রকমারি

মৃত্যুর ২০০০ বছর পরে অক্ষত ব্রেনের কোষ

মানবজমিন ডেস্ক

২০২০-১০-০৬

দুই হাজার বছর আগে মারা যাওয়া এক যুবকের মাথা থেকে অবিকৃত ব্রেন সেলের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় দুই হাজার বছর আগে ভিসুভিয়াসে অগ্নুৎপাতের ফলে মারা গিয়েছিলেন ওই যুবক। তার ব্রেন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ইতালির একদল গবেষক ওই ব্রেন সেলের সন্ধান পান। ওই যুবকের দেহাবশেষ ১৯৬০ এর দশকে হারকুলানিয়াম শহরে লাভার নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাতে লাভার নিচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছিলেন ওই যুবক। তার দেহাবশেষ নিয়ে গবেষণা করছিলেন ইতালির ওই বিজ্ঞানীরা। নিহত যুবক একটি ভবনে কাঠের বিছানার ওপর উপুর হয়ে শুয়ে ছিলেন। ধারণা করা হয়, তিনি সম্রাট অগাস্টাসের প্রতি অনুগত ছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন ২৫ বছর বয়সী। ইউনিভার্সিটি অব নেপলস ফেডেরিকো দ্বিতীয়’র ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানী পিয়ের পাওলো পেট্রোল সিএনএনকে বলেছেন, যখন ওই যুবকের কঙ্কালের ভিতর থেকে কাচের মতো উজ্বল কিছু ম্যাটেরিয়াল দেখতে পান তিনি, তখনই তাদের গবেষণা প্রকল্প শুরু হয়। ২০১৮ সালে তিনি ওই সময়ে ওই কঙ্কালটি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তাদের গবেষণা এ বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসেনে। এতে পেট্রোন ও তার সহকর্মীরা বলেছেন, তারা যে উজ্বল ম্যাটেরিয়াল দেখতে পেয়েছিলেন তা আসলে নিহত যুবকের ব্রেনের। প্রথমে প্রচ- ঠান্ডা ও পারে তাতে অত্যধিক তাপ পাওয়ায় এমনটা দেখা গিয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে পেট্রোন বলেন, প্রথমেই তীব্র উত্তপ্ত লাভার ফলে ওই ব্রেন তরলীকৃত হয়ে গিয়েছিল। তারপর ওই লাভা দ্রুত ঠান্ডা হতে থাকে। একই সঙ্গে সেই ঠান্ডায় ওই ব্রেন জমে যেতে থাকে। তা জমে কাচের মতো রূপ ধারণ করে। এরপর ইলেকট্রনিক আনবীক্ষণিক যন্ত্র দিয়ে দেখা যায়, ওই যুবকের ব্রেন অক্ষত আছে। এমনটা আর কখনো দেখা যায় নি। এমনকি তারা তার কেন্দ্রীয় স্নায়ুরজ্জুর অক্ষত কোষ আবিষ্কার করেন। তাদের সর্বশেষ এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন জার্নাল পিএলওএস ওয়ানে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status