দেশ বিদেশ
মণিপুর স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর মিরপুরের মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বেতন পরিশোধের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট জে আর খান রবিন শিক্ষা সচিব, ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান এবং মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দেয়া নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ২৮শে অক্টোবর থেকে অনলাইন হোম টেস্ট-২/অনলাইন মডেল টেস্ট-১ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ২০শে অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষার ফিসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে বেতন কাউন্টার থেকে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
গত ১১ই অক্টোবর দেয়া নোটিশ অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অবশ্যই প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। শুধুই এই নোটিশ দিয়ে থেমে থাকেনি মনিপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক অভিভাবককে মোবাইলে ফোন করা হচ্ছে বেতন পরিশোধের জন্য। স্কুল বন্ধ থাকার পরেও এরইমধ্যে যেসব অভিভাবক বেতন পরিশোধ করেছেন তাদের কাছ থেকে মাসিক পানি, বিদ্যুৎ ও আইটি বিল রাখা হয়েছে।
আইনজীবী নোটিশে আরো উল্লেখ করেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা একটি বিরাট সমস্যা এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও এমন ভয়াবহ ভাইরাস থেকে মুক্ত নয়। ফলে দেশের প্রায় সকল মানুষ আর্থিকসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিয়েছে। কর্মী ছাঁটাই করেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জীবিকা নির্বাহ করাটা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা দিচ্ছে। সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরমধ্যেই মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় বেতন-ভাতা পরিশোধের যে নোটিশ নিয়েছে তা অমানবিক ও অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেআইনিও বটে।
মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দেয়া নোটিশ অনুযায়ী, আগামী ২৮শে অক্টোবর থেকে অনলাইন হোম টেস্ট-২/অনলাইন মডেল টেস্ট-১ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ২০শে অক্টোবরের মধ্যে পরীক্ষার ফিসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে বেতন কাউন্টার থেকে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
গত ১১ই অক্টোবর দেয়া নোটিশ অনুযায়ী, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অবশ্যই প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। শুধুই এই নোটিশ দিয়ে থেমে থাকেনি মনিপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক অভিভাবককে মোবাইলে ফোন করা হচ্ছে বেতন পরিশোধের জন্য। স্কুল বন্ধ থাকার পরেও এরইমধ্যে যেসব অভিভাবক বেতন পরিশোধ করেছেন তাদের কাছ থেকে মাসিক পানি, বিদ্যুৎ ও আইটি বিল রাখা হয়েছে।
আইনজীবী নোটিশে আরো উল্লেখ করেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা একটি বিরাট সমস্যা এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও এমন ভয়াবহ ভাইরাস থেকে মুক্ত নয়। ফলে দেশের প্রায় সকল মানুষ আর্থিকসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দিয়েছে। কর্মী ছাঁটাই করেছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জীবিকা নির্বাহ করাটা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা দিচ্ছে। সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এরমধ্যেই মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় বেতন-ভাতা পরিশোধের যে নোটিশ নিয়েছে তা অমানবিক ও অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেআইনিও বটে।