বাংলারজমিন
মাইজদীতে ধর্ষণের অভিযোগে আইনজীবীর সহকারীসহ গ্রেপ্তার ২
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২১ অক্টোবর ২০২০, বুধবার, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
মাইজদী শহরের আবাসিক হোটেলে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আইনজীবী সহকারীসহ ২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সুধারাম থানার নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী শহরের ১টি অজ্ঞাতনামা হোটেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার ৭নং ধর্মপুর ইউপির চর দরবেশপুর গ্রামের আবুল কালাম ও মমতাজ বেগমের কিশোরী কন্যাকে মোবাইলের সূত্র ধরে প্রেমের প্রলোভনে নোয়াখালী জজকোর্টে এনে মুহুরী মো. পারভেজ সহ আবুল বাশার কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে হয়েছে বলে ভিকটিমকে জানায়। পরে কিশোরীকে শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে ভোরে পালিয়ে যায়। সকালে ধর্ষকের পিতা আবদুল মমিনকে ঘটনাটি জানালে তিনি ভিকটিমের পরিবারকে বলেন, শারীরিক সম্পর্ক করা তোমার মেয়েকে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দাও। এরকম খারাপ মেয়েকে চিনি না এবং বিবাহ হয়নি বলে জানায়। এরপর ধর্ষিতার বাবাসহ আত্মীয়স্বজন জজকোর্টে এসে আইনজীবী সহকারী পারভেজকে জিজ্ঞাসা করলে বিবাহ হয়নি জানালে তার প্রতারণা ধরা পড়ায় কোর্টের লোকজন মুহরীকে আটক করে সুধারাম থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে কিশোরী বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। তদন্তকারী এসআই সুধন চন্দ্র দাস ৬নং ইউনিয়নের চর উরিয়া গ্রামের ইস্রাফিল মিয়া বাড়ির আবদুর রহিম ও ফাতেমা বেগমের পুত্র পারভেজ (২৫) ও ধর্মপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের চরদরবেশপুর গ্রামের সওদাগর বাড়ির আবদুল মমিন ও আলেয়া বেগমের পুত্র আবুল বাশার (২৪) কে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। গতকাল নোয়াখালীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমের ধর্ষণ ও বয়স সংক্রান্ত মেডিকেল পরীক্ষা করানো ও আদালতে ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ২নং আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।