ষোলো আনা

নিরাপত্তা কোথায়?

শারমিন নিশু

১৬ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ৮:২৫ পূর্বাহ্ন

ছবি: জীবন আহমেদ

চারদিকে ধর্ষণের খবর। ফেসবুক ওয়ালে ভেসে উঠছে বীভৎস সব নির্যাতনের ঘটনা। আবার দেখছি ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন। আলোচিত একটি ঘটনার বিচারের আগেই নতুন ঘটনার জন্ম। এসবের শেষ কোথায়?
মধ্যযুগে বর্বর আমলে নারীরা শুধুই ভোগ্য ছিল। কন্যাসন্তান জন্ম নিলে জীবন্ত মাটিচাপা দেয়া হতো। এখন আধুনিক যুগ। নারীরা নিজেদের সম্মান আদায়ে সোচ্চার। সমাজের প্রতিটা ধাপে নিজেকে প্রমাণ করে সাফল্য-সম্মান সবই জয় করেছে। এমন কোনো অধ্যায় বাকি নেই যেখানে নারী পদার্পণ করেননি। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে তার প্রাপ্য সম্মান নারী পেয়েছে। একইসঙ্গে পেয়েছে সম্মান হারানোর ভয়, উৎকণ্ঠা।
প্রগতিশীল এই যুগেও নারীরা পারেনা নিজেদের সম্মান আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। আমাদের সমাজ পুরুষের অধীনের জায়গাটাকেই নারীদের জন্য একমাত্র নিরাপদ বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। সে হয় বাবা না হয় ভাই অথবা স্বামী। আবার সহসাই দেখছি বাতির নিচে অন্ধকার।
অবিবাহিত মেয়েদের জন্য এ সমাজ যেন আরো বেশি ভয়ঙ্কর। বিয়ে দিয়ে সব থেকে নিরাপদ ট্যাগ লাগানোর চিন্তা করছেন বাবা-মায়েরা। যুগের পর যুগ ধরে এত প্রতিবাদ, সংগ্রামের পরও এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে আজ দেয়ালে দেয়ালে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর পাতায় পাতায় খবর- ধর্ষণ ধর্ষণ ধর্ষণ! অথচ আমরা অধিকাংশ মেয়েরাই সমাজের সীমারেখা টেনে দেয়া এই কথাগুলো মেনে চলি।
সন্ধ্যার পর বাইরে থাকা যাবে না। একা একা কোথাও যাওয়া যাবে না, যাচ্ছেতাই পোশাক পরা যাবে না। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া যাবে না। কারণ কোথাও নিরাপদ নয় নারী।
আজ ঘরেও নিরাপদ নয় কন্যা। মায়ের আঁচল তলেও নিরাপদ নয়। বাবা, ভাই, স্বামী সন্তান সমাজ কেউ নিরাপত্তা দিতে পারছে না।
আসলে নিরাপত্তা কোথায়?
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status