বাংলারজমিন
সাত ফুটি উজ্জ্বল সুস্থভাবে বাঁচতে চায়
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৯ অক্টোবর ২০২০, সোমবার, ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘদেহী খুলনার উজ্জ্বল সুস্থভাবে বাঁচতে চায়। দরিদ্র কৃষক পরিবারের ২১ বছর বয়সী উজ্জ্বলের উচ্চতা সাত ফুট। ওজন ১৬২ কেজি। ছোট বেলা থেকেই তার শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে বাবা-মা সাধ্যমতো চিকিৎসা করেও ছেলের কোনো উন্নতি না হওয়ায় হাল ছেড়েছেন। খুলনার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যওয়ার পরামর্শ দিলেও পরিবারের সে সামর্থ নেই। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য উজ্জ্বল নিজে ভ্যান চালিয়ে নিজের ওষুধ কিনে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার চক্রাখালি গ্রামের ঠাকুরদাস মণ্ডলের ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডল, মা শ্যামলী মণ্ডল। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়। ছোট ভাই উৎপল মণ্ডল আর একমাত্র বোন উৎপলা মণ্ডল। জন্মের পর সুস্থভাবে বেড়ে উঠলেও ১০ বছর বয়স থেকে তার শরীরে দেখা দেয় অস্বাভাবিকতা। দ্রুত বাড়তে থাকে ওজন ও উচ্চতা। ২০ বছর পর তার ওজন দাঁড়ায় ৮০ কেজির বেশি। পরবর্তী এক বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬২ কেজিতে। দরিদ্র দিন মজুর পরিবারের উজ্জ্বল ইতোমধ্যে পেয়েছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র। প্রতিমাসে প্রতিবন্ধিভাতা পেলেও সে টাকায় তার সাত দিনের ওষুধও হয় না। যে কারনে বাধ্য হয়ে কাজ নেন স্থানীয় একটি রড-সিমেন্টের দোকানে। উপজেলা থেকে পেয়েছেন একটি ভ্যান সে ভ্যানে করেই ইট-বালি-সিমেন্ট-রড পরিবহন করে চলে তার জীবন। বর্তমানে তার চলা ফেরায় সমস্যা হচ্ছে। প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথা হচ্ছে। তিনি জানান, নিজের ওজন আর তিনি বহন করতে পারেন না, তবুও টাকার জন্য তাকে কষ্ট করে হলেও কাজ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাবা-মা দুজনেই কৃষাণের কাজ করে কিন্তু সব সময় তাদের কাজ থাকে না। তাদের সামন্য আয়ে সংসার চলা কঠিন হয়ে যায়, তার উপর প্রতিমাসে তার চিকিৎসায় খরচ হয় তিন হাজার টাকা। এছাড়া উজ্জ্বলের প্রতিবেলায় আধাকেজি চালের ভাত সহ মাছ-তরকারিতে খরচ লাগে। এজন্য প্রায় সময়ই অন্যের কাছে সাহায্য নিতে হয়। উজ্জ্বলের মা শ্যামলী মন্ডল বলেন, ছেলের জন্য গত দশ বছর ধরে মানুষের বাড়ি থেকে হাট-বাজার থেকে সাহায্য নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু মানুষের কাছে কতবার যাওয়া যায়। বর্তমানে দিনে একশ’ টাকার বেশি ওষুধ কিনতে আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু ওষুধ খাওনোর পরও ছেলের কোন উন্নতি হচ্ছে না।উজ্জ্বলের পরিবার সহ স্থানীয়রা তার সুস্থতা চাইলেও তার যথাযথ চিকিৎসার উদ্যোগ আজও কেউ নিতে পারেনি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দীর্ঘদেহি মানুষ কক্সবাজারের গর্জনিয়া বড়বিল গ্রামের মৃত জিন্নাত আলি ছিলেন ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। যথাযথ চিকিৎসা পেলে খুলনার উজ্জ্বল মন্ডল হয়ে উঠতে পারে দেশ তথা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার চক্রাখালি গ্রামের ঠাকুরদাস মণ্ডলের ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডল, মা শ্যামলী মণ্ডল। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়। ছোট ভাই উৎপল মণ্ডল আর একমাত্র বোন উৎপলা মণ্ডল। জন্মের পর সুস্থভাবে বেড়ে উঠলেও ১০ বছর বয়স থেকে তার শরীরে দেখা দেয় অস্বাভাবিকতা। দ্রুত বাড়তে থাকে ওজন ও উচ্চতা। ২০ বছর পর তার ওজন দাঁড়ায় ৮০ কেজির বেশি। পরবর্তী এক বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬২ কেজিতে। দরিদ্র দিন মজুর পরিবারের উজ্জ্বল ইতোমধ্যে পেয়েছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র। প্রতিমাসে প্রতিবন্ধিভাতা পেলেও সে টাকায় তার সাত দিনের ওষুধও হয় না। যে কারনে বাধ্য হয়ে কাজ নেন স্থানীয় একটি রড-সিমেন্টের দোকানে। উপজেলা থেকে পেয়েছেন একটি ভ্যান সে ভ্যানে করেই ইট-বালি-সিমেন্ট-রড পরিবহন করে চলে তার জীবন। বর্তমানে তার চলা ফেরায় সমস্যা হচ্ছে। প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথা হচ্ছে। তিনি জানান, নিজের ওজন আর তিনি বহন করতে পারেন না, তবুও টাকার জন্য তাকে কষ্ট করে হলেও কাজ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাবা-মা দুজনেই কৃষাণের কাজ করে কিন্তু সব সময় তাদের কাজ থাকে না। তাদের সামন্য আয়ে সংসার চলা কঠিন হয়ে যায়, তার উপর প্রতিমাসে তার চিকিৎসায় খরচ হয় তিন হাজার টাকা। এছাড়া উজ্জ্বলের প্রতিবেলায় আধাকেজি চালের ভাত সহ মাছ-তরকারিতে খরচ লাগে। এজন্য প্রায় সময়ই অন্যের কাছে সাহায্য নিতে হয়। উজ্জ্বলের মা শ্যামলী মন্ডল বলেন, ছেলের জন্য গত দশ বছর ধরে মানুষের বাড়ি থেকে হাট-বাজার থেকে সাহায্য নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু মানুষের কাছে কতবার যাওয়া যায়। বর্তমানে দিনে একশ’ টাকার বেশি ওষুধ কিনতে আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। কিন্তু ওষুধ খাওনোর পরও ছেলের কোন উন্নতি হচ্ছে না।উজ্জ্বলের পরিবার সহ স্থানীয়রা তার সুস্থতা চাইলেও তার যথাযথ চিকিৎসার উদ্যোগ আজও কেউ নিতে পারেনি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দীর্ঘদেহি মানুষ কক্সবাজারের গর্জনিয়া বড়বিল গ্রামের মৃত জিন্নাত আলি ছিলেন ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। যথাযথ চিকিৎসা পেলে খুলনার উজ্জ্বল মন্ডল হয়ে উঠতে পারে দেশ তথা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ।