প্রথম পাতা
ফেনীতে ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে হামলা
ফেনী প্রতিনিধি
১৮ অক্টোবর ২০২০, রবিবার, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ঢাকা-নোয়াখালী লংমার্চ কর্মসূচিতে ফেনীতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা লংমার্চে অংশ নেয়া বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের ফেনী শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে লংমার্চ নোয়াখালীতে এক সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। সমাবেশ থেকে জননিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। সেইসঙ্গে লংমার্চে হামলাকারীদেরও গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
লংমার্চে হামলার বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় জানান, সকাল ১০টার দিকে তাদের লংমার্চটি ফেনী শহরের শহীদ মিনারে পৌঁছে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষ করে দুপুর ১২টার দিকে তারা লংমার্চ নিয়ে শহরের শান্তি কোম্পানি মোড় এলাকায় যেতে চাইলে বাধা দেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতিতে এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় লংমার্চে অংশগ্রহণকারী হৃদয়, অনিক, ইমা, আসমানি আশাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। হামলাকারীরা লংমার্চের ছয়টি বাস ভাঙচুর করে। ছাত্র ইউনিয়নের আহত কর্মী আসমানি আশা জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। মিছিলের পেছন থেকে হামলাকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। পুলিশ সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ছাত্রফ্রন্ট কর্মী আহত হৃদয় অভিযোগ করেছেন, ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর নিরাপত্তাকর্মী মানিক প্রথমে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিহত করেন। ওই সময়ে পুলিশ মানিককে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
তবে এ হামলায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত না বলে ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুশেন চন্দ্র শীল জানান, লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় থাকা প্রধানমন্ত্রী ও এমপি নিজাম হাজারীর ছবি সংবলিত ফেস্টুনে বিরূপ মন্তব্য লিখেছে। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। তবে আওয়ামী লীগ ও অংঙ্গ সংগঠনের কেউ এই হামলার সঙ্গে জড়িত নেই।
হামলার পরপর ফেনী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান, ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন, ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, লংমার্চের সভা শেষে অংশগ্রহণকারীদের ফেনী ত্যাগ করতে পুলিশ সহায়তা করেছে। বহিরাগত লোকজন লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলার চেষ্টা করেছে।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় লংমার্চ বহরটি ফেনীর শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক হয়ে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় শহীদ বেদিতে তারা গণসংগীত ও পথনাটক উপস্থাপন করে। এখানে বক্তব্য রাখেন- ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরী জয় প্রমুখ।
সামপ্রতিক সময়ে দেশজুড়ে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিবাদে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত লংমাচর্টি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার শাহবাগ থেকে শুরু হয়। ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’- ব্যানারে নয়টি দাবি নিয়ে দু’দিনব্যাপী লংমার্চটিতে কয়েকটি বামপন্থি ও নারী সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী বাম ছাত্রজোটের লংমার্চে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিলে ফেনীর দাগনভূঞা বামফ্রন্টের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। শনিবার দুপুরে পৌরসভার জিরো পয়েন্টে আতার্তুক স্কুল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দাগনভূঞা উপজেলা বামফ্রন্টের সমন্বয়ক ডা. হারাধন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা করলেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। আহত নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাসের চৌধুরী জানান, হামলার ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত নন। দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম সিকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে, দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এই হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম সালাউদ্দিন ফিরোজ।
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে জানান, ঢাকা থেকে শুরু হওয়া লংমার্চ নোয়াখালীতে এক সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে। গতকাল বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে কেন্দ্রীয় শহীদ চত্বরে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে ৯ দফা দাবিতে লংমার্চের এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ সরকার ধর্ষকদের লালন করছে। যারা ধর্ষকদের লালন-পালন করে, প্রশ্রয় দেয় তাদের বিচার চাই। শান্তিপূর্ণ লংমার্চে ফেনীসহ চারস্থানে সরকার সমর্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আমাদের কত আর মারবেন, হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আমরা লড়াই করে যাব। আমাদের আন্দোলন চলবে। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বক্তারা বলেন, জননিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে হরতাল অবরোধের মতো বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে। এর আগে, ১৯শে অক্টোবর সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ২১শে অক্টোবর রাজপথ, রেলপথ অবরোধ করা হবে। নোয়াখালী লংমার্চের সমন্বয়ক ও জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাাপতি এডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুনের সভাপতিত্বে ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নোয়াখালীর সাধারণ সম্পাদক পলাশের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট একাংশের সভাপতি মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট একাংশের সভাপতি আল কাদরী জয়, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ নারী মুক্তির সভাপতি সীমা দত্ত প্রমুখ।
লংমার্চে হামলার বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় জানান, সকাল ১০টার দিকে তাদের লংমার্চটি ফেনী শহরের শহীদ মিনারে পৌঁছে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষ করে দুপুর ১২টার দিকে তারা লংমার্চ নিয়ে শহরের শান্তি কোম্পানি মোড় এলাকায় যেতে চাইলে বাধা দেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতিতে এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় লংমার্চে অংশগ্রহণকারী হৃদয়, অনিক, ইমা, আসমানি আশাসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। হামলাকারীরা লংমার্চের ছয়টি বাস ভাঙচুর করে। ছাত্র ইউনিয়নের আহত কর্মী আসমানি আশা জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি ও লোহার রড নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। মিছিলের পেছন থেকে হামলাকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। পুলিশ সেখানে নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ছাত্রফ্রন্ট কর্মী আহত হৃদয় অভিযোগ করেছেন, ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর নিরাপত্তাকর্মী মানিক প্রথমে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা প্রতিহত করেন। ওই সময়ে পুলিশ মানিককে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
তবে এ হামলায় আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত না বলে ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুশেন চন্দ্র শীল জানান, লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় থাকা প্রধানমন্ত্রী ও এমপি নিজাম হাজারীর ছবি সংবলিত ফেস্টুনে বিরূপ মন্তব্য লিখেছে। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। তবে আওয়ামী লীগ ও অংঙ্গ সংগঠনের কেউ এই হামলার সঙ্গে জড়িত নেই।
হামলার পরপর ফেনী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান, ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন, ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, লংমার্চের সভা শেষে অংশগ্রহণকারীদের ফেনী ত্যাগ করতে পুলিশ সহায়তা করেছে। বহিরাগত লোকজন লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলার চেষ্টা করেছে।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় লংমার্চ বহরটি ফেনীর শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক হয়ে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় শহীদ বেদিতে তারা গণসংগীত ও পথনাটক উপস্থাপন করে। এখানে বক্তব্য রাখেন- ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরী জয় প্রমুখ।
সামপ্রতিক সময়ে দেশজুড়ে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিবাদে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত লংমাচর্টি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার শাহবাগ থেকে শুরু হয়। ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’- ব্যানারে নয়টি দাবি নিয়ে দু’দিনব্যাপী লংমার্চটিতে কয়েকটি বামপন্থি ও নারী সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী বাম ছাত্রজোটের লংমার্চে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিলে ফেনীর দাগনভূঞা বামফ্রন্টের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। শনিবার দুপুরে পৌরসভার জিরো পয়েন্টে আতার্তুক স্কুল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দাগনভূঞা উপজেলা বামফ্রন্টের সমন্বয়ক ডা. হারাধন চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা করলেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। আহত নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দাগনভূঞা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নাসের চৌধুরী জানান, হামলার ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী জড়িত নন। দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম সিকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে, দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এই হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম সালাউদ্দিন ফিরোজ।
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে জানান, ঢাকা থেকে শুরু হওয়া লংমার্চ নোয়াখালীতে এক সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়েছে। গতকাল বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে কেন্দ্রীয় শহীদ চত্বরে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে ৯ দফা দাবিতে লংমার্চের এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ সরকার ধর্ষকদের লালন করছে। যারা ধর্ষকদের লালন-পালন করে, প্রশ্রয় দেয় তাদের বিচার চাই। শান্তিপূর্ণ লংমার্চে ফেনীসহ চারস্থানে সরকার সমর্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। আমাদের কত আর মারবেন, হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আমরা লড়াই করে যাব। আমাদের আন্দোলন চলবে। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বক্তারা বলেন, জননিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে হরতাল অবরোধের মতো বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে। এর আগে, ১৯শে অক্টোবর সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ২১শে অক্টোবর রাজপথ, রেলপথ অবরোধ করা হবে। নোয়াখালী লংমার্চের সমন্বয়ক ও জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাাপতি এডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুনের সভাপতিত্বে ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নোয়াখালীর সাধারণ সম্পাদক পলাশের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট একাংশের সভাপতি মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট একাংশের সভাপতি আল কাদরী জয়, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ নারী মুক্তির সভাপতি সীমা দত্ত প্রমুখ।