বাংলারজমিন
রাণীশংকৈলে ডোবা থেকে মা ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
১৫ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে একটি বাড়ির পাশের ডোবা থেকে একই পরিবারের তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া শিয়ালডাঙ্গী গ্রাম এলাকায় ঘটেছে। নিহতরা হলোÑ আকবরের স্ত্রী আরিদা (৩০), মেয়ে আখি (১০) ও চার বছর বয়সী শিশু আরাফাত। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আকবরের বোন ইয়াসমিন তাদের বাড়ীর পাশে ছোট ডোবাতে তার ভাবীর পরনের শাড়ি ও ভাতিজার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসে ডোবায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় । পড়ে পুলিশ গিয়ে সকাল ৮টায় লাশ উদ্বার করে। আরিদার স্বামী আকবর জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় আমার বাবার সাথে টাকা পয়সা নিয়ে একটু কথাকাটি হয়। এ সময় সে আমাকে বলে তোমার এত ঋণ মাহাজন তুমি কিভাবে পরিশোধ করবা, আমি তোমার সাথে থাকবো না । আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাবো। এরপরে আমরা রাতে শুয়ে পড়ি। পরের দিন সকালে দেখি আমার স্ত্রী ছেলে মেয়ে বিছানায় নেই। পরে আমি তাদের ডাকাডাকি করি এবং বাড়ীর আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করি। না পেয়ে ভাবলাম রেগে গিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার শ্বশুর বাড়ি গিয়েছে কিনা এ সন্দেহে সেখানেও খোঁজ নেই কিন্তু পায়নি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখি তাদের লাশ ডোবায় পড়ে আছে।
এলাকাবাসী জানান, ফেরি করে সংসার চালাতো আকবর। তাদের চার সদস্যর সংসারে অভাব অনাটনের কারণে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া-ঝাটি হতো।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ ইকবাল বলেন, নাকে মুখে ফেনা বের হচ্ছে। এ মুহূর্তে আর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না । তদন্ত করলে আসল রহস্য পাওয়া যেতে পারে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হবে। এদিকে অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরিদার শ্বশুর, ননদ ও স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আকবরের বোন ইয়াসমিন তাদের বাড়ীর পাশে ছোট ডোবাতে তার ভাবীর পরনের শাড়ি ও ভাতিজার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসে ডোবায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় । পড়ে পুলিশ গিয়ে সকাল ৮টায় লাশ উদ্বার করে। আরিদার স্বামী আকবর জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় আমার বাবার সাথে টাকা পয়সা নিয়ে একটু কথাকাটি হয়। এ সময় সে আমাকে বলে তোমার এত ঋণ মাহাজন তুমি কিভাবে পরিশোধ করবা, আমি তোমার সাথে থাকবো না । আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাবো। এরপরে আমরা রাতে শুয়ে পড়ি। পরের দিন সকালে দেখি আমার স্ত্রী ছেলে মেয়ে বিছানায় নেই। পরে আমি তাদের ডাকাডাকি করি এবং বাড়ীর আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করি। না পেয়ে ভাবলাম রেগে গিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার শ্বশুর বাড়ি গিয়েছে কিনা এ সন্দেহে সেখানেও খোঁজ নেই কিন্তু পায়নি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখি তাদের লাশ ডোবায় পড়ে আছে।
এলাকাবাসী জানান, ফেরি করে সংসার চালাতো আকবর। তাদের চার সদস্যর সংসারে অভাব অনাটনের কারণে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া-ঝাটি হতো।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ ইকবাল বলেন, নাকে মুখে ফেনা বের হচ্ছে। এ মুহূর্তে আর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না । তদন্ত করলে আসল রহস্য পাওয়া যেতে পারে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হবে। এদিকে অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল লতিফ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরিদার শ্বশুর, ননদ ও স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।