বাংলারজমিন

থামছে না ধর্ষণ

২০২০-১০-১৬

আড়াইহাজারে বিধবাকে গণধর্ষণ
আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে (৪০) বছর বয়সী বিধবা এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার ফকিরবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ভাই ভাই ম্পিনিং মিলের শ্রমিক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় গতকাল নির্যাতিতা বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তরা হলো- নৈকাহন এলাকার মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে আলী আকবর ( ৫০), মৃত আঃ মালেকের ছেলে মোস্তফা ( ৫৫), মৃত রহমত আলীর ছেলে আনারুল ( ৪০), ডা. হোসেন মিয়ার ছেলে লিটন (৩২) খোকা মিয়ার ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার লস্কর আলীর ছেলে শাহীন (৩২)। পুলিশ গতকাল পর্যন্ত অভিযুক্তদের মধ্যে আলী আকবর গ্রেপ্তার করেছে। (৭ই অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় নৈকাহন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মামলায় উল্লিখিত বিবরণ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, নির্যাতিতা নারী তার নাতিনের জন্য স্থানীয় একটি ফামের্সি থেকে ওষুধ কিনতে সাড়ে ৭টার দিকে কাইমপুর কবরস্থান এলাকায় তার বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ির কিছু অদূরে  নৈকাহন বাজারে যেতেই তাকে আলী আকবর নামে এক ব্যক্তি আনিসের মার্কেটে তার মাছের দোকানে ডেকে নিয়ে যায়। পরে দোকানের সাটার বন্ধ করে ভিতরে তাকে ধর্ষণ করে। পরে দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তায় তিনি একই এলাকার মোস্তফা, আনারুল, লিটনকে দেখতে পান। পরে তারা তাকে ঘটনাটি আপস মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে লিটনের পুকুর পাড়ে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে লিটন মোবাইলে ফোন করে তার বন্ধু তারিকুল ও শাহীনুরকেও ডেকে নিয়ে আসে। তারা আমাকে জোরপূর্বক আখড়পাড়া এলাকার জৈনক আলী হোসেনের নির্মাণধীন বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা নারী এজাহারে আরও উল্লেখ্য করেন, মান-সম্মানের ভয়ে বিষয়টি প্রথমে তিনি গোপন রাখেন। পরবর্তীতে বিবেকের তারণায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারীর পক্ষ থেকে একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এজাহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।    
শেরপুরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণঅপর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: শেরপুরে চকলেট কিনে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর পঞ্চম শ্রেণির অপর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা এমন অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনায় ২য় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর মা শেরপুর উপজেলার ৮নং সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী গত ১৩ই অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে শেরপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলায় অভিযুক্ত ধর্ষক  রজিব সেখ (৩৪)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্ষক রজিব চোমরপাথালিয়া  গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। অপরদিকে শেরপুর উপজেলার ৭নং ভবানীপুর ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামে পঞ্চম  শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তার প্রতিবেশী বেল্লাল হোসেন (৩৪) নামের এক লম্পট। রাতের আধারে একা পেয়ে স্কুলছাত্রীর ঘরের ঢেউ টিনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বেল্লাল হোসেন। এরপর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বেল্লাল। এসময় মেয়েটি চিৎকার দিলে লম্পট বেল্লাল তার পরনের লুঙ্গি ফেলে পালিয়ে যায়। গত ১৩ই অক্টোবর রাত দশটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। এরপর অসহায় ওই ছাত্রীর বাবা আব্দুল মোমিন সেখ গত বুধবার ১৪ই অক্টোবর দুপুরে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ লম্পট বেল্লাল হোসেন (৩৪)কে  আটক করেন।
বদরগঞ্জে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের বদরগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠী পরিবারের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে লায়লাতুল বরাত নামে (১৯) এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের আদীবাসীপল্লী শিমুলঝুড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন।  বৃহস্পতিবার ওই যুবককে রংপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলার সূত্রে জানা যায়, স্কুলে যাওয়া আসার পথে লায়লাতুল বরাত প্রায় সময় মেয়েটির পথ আটকিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিত। রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে মেয়েটিকে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রভাবশালী পরিবারের বখাটে লায়লাতুল বরাত বাড়িতে এসে বিরক্ত করতো মেয়েটিকে। নিষেধ করা হলেও লায়লাতুল বরাত কারো কথা শোনেনি। ঘটনার দিন বিকেলের দিকে লায়লাতুল শ্রমিক নিয়ে মেয়েটির বাড়ির পেছনে গাছ কাটতে যায়। এসময় সে মেয়েটির বাড়ির ভেতরে ঢুকে পানি চান। টিউবয়েল থেকে পানি নিয়ে তাকে দিতে গেলে সে মেয়েটির গায়ে পানি ছিটিয়ে দেন। বাড়িতে মা-বাবা না থাকার সুযোগ নিয়ে এক পর্যায়ে সে কু-প্রস্তাব দিয়ে মেয়েটিকে জাপটে ধরেন। তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায় সে। পরে মেয়ের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন এসে লায়লাতুলকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতে বখাটে বরাতকে আটক করে থানায় নেয়। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে বরাতের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ের কথা বলে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ৬ মাস ধরে ধর্ষণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তারই দুলাভায়ের বিরুদ্ধে। বিচারের আশায় ধর্ষিতা মেয়েকে নিয়ে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় পিতা ও তার পরিবার। জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের বেগুনবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের বড়মেয়ে জুলেখা দেড় মাস বয়সী শিশু সন্তানকে রেখে মারা যায়। জুলেখার মৃত্যুর পর তার সন্তানের দেখাভাল করার জন্য ছোটবোন ১৩ বছর বয়সী খাদিজাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় পিয়ারপুর ইউনিয়নের জয়ভোগা গ্রামের আজমল হোসেনের ছেলে মাসুম। বড়বোনের জায়গায় ছোটবোন কিশোরী খাদিজার আশ্রয় হয় দুলাভাই (বোন জামাই) মাসুমের বাড়িতে। কিছুদিন যেতে না যেতেই বিয়ের কথা বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তার ওপর চলে ধর্ষণসহ পৈশাচিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে মাসুম ও তার বাবা-মা খাদিজাকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। যৌতুক না পেয়ে মাসুম নির্যাতন চালায় খাদিজার ওপর। মেয়ের ওপর নির্যাতন চালানোর কথা শুনে দিনমজুর অসহায় বাবা শফিকুল ইসলাম তার বসতভিটা বিক্রয় করে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন মাসুমের হাতে। টাকা পাওয়ার কিছুদিন পর মাসুম আবারো টাকার জন্য চাপ  দেয় খাদিজাকে। তখন বসতভিটা বিক্রির পর অন্যের আশ্রয়ে থাকা শফিকুল আর টাকা দিতে পারবো না বলে জানিয়ে দেয় মাসুমকে। এরপরই খাদিজাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় মাসুম ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী খাদিজা জানায়, সাদা কাগজে সই নিয়ে বিয়ের কথা বলে আমার বাবা মা’র কাছে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেয় মাসুম। টাকা দিতে না পারায় আমাকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে। পরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এদিকে কোনো কাগজপত্র ছাড়াই খাদিজাকে মুখে মুখে বিয়ের কথা স্বীকার করে ধর্ষক মাসুম জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার যা হবার তাই হবে।
শিশু বা কিশোরীর ওপর এমন অমানবিক আচরণ ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার।
আগৈলঝাড়ায় কলেজছাত্রী ধর্ষণ
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কলেজেছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ধর্ষক সুখদেব জয়ধরকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। সেই সাথে এই মামলার আসামি ধর্ষকের মা-বাবাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পাকুরিতা গ্রামের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কলেজছাত্রীর অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়- সুখদেব জয়ধরের সঙ্গে তার দেড় বছরের সম্পর্ক। এ সুযোগে সুখদেব প্রথমে তাকে একদিন ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের কথা বলে আরও একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে না করে তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে হয়ে গেছে বলে দাবি করে।

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে: বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রংপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এক কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রী এবং এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কাটাদুয়ার গ্রামের বাসিন্দা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ নয়নখাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সৈয়দ পাপন মিয়া (২৭) তারাগঞ্জ উপজেলা সদরের আলমগীর হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। শিক্ষক হওয়ায় মেয়েটি বাসায় গিয়ে তার কাছে প্রাইভেট পড়তেন। এরই মধ্যে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে বিয়ের কথা বলে পাপন একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই কলেজছাত্রীকে। বিয়ের জন্য চাপ দিলে পাপন ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে নানা টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে তারাগঞ্জের বাসা ছেড়ে চলে যান পাপন। এ ঘটনাটি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলে মেয়েটির বাবা বুধবার রাতে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতেই গ্রামের বাড়ি থেকে পাপনকে গ্রেপ্তার করে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status