বাংলারজমিন
বেনাপোল কাস্টম্স হাউসে ১৭১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
২০ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:২৯ পূর্বাহ্ন
রাজস্ব ফাঁকি রোধে বেনাপোল কাস্টম্স হাউসে ব্যাপক সংস্কার ও নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করায় ৩৫ টি পণ্য চালানে ১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ধরা পড়েছে। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার জরিমানা আদায় করেছে কাস্টম্স কর্তৃপক্ষ। ফলে গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের সেপ্টম্বরে ১৭১ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতিশীলতা, দ্রুত পণ্য খালাস ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বেনাপেল বন্দর ব্যবহারকারী সিএন্ডএফ এজেন্টস ও কাস্টম্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে কঠোর অবস্থানের কথা জানান, বেনাপোল কাস্টম্স হাউসের নবাগত কমিশনার আজিজুর রহমান।
কাস্টম্স সূত্র জানায়, রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর যাদের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির কোনো অভিযোগ নেই তাদের পণ্যচালান ‘ডি’ মার্কের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই খালাস দেয়া হবে।
কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যচালান কেমিক্যাল ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফলাফলের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করে খালাস দেয়া শুরু হয়েছে।
বন্দরে ওয়েইং স্কেলের ওজনের ভিওিতে পণ্যের শুল্কায়নের বিষয়ে বলা হয়, বন্দরে স্কেলগুলোতে এক একটির ওজন এক এক রকম হওয়ায় জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এটি অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া হবে, এটিকে পুঁজি করে কেউ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে বেনাপেল বন্দর দিয়ে সাইড ডোর রেল কার্গো কন্টেইনার কার্র্গো চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে রেল টার্মিনাল ইয়ার্ড তৈরির ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্থলপথে যেখানে প্রতিদিন ৫/৬ শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে সেখানে বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রভাব থাকলেও প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক মালামাল আমদানি হচ্ছে এ বন্দর দিয়ে।
ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় কালীতলা পার্কিং এ আমদানি পণ্য বোঝাই ট্রাক থেকে ২০০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে জোর করে। দু’দেশের ব্যবসায়ীরা ওপারে বনগাঁও এলাকায় একটি অশুভ, অপশক্তি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় কাস্টম্স কমিশনারের কাছে।
যদিও বেনাপোল বন্দর দিয়ে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে ভারতের সঙ্গে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম্স হাউসের জন্য ৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বেনাপোল-যশোর হাইওয়ে ৬ লেন ও বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে বেনাপোল বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড ট্রেন চালু, আইসিডি চালুসহ বাইপাস সড়ক ৪ লেন করার জোর দাবি করা হয়।
কাস্টম্স সূত্র জানায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে জুলাই-অক্টেবার পর্যন্ত ৯৯৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা ১৭১ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। শতকরা হারে ২০.৬৭% বেশি। একই সময়ে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮২৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল বেনাপোল কাস্টম্স হাউসে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ জেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, নতুন কমিশনার আজিজুর রহমান বেনাপোলে জয়েন্ট করার পর থেকে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। কিন্তু বেনাপোলের ন্যায় অন্যান্য বন্দরেও কড়াকড়ি করতে হবে। তা না হলে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে।
কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব ফাকি রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অনিয়ম ধার পড়েছে। তাদেরকে রাজস্ব পরিশোধ করে ২’শ পারসেন্ট জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বেনাপেল বন্দর ব্যবহারকারী সিএন্ডএফ এজেন্টস ও কাস্টম্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে কঠোর অবস্থানের কথা জানান, বেনাপোল কাস্টম্স হাউসের নবাগত কমিশনার আজিজুর রহমান।
কাস্টম্স সূত্র জানায়, রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর যাদের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির কোনো অভিযোগ নেই তাদের পণ্যচালান ‘ডি’ মার্কের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই খালাস দেয়া হবে।
কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যচালান কেমিক্যাল ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফলাফলের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করে খালাস দেয়া শুরু হয়েছে।
বন্দরে ওয়েইং স্কেলের ওজনের ভিওিতে পণ্যের শুল্কায়নের বিষয়ে বলা হয়, বন্দরে স্কেলগুলোতে এক একটির ওজন এক এক রকম হওয়ায় জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এটি অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া হবে, এটিকে পুঁজি করে কেউ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে বেনাপেল বন্দর দিয়ে সাইড ডোর রেল কার্গো কন্টেইনার কার্র্গো চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে রেল টার্মিনাল ইয়ার্ড তৈরির ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্থলপথে যেখানে প্রতিদিন ৫/৬ শ’ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে সেখানে বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রভাব থাকলেও প্রতিদিন ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক মালামাল আমদানি হচ্ছে এ বন্দর দিয়ে।
ওপারে পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় কালীতলা পার্কিং এ আমদানি পণ্য বোঝাই ট্রাক থেকে ২০০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে জোর করে। দু’দেশের ব্যবসায়ীরা ওপারে বনগাঁও এলাকায় একটি অশুভ, অপশক্তি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় কাস্টম্স কমিশনারের কাছে।
যদিও বেনাপোল বন্দর দিয়ে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে ভারতের সঙ্গে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টম্স হাউসের জন্য ৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বেনাপোল-যশোর হাইওয়ে ৬ লেন ও বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে বেনাপোল বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড ট্রেন চালু, আইসিডি চালুসহ বাইপাস সড়ক ৪ লেন করার জোর দাবি করা হয়।
কাস্টম্স সূত্র জানায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে জুলাই-অক্টেবার পর্যন্ত ৯৯৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা ১৭১ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। শতকরা হারে ২০.৬৭% বেশি। একই সময়ে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৮২৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছিল বেনাপোল কাস্টম্স হাউসে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ জেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, নতুন কমিশনার আজিজুর রহমান বেনাপোলে জয়েন্ট করার পর থেকে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করায় রাজস্ব আদায় বেড়েছে। কিন্তু বেনাপোলের ন্যায় অন্যান্য বন্দরেও কড়াকড়ি করতে হবে। তা না হলে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে।
কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব ফাকি রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অনিয়ম ধার পড়েছে। তাদেরকে রাজস্ব পরিশোধ করে ২’শ পারসেন্ট জরিমানা আদায় করা হয়েছে।