ভারত

বাংলাদেশের প্রায় ৫০০ তরুণী উদ্ধার মুম্বই, গুজরাটের পতিতালয় থেকে

বিশেষ সংবাদদাতা , কলকাতা

১৩ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১৫ পূর্বাহ্ন

মুম্বই ও গুজরাট পুলিশের যৌথ হানায় দুই শহরের পতিতালয় থেকে ৫০০ বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার হয়েছে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে এদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছিল। ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তে নারী পাচার চক্রের একটি নেটওয়ার্কও উদ্ঘাটিত হয়েছে। গুজরাটের দুই ব্যবসায়ী কেদার জৈন ও ধর্মেন্দ্র জৈন এই নারী পাচার চক্রের কিং পিন। তাদের গ্রেপ্তার করার পর আয়েজ সাঈদ এবং টিটু গাজি নামের দুই টাউটকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তবে, উদ্ধার হওয়া মেয়েদের কাছে জনৈক বাবু ভাইয়ের কথা শোনা গেছে। যার হদিস এখনও পুলিশ পায়নি।
উদ্ধার হওয়া বেশিরভাগ বাংলাদেশি মেয়েদের পাওয়া গেছে এশিয়ার মধ্যে অন্যতম বৃহৎ পতিতাপল্লী গ্রান্ট স্ট্রিটে। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে ও ভারতে চাকরি দেয়ার নাম করে স্বাস্থ্যবতী বাংলাদেশি তরুণীদের ফুসলিয়ে নিয়ে আসা হত মুম্বইয়ে। সেখানে এবং গুজরাটে পতিতাপল্লীতে ঠাঁই হতো এদের। দুই বাংলাদেশি তরুণীকে মডেল করার স্বপ্ন দেখিয়ে মুম্বই আনা হয়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বাংলাদেশি তরুণীদের কেদার ও ধর্মেন্দ্র জৈন কিনে নিতো পঁচাত্তর হাজার টাকা থেকে একলাখ টাকা দরে।
তারপর মুম্বই ও গুজরাটের পতিতালয়ে তারা মেয়ে সরবরাহ করতো একলক্ষ পঁচিশ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা দামে। নথ ভাঙানিয়া অর্থাৎ অপাপবিদ্ধ বাংলাদেশি কিশোরীদের দর উঠতো দুলাখ টাকা পর্যন্ত। বাংলাদেশেও সহযোগী নারী মাংসের ব্যবসায়ীদের চক্র ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দীর্ঘদিন এই কাজ করছে বলে পুলিশের অনুমান। বাংলাদেশের চক্রটিকে ধরার জন্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশকে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status