প্রথম পাতা
করোনার ভ্যাকসিনে লাগবে ১৪০০০ কোটি টাকা
দাতা সংস্থার সহায়তা চাইছে বাংলাদেশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৯ অক্টোবর ২০২০, সোমবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন সংগ্রহে নানামুখী চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হলে দরকার ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। সরকারের একার পক্ষে এই অর্থ সংস্থান কঠিন। এই অবস্থায় উন্নয়ন সহযোগীদের পাশে আনার চেষ্টা করছে সরকার। ইতিমধ্যেই জাপানের কাছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) গত সপ্তাহে এ বিষয়ে ঢাকায় জাপানের দূতাবাসকে একটি চিঠি দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী জাপান দূতাবাসে ওই চিঠিটি পাঠানো হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে ভ্যাকসিন সংগ্রহের সম্ভাব্য ব্যয়ের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তহবিল চাইতে ইআরডিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবহিত করেছিল। ইআরডির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি সম্ভাব্য উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদার দেশকে বাংলাদেশের তহবিলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকেও তহবিল নেবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ইআরডি তরফে এক চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের সব নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ১.৬৫ বিলিয়ন থেকে ২ বিলিয়ন ডলার। জন প্রতি দুই ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য ১০ থেকে ১২ ডলার খরচ ধরে এই খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাপানের দূতাবাসকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে জাপান সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছে।
একইভাবে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার চাইবে এমনটাই বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এডিবি জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া ইআরডি ভ্যাকসিন কেনার জন্য এডিবির কাছ থেকে আরো ৩৫০ মিলিয়ন ডলার চাইবে।
উন্নয়ন অংশীদারদের কাছে পাঠানো ইআরডির চিঠি অনুযায়ী, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মানবজীবন ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং শিগগিরই এর থেকে অবসান পাওয়ার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। তাই মানুষের জীবন ও অর্থনীতিকে রক্ষা করতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করা জরুরি। অল্প সময়ের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যাবে বলে এই আর্থিক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।
এই বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিনের বড় আকারের বাণিজ্যিক উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে সকল নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমদানি করতে একটি বড় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসেও করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে নতুন করে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ইআরডি। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ইআরডি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। আবার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনানুষ্ঠানিক খাতের বিশাল জনগোষ্ঠীকে খাদ্য ও নগদ সহায়তা দিতে হয়েছে। তাই সরকারের উচিত শুধু বিশ্বব্যাংক নয়, অন্য উৎসগুলো থেকে অর্থের সংস্থান করা।
এদিকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কাতার ও ভুটান করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে করোনা সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মোদি এ তথ্য প্রকাশ করেন। বৈঠকে বলা হয়, ভারতের দু’টি টিকার দ্বিতীয় ও একটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। বাংলাদেশ কোনো টিকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে চীনের একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ঢাকায় হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় তা হাতছাড়া হয়ে গেছে।
এর আগে ভ্যাকসিন সংগ্রহের সম্ভাব্য ব্যয়ের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তহবিল চাইতে ইআরডিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবহিত করেছিল। ইআরডির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি সম্ভাব্য উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদার দেশকে বাংলাদেশের তহবিলের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকেও তহবিল নেবে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ইআরডি তরফে এক চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের সব নাগরিককে টিকার আওতায় আনতে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ১.৬৫ বিলিয়ন থেকে ২ বিলিয়ন ডলার। জন প্রতি দুই ডোজ ভ্যাকসিনের জন্য ১০ থেকে ১২ ডলার খরচ ধরে এই খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাপানের দূতাবাসকে দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে জাপান সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছে।
একইভাবে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার চাইবে এমনটাই বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এডিবি জরুরি চিকিৎসা সরবরাহের জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। এ ছাড়া ইআরডি ভ্যাকসিন কেনার জন্য এডিবির কাছ থেকে আরো ৩৫০ মিলিয়ন ডলার চাইবে।
উন্নয়ন অংশীদারদের কাছে পাঠানো ইআরডির চিঠি অনুযায়ী, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মানবজীবন ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং শিগগিরই এর থেকে অবসান পাওয়ার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না। তাই মানুষের জীবন ও অর্থনীতিকে রক্ষা করতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করা জরুরি। অল্প সময়ের মধ্যেই করোনা ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যাবে বলে এই আর্থিক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।
এই বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিনের বড় আকারের বাণিজ্যিক উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে সকল নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমদানি করতে একটি বড় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিল মাসেও করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে নতুন করে ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ইআরডি। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ইআরডি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। আবার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অনানুষ্ঠানিক খাতের বিশাল জনগোষ্ঠীকে খাদ্য ও নগদ সহায়তা দিতে হয়েছে। তাই সরকারের উচিত শুধু বিশ্বব্যাংক নয়, অন্য উৎসগুলো থেকে অর্থের সংস্থান করা।
এদিকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, কাতার ও ভুটান করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে করোনা সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মোদি এ তথ্য প্রকাশ করেন। বৈঠকে বলা হয়, ভারতের দু’টি টিকার দ্বিতীয় ও একটির তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। বাংলাদেশ কোনো টিকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এর আগে চীনের একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ঢাকায় হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় তা হাতছাড়া হয়ে গেছে।