বাংলারজমিন
মানিকগঞ্জ জজশিপে বিচারাধীন হাজারো মামলার জট
রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
২২ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:০৭ পূর্বাহ্ন
মানিকগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট। একদিকে করোনা মহামারি, অন্যদিকে জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে মামলার কার্যক্রম। এতে জজশিপে হাজার হাজার বিচারাধীন মামলার জট বেঁধে গেছে। ফলে ভুক্তভোগী বিচারপ্রার্থীরা চরমভাবে বিচারহীনতায় ভুগছেন। ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিয়ে ধীর গতিতে চলছে দুই আদালতের বিচার কার্যক্রম। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ নিয়োগ দেয়ার দাবি জেলার আইনজীবীদের।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৩রা সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বদলির প্রায় ২ মাস হতে চললেও শূন্য পদে এখনো জেলা ও দায়রা জজ নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে জেলা ও দায়রা জজ না থাকায় বিচারধীন মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় মামলার জট বেড়ে যাচ্ছে। জেলার প্রধান বিচারক না থাকায় গুরুত্বপূর্র্ণ ও বিচারাধীন মামলাগুলো নিয়ে বিচারপ্রার্থীরা চরম শঙ্কায় রয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজের অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শাহানা হক সিদ্দিকা। গুরুত্বপূর্র্ণ কিছু মামলা আদালতে উঠলেও সিংহভাগ মামলার কার্যক্রম কার্যত বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে মার্ডারসহ গুরুত্বপূর্র্ণ মামলার রায়, আপিল ও শুনানি সবই কার্যত বন্ধ। শুধু জেলা ও দায়রা জজই নন, পাশাপাশি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ আনোয়ার সাদাত নেই ২০১৯ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর থেকে। বদলি হয়ে যাওয়ার এক বছরের অধিক সময় ধরে পদটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ম আফরোজা বেগম। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় সেখানে বিচারাধীন মামলার জট বেড়ে যাওয়ায় বিচার প্রার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আদালতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জজশিপে গেল সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ফৌজদারি মামলা ৪ হাজার ৫শ’ ১৮টি ও দেওয়ানি মামলা ১৪ হাজার ৬৮টি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে আছে। জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় বিচারাধীন মামলার জটও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া মামলার জটে আটকে পড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়গুলো কার্যত বন্ধ রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোখসেদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, জেলা ও দায়রা জজ ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় গুরুত্বপূর্র্ণ মামলাগুলোর কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে জেলা ও দায়রা জজ না থাকায় বড় বড় মার্ডার মামলাসহ গুরুত্বপূর্র্ণ হাজারো মামলার জট বেড়েছে। এতে বিচার প্রার্থীদের মধ্যে অনিহা এসে যাচ্ছে। আইনজীবী হিসেবে আমরা মানুষের সেবা করতে এসেছি কিন্তু বিচারক কবে কিংবা কখন যোগ দেবেন সে বিষয়ে বিচারপ্রার্থীদের কাছে আমরা কোনো জবাব দিতে পারি না। জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি এডভোকেট একেএম আজিজুল হক বলেন, জেলা ও দায়রা জজ না থাকায় মামলাগুলোর প্রতিকার পাচ্ছে না বিচার প্রার্থীরা। মামলার বিশাল জট বেঁধে গেছে। এতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় সেখানে হাজার হাজার মামলার জট বেঁধে যাওয়ায় বিচারপ্রার্থীরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জামিলুর রশিদ খান বলেন, একটা জেলার প্রধান জজ না থাকলে মামলার গতি থাকে না। যার ফলে মামলায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া করোনার কারণে প্রায় চার মাস কোর্টের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শূন্য পদে দুই বিচারক যোগ দিলে বিচার কার্যে কিছুটা গতি আসবে। অবিলম্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা জজ-২ নিয়োগের দাবি আমাদের সকল আইনজীবীর। তাহলেই সকল জটিলতা কিছুটা কেটে উঠবে বলে আমি মনে করি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৩রা সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বদলির প্রায় ২ মাস হতে চললেও শূন্য পদে এখনো জেলা ও দায়রা জজ নিয়োগ হয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে জেলা ও দায়রা জজ না থাকায় বিচারধীন মামলার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় মামলার জট বেড়ে যাচ্ছে। জেলার প্রধান বিচারক না থাকায় গুরুত্বপূর্র্ণ ও বিচারাধীন মামলাগুলো নিয়ে বিচারপ্রার্থীরা চরম শঙ্কায় রয়েছেন। জেলা ও দায়রা জজের অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শাহানা হক সিদ্দিকা। গুরুত্বপূর্র্ণ কিছু মামলা আদালতে উঠলেও সিংহভাগ মামলার কার্যক্রম কার্যত বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে মার্ডারসহ গুরুত্বপূর্র্ণ মামলার রায়, আপিল ও শুনানি সবই কার্যত বন্ধ। শুধু জেলা ও দায়রা জজই নন, পাশাপাশি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ আনোয়ার সাদাত নেই ২০১৯ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর থেকে। বদলি হয়ে যাওয়ার এক বছরের অধিক সময় ধরে পদটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-১ম আফরোজা বেগম। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় সেখানে বিচারাধীন মামলার জট বেড়ে যাওয়ায় বিচার প্রার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আদালতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জজশিপে গেল সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ফৌজদারি মামলা ৪ হাজার ৫শ’ ১৮টি ও দেওয়ানি মামলা ১৪ হাজার ৬৮টি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় পড়ে আছে। জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় বিচারাধীন মামলার জটও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া মামলার জটে আটকে পড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়গুলো কার্যত বন্ধ রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোখসেদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, জেলা ও দায়রা জজ ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় গুরুত্বপূর্র্ণ মামলাগুলোর কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে জেলা ও দায়রা জজ না থাকায় বড় বড় মার্ডার মামলাসহ গুরুত্বপূর্র্ণ হাজারো মামলার জট বেড়েছে। এতে বিচার প্রার্থীদের মধ্যে অনিহা এসে যাচ্ছে। আইনজীবী হিসেবে আমরা মানুষের সেবা করতে এসেছি কিন্তু বিচারক কবে কিংবা কখন যোগ দেবেন সে বিষয়ে বিচারপ্রার্থীদের কাছে আমরা কোনো জবাব দিতে পারি না। জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সেক্রেটারি এডভোকেট একেএম আজিজুল হক বলেন, জেলা ও দায়রা জজ না থাকায় মামলাগুলোর প্রতিকার পাচ্ছে না বিচার প্রার্থীরা। মামলার বিশাল জট বেঁধে গেছে। এতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ না থাকায় সেখানে হাজার হাজার মামলার জট বেঁধে যাওয়ায় বিচারপ্রার্থীরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জামিলুর রশিদ খান বলেন, একটা জেলার প্রধান জজ না থাকলে মামলার গতি থাকে না। যার ফলে মামলায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া করোনার কারণে প্রায় চার মাস কোর্টের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শূন্য পদে দুই বিচারক যোগ দিলে বিচার কার্যে কিছুটা গতি আসবে। অবিলম্বে জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা জজ-২ নিয়োগের দাবি আমাদের সকল আইনজীবীর। তাহলেই সকল জটিলতা কিছুটা কেটে উঠবে বলে আমি মনে করি।