে। আলোয় চারপাশের জলরাশিও চকচক করছে। বিদ্যুৎ পৌঁছায় ভিন্ন এক স্বাদ পাচ্ছেন এখানকার লোকজন। কয়েকদিন আগেও যেখানে ছেলে-মেয়েরা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে কিংবা সৌরবিদ্যুতের টিমটিম আলোয় পড়ালেখা করতো সেখানে বিদ্যুতের ঝলমলে আলোয় পড়ালেখার সুযোগ পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ বেড়েছে। কৃষি এ গ্রামের লোকজনের একমাত্র পেশা। তাছাড়া সবজি উৎপাদনেও এ গ্রামটির রয়েছে সুখ্যাতি। বিদ্যুৎ পৌঁছায় স্বল্প সময়ে অল্প খরচে অধিক ফসল ফলিয়ে লাভের আশা করছেন এখানকার কৃষকরা। তারা বলছেন, চরাঞ্চলের সবজি খ্যাত এ গ্রামটি বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ার ফলে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। পাশাপাশি অজ্ঞতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার মুক্ত হয়ে একটি আদর্শ গ্রাম হবে চরআলগী- এমনটাই ধারণা স্থানীয়দের। মজনু মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, বিদ্যুৎ পাওয়ায় সেচের মাধ্যমে অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে ফল উৎপাদন করা যাবে। এতে এখানকার কৃষকেরা লাভবান হবেন।
ওই গ্রামের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত বলেন, হ্যারিকেনের আলোয় লেখাপড়া করতে অনেক অসুবিধা হতো। অমনোযোগ থাকতো, এখন সেই সমস্যা আর থাকছে না। বিদ্যুতের আলোয় এখানকার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় বাড়তি উৎসাহ পাবে। শিক্ষাক্ষেত্রেও এগিয়ে যাবে এ গ্রামের ছেলে-মেয়েরা। চরআলগী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামবাসী দীর্ঘদিনের অন্ধকার থেকে আলোর যুগে প্রবেশ করলো। এই আলোতে লেখাপড়া করে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারবে। লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়বে। গ্রামবাসী তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিভিশনের মাধ্যমে চিত্তবিনোদন এবং জীবন সম্পর্কে জানতে পারবে। কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। সেজন্য তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ মানবজমিনকে বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরাঞ্চলের ওই গ্রামটি খুবই অবহেলিত। নদ ভাঙনের সময় আমি ওই গ্রামটি পরিদর্শন করেছি। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি। বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ গ্রামটির উন্নয়নে আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছিলাম। বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, ক্রমান্বয়ে রাস্তাঘাটসহ সকল উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
যেখানে ক’দিন আগেও সন্ধ্যা হলে আঁধার নামতো সেখানে এখন আলোয় ঝলমল করছে। আলোয় চারপাশের জলরাশিও চকচক করছে। বিদ্যুৎ পৌঁছায় ভিন্ন এক স্বাদ পাচ্ছেন এখানকার লোকজন। কয়েকদিন আগেও যেখানে ছেলে-মেয়েরা হ্যারিকেন জ্বালিয়ে কিংবা সৌরবিদ্যুতের টিমটিম আলোয় পড়ালেখা করতো সেখানে বিদ্যুতের ঝলমলে আলোয় পড়ালেখার সুযোগ পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ বেড়েছে। কৃষি এ গ্রামের লোকজনের একমাত্র পেশা। তাছাড়া সবজি উৎপাদনেও এ গ্রামটির রয়েছে সুখ্যাতি। বিদ্যুৎ পৌঁছায় স্বল্প সময়ে অল্প খরচে অধিক ফসল ফলিয়ে লাভের আশা করছেন এখানকার কৃষকরা। তারা বলছেন, চরাঞ্চলের সবজি খ্যাত এ গ্রামটি বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ার ফলে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। পাশাপাশি অজ্ঞতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার মুক্ত হয়ে একটি আদর্শ গ্রাম হবে চরআলগী- এমনটাই ধারণা স্থানীয়দের। মজনু মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, বিদ্যুৎ পাওয়ায় সেচের মাধ্যমে অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে ফল উৎপাদন করা যাবে। এতে এখানকার কৃষকেরা লাভবান হবেন।
ওই গ্রামের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত বলেন, হ্যারিকেনের আলোয় লেখাপড়া করতে অনেক অসুবিধা হতো। অমনোযোগ থাকতো, এখন সেই সমস্যা আর থাকছে না। বিদ্যুতের আলোয় এখানকার শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় বাড়তি উৎসাহ পাবে। শিক্ষাক্ষেত্রেও এগিয়ে যাবে এ গ্রামের ছেলে-মেয়েরা। চরআলগী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, গ্রামবাসী দীর্ঘদিনের অন্ধকার থেকে আলোর যুগে প্রবেশ করলো। এই আলোতে লেখাপড়া করে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারবে। লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়বে। গ্রামবাসী তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিভিশনের মাধ্যমে চিত্তবিনোদন এবং জীবন সম্পর্কে জানতে পারবে। কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। সেজন্য তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ মানবজমিনকে বলেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরাঞ্চলের ওই গ্রামটি খুবই অবহেলিত। নদ ভাঙনের সময় আমি ওই গ্রামটি পরিদর্শন করেছি। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি। বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাটসহ গ্রামটির উন্নয়নে আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছিলাম। বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, ক্রমান্বয়ে রাস্তাঘাটসহ সকল উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।